অফিসে কাদের-চুন্নু, গুরুত্ব দিচ্ছেন না আল্টিমেটাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিক্ষোভের দিনে অফিসে না এলেও দ্বিতীয় দিন অফিস করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। চেয়ারম্যান দুপুরের দিকে ঘণ্টা খানেক সময় আর মহাসচিব ঘণ্টা দু’য়েক অফিসে অবস্থান করেন।

এদিনও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন দেখা গেছে। বিকেল বেলাতেও ২৮ জন পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় ছাত্র সমাজ সভাপতি আল-মামুনের নেতৃত্বে বেশকিছু কর্মীর সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপাশি উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকেও লোকজন আনা হয় অফিসে। তাদের জন্য দুপুরে প্যাকেটে বিরিয়ানী সরবরাহ করা হয়।

দিনের সবচেয়ে চমক হচ্ছে গতকাল বিক্ষোভ প্রকাশের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দু’জন যুগ্ম মহাসচিব আজও উপস্থিত ছিলেন। বনানী অফিসে এলে তারাই নাকি চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি ১০ জানুয়ারি বিক্ষোভের সময় বক্তৃকা দিয়ে নির্বাচনকালীন অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেছিলেন।

জাতীয় পার্টির ইতিহাসে গত ১০ জানুয়ারি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেতাকর্মীরা। পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় বনানীতে দিনভর বিক্ষোভ করেন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে কো-চেয়ারম্যান, বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সিনিয়র অনেক নেতা অংশ নেন। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ নেতারা আসতে শুরু করেছিলেন বেলা ১১টা থেকে। বিকেল ৩টার দিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিরে যান। তাদের আগমনের খবরে আগেই মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম শাহজাদা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মূল ফটকের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে বাইরে নিয়ে যান। গেটের বাইরে রাস্তার উপর বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ ও আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের আল্টিমেটাম কোন গুরুত্ববহন করে না। আমরা আল্টিমেটাম নিয়ে ভাবছি না।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ নেতারা ১৪ জানুয়ারি তৃণমূল নেতাদের সভা আহ্বান করেছেন। রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ওই সভা আহ্বানে তথ্য বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, এই আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। আমরা চেয়েছিলাম ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু হলরুম না পাওয়ায় সভাটি ১৪ জানুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, জাতীয় পার্টির ইতিহাসে এমন বিক্ষোভ নজিরবিহীন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে আগে কখনও এমন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। গত নির্বাচনে পার্টির কোন ভূমিকা দেখা যায় নি। এ কারণে নির্বাচনে দলের ভরাডুবি ঘটেছে।

তিনি বলেন, ভোটের সময় আমি নিজে দফায় দফায় ফোন দিলেও পার্টির চেয়ারম্যান রিসিভ করেনি। অনেক কো-চেয়ারম্যানের সঙ্গে একই আচরণ করেছে। প্রার্থীদের কোন রকম সহযোগিতা করা হয়নি। তাদের ব্যর্থতার জন্য পার্টির এই ভরাডুবি। যে কারণে আমরা তাদের পদত্যাগ চাই।

এবারের নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ছিল জাতীয় পার্টির ভূমিকা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দলটির অবস্থান ছিল রহস্যজনক। ইলেকশন কমিশন ১৫ নভেম্বর তফসিল দিলেও নির্বাচন প্রশ্নে পার্টির অবস্থান ঝুলে রাখা হয় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০ নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি তখনও অন্ধকারে রাখা হয়।

মনোনয়ন ফরম বিক্রির দিনগুলোতে পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখা হচ্ছে, জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা পরে জানানো হবে। অবশেষে ২২ নভেম্বর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান দলটির মহাসচিব। ২৭ নভেম্বর ২৯৪ আসনে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। অন্যদিকে ছেলে সাদ এরশাদসহ অনুসারিদের আসন নিশ্চিত না হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

মনোনয়ন দাখিলের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে দলটির নেতারা। আসন ভাগা-ভাগি নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়তে থাকে। ওই দিনগুলোতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আবার ধোঁয়াশা ছড়িয়ে দেয় দলটির নেতারা। রটে যায় নির্বাচন বর্জণের গুজব, বিষয়টি পার্টির পক্ষ থেকেও রহস্যবৃত্ত রাখা হয়। এ কারণে দলটির প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ থেকে হাত গুটিয়ে বসে থাকে ১৭ ডিসেম্বর (মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার) পর্যন্ত। এতে করে অনেকেই নির্বাচনী দৌঁড় থেকে পিছিয়ে পড়ে যান।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ মুহুর্তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬আসনে সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি। ওই আসনগুলো থেকে নৌকা সরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। ওই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ২৬ আসনের বাইরে থাকা সাধারণ প্রার্থীরা। ৩০ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক প্রার্থী পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করেছিলেন দলীয় ফান্ডের বিষয়ে। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ক্ষোভ হতাশা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে নিষ্কিয় হয়ে পড়েন। ভোটের দিনেও অনেক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। নির্বাচন পরিচালনায় পার্টির সমন্বয়হীনতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

অনেকে মনে করছেন জাতীয় পার্টি আরেকবার ভাঙ্গনের মুখে পড়তে যাচ্ছে। নির্বাচন কেন্দ্রীক ক্ষুব্ধ নেতাদের একত্র করার চেষ্টা চলছে। এখন পেছনে থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই বলয়টি সামনে আনতে পারেন রওশন এরশাদকে। জাতীয় পার্টির কমিটির মেয়াদ যেহেতু শেষ তারা একটি একতরফা কাউন্সিল করতে পারেন। আবার কো-চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর নিয়ে নতুন চেয়ারম্যানও ঘোষণা দিতে পারেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দফায় ভাঙ্গনের শিকার এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি। বর্তমানে জাপা, জেপি, বিজেপি, জাপা (জাফর) নামে ৪টি পার্টি রাজনীতিতে সক্রিয়।

 

   

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। বহিষ্কৃতরা হলেণ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও ফলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রহমান।

শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলটি সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা বিভাগ) সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়াও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল।

;

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;