আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের তালিকা চাইলেন কাদের
আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের তালিকা দিন, দুদককে বলবো তদন্ত করতে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের তালিকা দিন, আমরা দুদককে বলবো তদন্ত করতে। যাদেরকে দুর্নীতিবাজ ভাবছেন, আপনারা তালিকা প্রস্তুত করুন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থনীতিবিদ ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। বর্তমান সরকারের এ বিষয়ে কোন সদিচ্ছা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থনীতিবিদও এখন পোলারাইজড হয়ে গেছে। এখানে বিএনপি নামটা অর্থনীতিবিদ হয়েছে। তারা তাদের মনের যে ক্ষোভ, অসন্তোষ, ক্ষমতায় না থাকার যে বেদনা, ক্ষমতায় থাকলে যে সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকে সেটা ভেস্তে গেছে। ভেস্তে গেছে তাদেরই ভুলের কারণে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উপদেষ্টাদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ অনেকেই আছে, তারা সবাই একবাক্যে পরিণিত ও সাহসী বাজেট বলেছেন। একটা চ্যালেঞ্জ আছে সেটা হলো বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ আমরাও স্বীকার করি। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি, ইনশাআল্লাহ আমরা এই চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করতে পারবো। দ্রব্যমূল্য, ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এখন দেশের সংকট মোকাবিলা করার স্কিম রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষকে সাহায্য করার জন্য এইসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে দণ্ডিত এই আসামি আরাম আয়েশে দিনযাপন করছে। এই হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের হিসাব মির্জা ফখরুল সাহেবকে দিতে হবে।
বিএনপি বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করতে মাঠে নামবে তারা এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এটা বাংলাদেশের সবাই জানে। তারা বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিবে। যাদের মূলনেতারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিবে এটা এই বছরের সেরা জোকস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকই।