হরিজনদের উচ্ছেদ করা হবে সবচেয়ে বড় ডাকাতি: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হরিজনদের উচ্ছেদ করা হবে সবচেয়ে বড় ডাকাতি। এটা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় পুরান ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজনপল্লী পরিদর্শন শেষে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশ এখন আওয়ামী লীগের হয়ে গেছে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করে না। তাদের সুবিধামত দেশ পরিচালনা করছে।  দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এই সরকার দলীয় সরকার, দলীয় লোকদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করছে। তারা উন্নয়নের নামে ব্যক্তি ও দলের উন্নয়ন করছে।

তিনি বলেন, দেশের মালিক এখন আর জনগণ নেই, তারা সরকার পরিবর্তন করতে পারে না। জনগণের কথায় সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, এই জন্যই আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে হবে, তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, হরিজন সম্প্রদায় বৃটিশ আমল থেকে সব চেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। এখানে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ বাস করছে। এখানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সিটি কর্পোরেশনে তারা পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করছে। এটা লক্ষ টাকার বিনিময়েও অনেকেই করতে পারবে না। এরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহিত ও নিপিড়িত এবং অসহায়। দেশ-রাষ্ট্র-সরকার তো তাদের পাশে থাকার কথা। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। এই মানুষগুলোকে রাস্তায় ঠেলে দিলে, তারা কোথায় যাবে? এ নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই। এই মানুষগুলোকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে কিসের উন্নয়ন? কিছু মানুষ হয়তো দোকান-পাট করে বা ইজারা নিয়ে লাভবান হবে।

এ বিষয়ে আমরা বুধবার (১২ জুন) সংসদে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে পারছিনা সরকার আমাদের কথা রাখবে কিনা। কাল নাকি এটা ভেঙে দেয়া হবে, কথা না শুনলে চাকরিচ্যুত করা হবে। এই মানুষগুলো অত্যন্ত অসহায়। তারা দোকান দিতে পারে না, তাদের হাতে কিছু খেতে চায় না... অথচ তাদের সার্ভিস ছাড়া আমাদের জীবন অচল। মানবিক দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি দেখা উচিত। যেকোনো ভাবে এটা ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে বিল্ডিং করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করা অন্যায়। আজ হরিজনদের পাশে থাকার লোক নেই, এদের দিয়ে ব্যবসা করা বা ভালো থাকার লোকের অভাব নেই। এটা দেশ ও সরকারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই গরীর মানুষদের উচ্ছেদ করে বিল্ডিং করে ভাগ বাটোয়ারা করলে তা হবে সব চেয়ে অন্যায় এবং লজ্জার। 

তিনি বলেন, সরকার এখন অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। তাদের পেশিশক্তি, অর্থশক্তি ও মাস্তানদের সামনে সাধারণ মানুষ অসহায়। সাধারণ মানুষ সংখ্যায় বেশি হলেও দানবীয় শক্তির কাছে পরাজিত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণলাল, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কৃষ্ণচরণ কুঞ্জমাল, হরিজন নেতা বায়জুলাল, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, জাতীয় পার্টি নেতা সাধন কুমার মিশ্র এসময় উপস্থিত ছিলেন।

   

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার বড় সাফল্য স্বাধীনতা: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার বড় সফলতা স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আমরা এ দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম। স্বাধীনতা হলো আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দেশি এবং বিদেশি চক্রান্তকারীরা হত্যা করে আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে চক্রান্ত করেছিল। যখন জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে শ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি দিল তখন সমস্ত রকম চক্রান্ত থেমে যায় তাদের।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানীবাসী মেট্রোরেলে চলার স্বাদ পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র আমলে বন্ধ হওয়া ট্রেন লাইন আজ সচল হয়েছে। ঢাকা থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় ট্রেনে রাজবাড়ীতে আসতে পারছে। রাজবাড়ীতে ১০৫ একর জায়গার উপর দেশের সর্ববৃহৎ রেল কারখানা হচ্ছে। এতে করে জেলার অনেক বেকার কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুনের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হাকিম সাধন, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর বিশ্বাস প্রমুখ।

;

‘সরকার বিরোধীদের জীবন রাষ্ট্রীয় বন্দুকের নলের নিচে বন্দি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডা. শাহাদাত হোসেন

ডা. শাহাদাত হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার বিরোধীদের জীবন এখন রাষ্ট্রীয় বন্দুকের নলের নিচে বন্দি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার (২৩ জুন) বিকেলে নগরীর চকবাজারস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম ৯ আসনে (কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চকবাজার) বিগত আন্দোলন সংগ্রামে মিথ্যা মামলায় কারাবরণকারী ও হামলা মামলার শিকার দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত ডামি নির্বাচনের আগে দেশের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল আওয়ামী লীগ। এখনো তারা কারাগারগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ করে রেখেছে। অবৈধ দখলদার সরকার তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখার জন্য পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। সরকার বিরোধীদের জীবন এখন রাষ্ট্রীয় বন্দুকের নলের নিচে বন্দি। বর্তমানে প্রত্যেকটি কারাগার হচ্ছে শেখ হাসিনার বন্দিশালা।

‘এই জুলুমবাজ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোথাও নিরাপদ নয়। বিগত সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে, যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা এদেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করে গ্রেফতার হয়েছেন। যারা আজ জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের শহীদি মৃত্যু হয়েছে। শহীদের রক্ত কোনো দিন বৃথা যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। এখানে আইন কানুন কোনো কিছুর দরকার নেই। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। দেশে এখন জঙ্গলের শাসন চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের শক্তির কাছে অচিরেই এই সরকারকে মাথানত করতে হবে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাজনীতি করলে গ্রেফতার হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। জনগণের আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তারেক রহমান হতাহত ও নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা আরও ত্যাগ শিকারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন।

চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জুর সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান ও মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।

;

খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে বসলো পেসমেকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন।

রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিল। সেখানে একটা স্টেন্টও (রিং) লাগানো ছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগে তার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছে।

পেসমেকার হলো হৃদস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে গেলে শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ওই গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শনি ও রোববার কয়েক দফা বৈঠকে বসে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় যুক্ত থাকেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

;

শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পারে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পারে না’

‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পারে না’

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পারে না।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্লাটিনাম জুবিলির সমাবেশের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পারে না। আজকে একটি দল অন্তরজ্বালায় জ্বলছে। ওরা (বিএনপি) দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। ওরা পূর্ণিমার আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখে। ওরা উন্নয়ন দেখতে পায় না।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ওরা আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। একুশ বছর এরা আমাদের দেশে স্বৈরশাসন করেছিলো। জয় বাংলাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের যারা মাস্টার মাইন্ড তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। এই অর্জনের জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দেশে দুইটা ল্যাগেসি সৃষ্টি হয়েছি, একটা ল্যাগেসি স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু। আরেকটি ল্যাগেসি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির, তিনি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতদিন এই বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলতান থাকবে ততদিন শেখ হাসিনা অমর হয়ে থাকবেন। তিনি হচ্ছেন পোয়েট অফ পলিটিশিয়ান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাস করেন, চেতনাকে ধারণ করেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি সকলের কাছে আহ্বান জানাই, আমাদের ভুল ত্রুটি নেই, সেটা আমি বলবো না। এরপরেও শেখ হাসিনা আমাদের একমাত্র আস্থার ঠিকানা। আসুন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শক্তিশালী করে তুলি।

;