রওশন ঘোষিত কাউন্সিল ৯ মার্চ, জিএম কাদের ১২ অক্টোবর

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

 

আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ মার্চ) জাপার বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এপ্রিল মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকল জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন ওই সভায়। সেখানে জাতীয় পার্টির সার্বিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে ৩ থেকে ৫ সদস্যের ছোট ছোট কমিটি করে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তারা দলের সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রে একটি রিপোর্ট দেবে। আগামী আগস্টের মধ্যেই সকল জেলার সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দল থেকে বহিষ্কৃত অনেকেই আবারও দলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদ এর বাসায় মিটিং হয়েছিল। তাই কাজী ফিরোজ রশীদকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তথাকথিত সম্মেলন কমিটির সভায় বক্তৃতা করায় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ, বাবলা সাহেব নিজেই পার্টি থেকে চলে গেছেন। অমার্জনীয় অপরাধের জন্য যারা বহিষ্কার হয়েছেন তারা ব্যতিত অন্য বহিষ্কৃতরা ক্ষমা চাইলে পার্টি চেয়ারম্যান যেন সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন।

তিনি বলেন, আমাদের পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এর সাথে আমাদের স্পর্শকাতর সম্পর্ক। তাই, তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জিএম কাদের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, দলের রেজিস্ট্রিশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙ্গল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে তারা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল যে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওই চিঠিকে নাকচ করে দিয়েছেন। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলনও করে সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তাহলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।

উল্লেখ্য গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। রওশন দাবি করেছেন তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এরপর এক তরফাভাবে কাউন্সিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ৯ মার্চ সেই কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের’র সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ অ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সংসদ সদস্য অ্যাড. সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল অব. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোঃ মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, শেরীফা কাদের, সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু ও সংসদ সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার বেগম।