‘প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে দল আরও শক্তিশালী হয়’



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এস এম কামাল হোসেন; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে।

তিনি বলেছেন, স্থানীয় গ্রুপিং, প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময় সব দলের মধ্যেই থাকে। তবে জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আমরা সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দ্বন্দ্ব, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে খারাপ কিছু মনে করি না, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন নোংরামি বা সহিংসতা যেন না হয়। মানুষের জন্য ভাল কাজ করা, মানুষকে নিরাপদ রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বার্তা২৪.কম-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রুহুল আমিন। 

বার্তা২৪.কম: দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র ও নৌকা সমর্থকদের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান কীভাবে করবেন?

এস এম কামাল হোসেন: স্থানীয় ভাবে দ্বন্দ্ব আছে, প্রতিযোগিতা আছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দ্বন্দ্ব, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে খারাপ মনে করি না।  আমি মনে করি, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে দল আরও শক্তিশালী হয়। সে ক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে যাতে নোংরামি এবং সহিংসতা যেন না হয়, এটাই আমাদের চেষ্টা। এই নির্দেশনা আমাদের প্রিয় নেত্রী আমাদের দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করব এগুলো দেখভাল করার জন্য। গ্রুপিং, প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময় ছিল, এটা নির্বাচনকে ইস্যু করে না। যদিও জেলা পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোন গ্রুপিং নেই। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

বার্তা২৪.কম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়ায় অনেক জায়গায় সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে এই সংঘাত নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেবেন?

এস এম কামাল হোসেন: আমরা আগে ঢাকায় নেতাদের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব। এরপর আমরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করব।

বার্তা২৪.কম: নতুন বছর, নতুন সরকারের সামনে কী চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন?

এস এম কামাল হোসেন: বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যা বলেছেন, মানুষকে ভাল রাখা, মানুষকে নিরাপদে রাখা, মানুষকে শান্তিতে রাখা। এটা যদি আমরা করতে পারি, সাধারণ মানুষকে নিরাপদে ও শান্তিতে রাখতে পারি তাহলে জনগণের যে আস্থা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আছে; ভবিষ্যতেও সে আস্থা, বিশ্বাস শেখ হাসিনার প্রতি থাকবে। আমাদের লক্ষ হচ্ছে মানুষকে ভাল রাখা, নিরাপদে ও শান্তিতে রাখা। মানুষ যাতে কোন কষ্ট না পায়, মানুষ যেন আমাদের ওপর বিরক্ত না হয় এটা হচ্ছে মূল কাজ, এটাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।

বার্তা২৪.কম: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন তুলে নেওয়া কি নির্বাচনি কৌশল?

এস এম কামাল হোসেন: এটা কোন কৌশল না। আমরা বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সিদ্ধান্ত ছিল, আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) তৃণমূলে দলীয় মনোনয়ন দিলে প্রতীক দিতে হবে এমন একটা বিষয় আছে, এবার আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সবাই চিন্তাভাবনা করে প্রস্তাব দিয়েছি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দিলে ভাল হয়। এতে আরও উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই তো হয়ে আসছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীক ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত ছিল, এবার দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। দল থেকে আমরা কোন দলীয় প্রতীক দেব না। ফলে দল থেকে মনোনয়ন না দিলে দলীয় প্রতীক দেওয়ারও কোন প্রয়োজন আসে না। এই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সবাই সবার গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী নির্বাচন করবে। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

বার্তা২৪.কম: নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকাতে এমপিদের আরও দায়িত্ব বাড়বে কিনা?

এস এম কামাল হোসেন: এমপিদের দায়িত্ব বাড়বে এই হিসেবে যে, নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, সংঘাতপূর্ণ না হয়। সংঘাত ও সহিংসতামুক্ত ভাল নির্বাচন যাতে দিতে পারে সে হিসেবে সংসদ সদস্যদের তো দায়িত্ব আছেই। ভাল নির্বাচনের ব্যাপারে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।

বার্তা২৪.কম: হঠাৎ করে কেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক তুলে দেয়া হচ্ছে?

এস এম কামাল হোসেন: আমাদের প্রতিটি উপজেলা লেভেলে ১০/১৫ জন করে ভাল প্রার্থী আছে। মনোনয়ন দেওয়ার সময় নৌকা প্রতীক দিলে স্থানীয়ভাবে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে যায়। তাতে দলের ভেতর সংঘাত বেশি বাড়ে। অন্যান্য দল যদি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতো তাহলে আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করলে দল আরও ঐক্যবদ্ধ হতো। কিন্তু অন্য কোন দল যেহেতু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে না, আমরা তাই দলীয় প্রতীক না দিয়ে দলের ভেতর যারা গ্রহণযোগ্য আছেন তাদের ছেড়ে দিয়েছি, তারা নির্বাচিত হয়ে আসবে।

বার্তা২৪.কম: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্য কোন দল আসলে আওয়ামী লীগ কি প্রতীক দেবে?

এস এম কামাল হোসেন: সেটা তো পরের ব্যাপার। সেটা কার্যনির্বাহী কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে হবে। সে আলোচনার আগে তো আমি ব্যক্তিগতভাবে মতামত দিতে পারব না।

বার্তা২৪.কম: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক দেওয়ার পর আগের নির্বাচনগুলোতে যে সংঘাত হয়েছে সে সংঘাত এই নির্বাচনেও থাকবে বলে কি মনে করছেন?

এস এম কামাল হোসেন: এজন্যেই তো আমরা দলীয় মনোনয়ন দেব না। দলীয় মনোনয়ন দিলে তো দলীয় প্রতীক দিতে হবে। এজন্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দলীয় মনোনয়ন দেব না।

বার্তা২৪.কম: অন্যান্য নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিলেও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে অনেকে স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়িয়েছে। আবার বিএনপিসহ অন্যান্য দলেরও অনেকে দাঁড়িয়েছে। এবারও কি সে কারণেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ?

এস এম কামাল হোসেন: কারা নির্বাচন করবে, না করবে এটা তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমরা প্রত্যাশা করছি, যারা স্থানীয়ভাবে নির্বাচন করতে চায় তারা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

বার্তা২৪.কম: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ওপর দলের চেয়ে এমপিদের নিয়ন্ত্রণ বাড়বে কিনা?

এস এম কামাল হোসেন: প্রত্যেকটা মানুষই তো মনে-মনে কাউকে না কাউকে সমর্থন করতে পারে। এমপিরা তো কোন প্রচারণায় যেতে পারবে না। এখন ঘরে থেকে যদি কেউ কাউকে সমর্থন করে, সেটা দেখার বিষয় না। কিন্তু প্রকাশ্যে তো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউকে সমর্থন দিতে পারবে না। কারো পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। প্রত্যেকটা ব্যক্তিরই কেউ না কেউ পছন্দের ব্যক্তি থাকতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে সমর্থন করার কোন জায়গা নেই। তাহলে নির্বাচন কমিশন তাকে চিঠি দেবে। সে ক্ষেত্রে এটা পারবে না।

বার্তা২৪.কম: আপনাদের অনেকেই বলছেন, বিএনপি এখন চুপ থাকার অর্থ হচ্ছে তারা বড় কোন সহিংসতার পরিকল্পনা করছে, সেক্ষেত্রে বিএনপিকে মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের কী প্রস্তুতি?

এস এম কামাল হোসেন: বিএনপি-জামায়াত সবসময় ষড়যন্ত্র করে, সহিংসতা করে। দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা নির্বাচনের আগে অনেক ধরনের সহিংসতা করার চেষ্টা করেছেন। ট্রেনে আগুন দিয়েছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করেছে মানুষকে প্রতিহত করার, কিন্তু মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। ভবিষ্যতেও যদি তারা এধরনের কোন পরিকল্পনা করে, খারাপ পরিকল্পনা করে তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে অতীতে যেভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে ভবিষ্যতেও সেভাবে প্রতিরোধ করা হবে।

বার্তা২৪.কম: তৃণমূলে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান কেমন দেখছেন?

এস এম কামাল হোসেন: আমি তৃণমূলে বিএনপির ওরকম কোন কার্যক্রম দেখি না। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে কোন জেলায় বিএনপি-জামায়াত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি।

বার্তা২৪.কম: আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে মাঝ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে, আহত হয়েছে কয়েক হাজার। আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে এই যে একটা বিরোধ তৈরি হলো, এক্ষেত্রে সহিংসতা থামলেও বিরোধ কি থামবে?

এস এম কামাল হোসেন: বিরোধও একটা পর্যায়ে গিয়ে থাকবে না। এই উপজেলা নির্বাচনেই দেখবেন, যারা স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তারাই এবার অনেকেই নিজেদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি করে নেবে।

বার্তা২৪.কম: উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক না দেওয়া তাহলে দ্বন্দ্ব নিরসনের কোন কৌশল?

এস এম কামাল হোসেন: এটা একটা কৌশল আছেই আমাদের। যে দ্বন্দ্বটা তৈরি হয়েছে সেটা এই নির্বাচনের ভিতর দিয়ে একজন আরেকজনের আরও কাছে চলে আসবে। যে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছে সে হয়তো নৌকার পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে কাজ করবে। তার মধ্য দিয়ে একটা সম্পর্ক তৈরি হবে। আবার নতুন করে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করব। আমার ব্যক্তিগত চিন্তা হচ্ছে, উপজেলা নির্বাচনের পরে মাঠে নামব, দলকে একসাথে করব।

বার্তা২৪.কম: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি দল হিসেবে আপনারা কী চিন্তা করছেন?

এস এম কামাল হোসেন: বঙ্গবন্ধুকন্যা গত ২৭ ডিসেম্বর যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, কর্মসংস্থান তৈরি করা, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, সন্ত্রাস-মাদক বন্ধ করা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছে; সেগুলো মূল কাজ আমাদের। বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের ওপরও সে প্রভাব পড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তা কাটিয়ে ওঠছে বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ, দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। বাংলাদেশ কিন্তু বড় ধরনের কোন সংকটে পড়েনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সাময়িকভাবে এই সংকটগুলো আসছে, বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অতিক্রম করে এগিয়ে যাব।

এখন যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে জিনিসপত্রের দাম কিন্তু কমতে শুরু করেছে। এখানে একটা সিন্ডিকেট আছে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, দলও এই বিষয়ে দেখাশোনা করবে, সরকারিভাবে মন্ত্রণালয় থেকে তারাও দেখভাল করবে, যেন জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

তারপরও নতুন নতুন পদক্ষেপ যেমন- সরকার এক কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ড দিচ্ছে। প্রতিটি শহরে ওএমএস ডিলার দিয়ে প্রচুর মানুষকে সাহায্য করা হচ্ছে, স্বল্পমূল্যে চাল-ডাল দেওয়া হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে যেন মানুষ কষ্ট না পায়। ৫ কোটি মানুষকে সোশ্যাল সেফটি নেটের আওতায় আনা হয়েছে, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ মানুষকে ভাল রাখা, নিরাপদে ও শান্তিতে রাখা। এটাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

বার্তা২৪.কম: আপনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন, এবার প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সামনে কোন চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি?

এস এম কামাল হোসেন: মানুষের ভাল করাটাই চ্যালেঞ্জ। ভাল কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবেই। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন চ্যালেঞ্জ নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজে একটা শ্রেষ্ঠ আর্কিটেক্ট। গোটা বাংলাদেশ নিয়ে তিনি ভাবছেন। তার ভাবনার সুফল আমরা পাচ্ছি। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ পার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ওই এলাকার মানুষকে ভাল রাখা, শান্তিতে ও নিরাপদে রাখা। এই তিনটা জিনিস করতে পারলে আমরা মনে করি আগামীতে কেউ জনগণকে বিপথে পরিচালনা করতে পারবে না। জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেই থাকবে। অতীতে যেমন ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা এই কাজগুলো যদি ফেইল করি তাহলে জনগণ আমাদের বিপক্ষে যাবে। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো করাই হচ্ছে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।

বার্তা২৪.কম: দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স আপনারা ঘোষণা করেছেন সে ক্ষেত্রে কি আগের মতো আবার কোন শুদ্ধি অভিযান আমরা দেখব?

এস এম কামাল হোসেন: দুর্নীতি শতভাগ মুক্ত কেউ করতে পারবে না। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যেন দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অতীতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হয়নি। যেখানেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হয় সেখানেই জানার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। আমাদের মূল লক্ষ হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যেন কোন দুর্নীতি না হয়। এটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, মাদকের বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই কাজগুলো আমাদের মানুষের মাঝে তৈরি করতে হবে।

বৃক্ষ, মানুষ ও পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু: সমীর চন্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেছেন, বৃক্ষ পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য আমাদের ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মানিকগঞ্জের বেউথা নদীরপাড় ও রাস্তার পাড়ে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলার মাঠ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি মানিকগঞ্জের বেউথা নদীপার ও রাস্তাপারে এক সঙ্গে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

কৃষক লীগের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন।

উদ্বোধকের বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি বলেন, এক গাছ যেমন মানুষকে তার ফল দেয়, ফুল দিয়ে সবিত করে এবং বৃদ্ধ বয়সে তার কাঠ মানুষের জন্য মূল্যবান। গাছ মানুষকে পুষ্টি দেয়, মানুষকে খাদ্য দেয়। গাছ মানুষকে জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন দেয়। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজের বাঁচার জন্য ব্যাপকভাবে শেখ হাসিনার ঘোষিত কর্মসূচি বৃক্ষ রোপণ করার মধ্য দিয়ে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের জুলাই মাস থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় তার যোগ্য উত্তরাধিকার গর্বের প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। গত ১৫ জুন কৃষক লীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী। এসময় কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণের নিদের্শ দিয়েছেন। তার নিদের্শনার ধারাবাহিকতা কৃষক লীগ ৫২ লক্ষ গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে আজ মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা এক হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনারা প্রত্যকে তিন মাসে ৫২টি গাছ রোপণ করে কৃষক লীগের ৫২ লক্ষ গাছ রোপণের পরিকল্পনার অঙ্গীকার পূরণ করবেন।"

জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. সমাপ্ত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক বুলবুল আহমেদ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুবেদ কুমার সাহা প্রমুখ।

;

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করারও অভিযোগ তুলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিএনপি আজ একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এখন তাদের তথাকথিত আন্দোলনের বিষয় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মুক্তভাবে এভাবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কোনো নজির নেই। কিন্তু বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে আইনগত পদ্ধতি ব্যতি রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছে। এমনকী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে উসকানি দিচ্ছে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জনগণের কাছ থেকে করুণা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সংবিধান ও আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মুক্তি দাবি ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়। আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দেশ ত্যাগ করার কোনো বিধান নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসাগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপি এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, উচ্চ-আদালতে না গিয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি কখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না এবং চিরাচরিতভাবে আইন, বিচারব্যবস্থা, সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কোনো প্রকার বেআইনি, অযাচিত ও অযৌক্তিক দাবি কোনো গণতান্ত্রিক সরকার মানতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো আন্দোলনের নামে যে কোনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।

;

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা সোমবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

রোববার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম (প্লাটিনাম জয়ন্তী) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছি। সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৩টায় তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

;

সম্মেলনের এক মাস পর রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি
মো. রনি হোসেন ও সোহাগ চাকমা/ছবি: সংগৃহীত

মো. রনি হোসেন ও সোহাগ চাকমা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ নয় বছর পর চলতি বছরের ২৯শে এপ্রিল রাঙামাটিতে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় একমাস পরে এক বছর মেয়াদে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৯ জুন) রাত পৌনে ১২টার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইট আইডিতে কমিটির তালিকা আপলোড করে উল্লেখ করেন, আগামী ০১ (এক) বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার নিম্নোক্ত কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত তালিকায় মো. রনি হোসেনকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সোহাগ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে সহ-সভাপতি পদে ৪০ জন, যুগ্ম সম্পাদক পদে ১০ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি: দীপঙ্কর দে, অভি মারমা, মঞ্জুরুল কবির ইমন, খালেদ সাইফুল্ল্যা রুবেল, হাসান মুরাদ, সোহেল চাকমা, তারেক হোসেন মাহিম, বেলাল খান, বনি মাহমুদ, তপন ত্রিপুরা, জাকির হোসাইন, এ কে এম ফজলুল হক সুজন, শাফিন মাহমুদ চৌধুরী প্রিয়, বিজয় বড়–য়া শোভন, মোঃ আশরাফুল হক, আসিফ সালেহ বিন কামাল নোয়েল, মোঃ আব্দুল মোতালেব, ফাতেমা তুজ জোহরা রেশমী, ইউনুস মিয়া, নোবেল চাকমা, ইমাম হাসান, থুই মং চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী মাহিন, আরিফুল ইসলাম মানিক, এ বি এম জোনায়েত, আজাদ আজিম রিমন, মান্না পাল, সাব্বির রহমান, মোঃ শাকিল আহমেদ, সাদমান আহমেদ তামিম, অপু দেবনাথ, মংসুইক্য মারমা (মং), মোঃ পারভেজ, উজ্জ্বল চাকমা, তাজুল ইসলাম রাজু, রুবেল ঘোষ, মিনহাজুর রহমান, মিঠু বড়–য়া, মোঃ রাকিবুর রহমান, বকুল চাকমা।

১০ জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তারা হলেন: সাইথোয়াই অং চৌধুরী (সুইথি চৌধুরী), আনোয়ার হোসেন কায়সার, সামশুল আলম, মোঃ সোহেল রানা, এন্টন চাকমা, আসাদুজ্জামান ইফাত, মুন্না দেব, প্রত্যয় চাকমা, মোঃ জুয়েল উদ্দিন, শুভ চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১০ জন হলেন: নেছার উদ্দিন হৃদয়, বর্ষা চাকমা, তাসকিয়া রহমান, সুজয় চাকমা, আকিব মাহমুদ, মীর মোঃ মোসলেহ উদ্দিন ইমরুজ, অয়ন ত্রিপুরা শুভ, মোঃ নাজমুল হাসান বাপ্পু, মোঃ ইউসুফ হোসেন ও মধু মঙ্গল তঞ্চঙ্গ্যা।

;