মানুষের দৃষ্টি সরাতে ছাগলকাণ্ড তৈরি করেছে সরকার: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকার আজিজ, বেনজীর, আসাদুজ্জামান মিয়া, মতিউর তৈরি করেছে। নতুন করে ফয়সাল তৈরি করেছেন। এক এক কাণ্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য ছাগলকাণ্ড করেছেন। এসব কাণ্ডে কোন কাজ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ শহীদ জিয়ার দল, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ অত্যান্ত সুদৃঢ় অবস্থায়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের সঙ্গে অবৈধ চুক্তি, দুর্নীতি, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। আর হিন্দুস্তানের সঙ্গে অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি করবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সৈনিক, একজন কর্মী থাকতেও আমরা তা হতে দেব না।

তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন এক সপ্তাহে দুইবার। কি মধুর সম্পর্ক, কি প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা। আম, লিচু, ইলিশ পাঠান কিন্তু গিয়ে ফেরত আসেন খালি হাতে। পানির ন্যায্য হিসাব আনতে পারেন না। বরং নতুন করে বুকের ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গান গায় শিল্পী, তলে তলে ব্যথা। আসলেই সত্যি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রীর তলে ব্যথা আছে। তিনি একেক দিন একেকটা নতুন কথা আবিষ্কার করেন। আবিষ্কার করলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, মমতার জন্য নাকি আমরা তিস্তার পানির বণ্টন পাচ্ছি না। হায়রে কপাল আমাদের এত মন্দ। এই মন্দের পেছনে আওয়ামী লীগ। এই কপাল খারাপের পেছনে আওয়ামী লীগ। আবার নতুন করে সমঝোতা স্বাক্ষরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজকে খর্ব হওয়ার পথে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি বিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজ প্রমুখ।

মিথ্যাচার-অপপ্রচার বিএনপির রাজনৈতিক হাতিয়ার: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিকে মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মিথ্যাচার ও অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসাগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। আর বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অপচেষ্টা করে। আর এ সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই জনগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি। তাদের অবস্থান সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি ও তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ।

এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।

;

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগ!



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতীক

ছবি: সংগৃহীত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতীক

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস পর আবারও রাজপথ দখলে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

বিএনপি তার চেয়ারপারসনের মুক্তি ও সরকারের দুর্নীতিকে সামনে রেখে সমাবেশের ডাক দিচ্ছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ বলছে, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান করবে তারাও।

দুই প্রধান বিরোধীদলের কর্মসূচির উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও মিলে যাচ্ছে দিন, তারিখ ও সময়। তবে এনিয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির অপবাদ ঘোচাতে তাই বছরব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে দলটি।

দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপিকে শূন্য রাজপথ ছেড়ে দিতে নারাজ হাইকমান্ড। সে কারণে বিএনপির সরকারবিরোধী কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগও। তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ‘তকমা’ যেন না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এবার।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়টি মানতে নারাজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পাল্টাপাল্টি উল্লেখ করায় এর কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।

২৯ জুন (শনিবার) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম বছরব্যাপী উদযাপন করবো। সেখানে খবর হয়, আমরা নাকি পাল্টাপাল্টি করছি! গতকাল আমরা সাইকেল র‌্যালি করেছি; বিএনপির কি কিছু ছিল! তাহলে কেন এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন'!

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছবি- সংগৃহীত


এসময় তিনি অগ্রিম সমাবেশেরও ঘোষণা দিয়ে রাখেন। ওবায়দুল কাদের বলেন বলেন, ‘আমরা সারাবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি উদযাপন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন’।

এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের মহান মে দিবসে রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে দুই দল। ওইদিন বিএনপি তার সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ব্যানারে সমাবেশ করে। অপরদিকে, আওয়ামী লীগও তার সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে সমাবেশ করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২৭ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিল করে। এরপর এটাই ছিল দলটির বড় কোনো কর্মসূচি।

এরও আগে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে বিএনপি তার মিত্রদের সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। তখন থেকে সরকারি দল আওয়ামী লীগও রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছিল। সে সময় বিএনপি ও তার মিত্রদের সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করে।

বিএনপির বিপরীতে দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। এত সমালোচনার পরেও রাজপথ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। বরং বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগও তার কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিলে আওয়ামী লীগও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। সেদিন বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নাশকতা-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও হয়। সহিংসতায় মারা যান একজন পুলিশ কনস্টেবলও। এমন চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির মহাসমাবেশ।

এরপর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কয়েক দফা হরতাল-অবরোধের ডাক দিলেও মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি। ব্যাপক ধরপাকড়, মামলা ও নেতাকর্মী গ্রেফতারের কারণে বিপর্যস্ত ছিল দলটি। ফলে, কোনো বাধা ছাড়াই হয়ে যায় নির্বাচন। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

তবে সে অবস্থা থেকে আবারও রাজপথে আন্দোলন জোরালো করতে চায় বিএনপি। বিপরীতে শূন্য রাজপথ ছেড়ে না দিয়ে মাঠে থাকতে চায় আওয়ামী লীগও। তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির তকমা ঘোচাতে এবার কৌশলী আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি ও তার মিত্ররা। এখন নির্বাচিত সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন করে মাঠে নামতে চায় দলটি। সে কারণে বিএনপির সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকবেন।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশনা। দলের যে কোনো কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও দলের ঢাকা মহানগরীর এমপি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরও দলের কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ থেকে আমরা আগেই বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। ঐতিহ্যবাহী সাফল্য ও গৌরব গাথার দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্ববৃহৎ এই দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী উৎসব উদযাপন করছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছবি- সংগৃহীত


নাছিম বলেন, এখন আকস্মিকভাবে বিএনপির সঙ্গে যদি কোনো কর্মসূচি একই দিনে হয়ে যায়, তাহলে কি শুধু পাল্টাপাল্টি হবে! এটা তো এমন কোনো সমাবেশ ডাকা হয়নি যে, বিএনপি ডেকেছে বলে আমরা ডেকেছি।

বিএনপি-জামাতের কোনো সেমিনার হল বা আলোচনার অডিটরিয়ামে গিয়ে কোনো সভা ডেকেছি, এমন তো না। এরকম ঢাকা শহরে একাধিক দলের একাধিক সভা অতীতেও হয়েছে। তাতে কোনো সংঘাত বা উচ্ছৃঙ্খলা, মারামারি-খুনোখুনি এমন কিছু হয়নি।

বিএনপির সভা থেকে আওয়ামী লীগের সভা অনেক দূরে উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা নিয়ে অহেতুক দ্বন্দ্ব বা সংঘাত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটি নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে, ছয় মাসও হয়নি। এখন এই সরকারকে উৎখাতের কথা যারা বলে, তারা ব্যর্থ! সে ব্যর্থতার দায় অন্যভাবে আওয়ামী লীগকে দেওয়ার জন্য বিএনপি কৌশল নিচ্ছে। এই কৌশলকে আমরা পাত্তা দেই না।

;

নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজান।

এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, তার পতন অনিবার্য। কারণ তার পতন আর খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সুতোয় গাতা। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে, মানুষ যখন জেগে উঠবে তখন আপনার রাজনীতির মৃত্যু হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান সহ স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

;

বিএনপিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না: গয়েশ্বর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা হামলায় কখনো কাবু হয় না। কারণ বিএনপি জনগণের দল, এই দল দেশ ও জনগণের কথা বলে। এই দলের নাম নিশানা মুছে ফেলা সম্ভব না।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলের পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের একটি ধর্ম আছে, কিন্তু শেখ হাসিনার কোন ধর্ম নেই। বাংলাদেশ মাফিয়ারা আজ পার্লামেন্টে, সেখানে কোন রাজনীতিবিদ নেই। আছে চোর, ডাকাত মাফিয়া চক্র। এই মাফিয়া কিভাবে সৃষ্টি হলো? কারা মাফিয়াদের সৃষ্টি করলো? এই মাফিয়া শুধু সাধারণ জায়গা না, প্রশাসনের মধ্যে মাফিয়া আছে। বেনজীর কত বড় মাফিয়া হলে চাকরি জীবনে শত শত না হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে? দেশে বেনজীর, আজিজ, মতিউর ঘরে ঘরে হাজার হাজার তৈরি হচ্ছে।

দেশের সাধারণ মানুষ বাঁচবে কিভাবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যারা কর্ম করে খায়, তাদের কর্মসংস্থান কোথায়? তাদের আয় বাড়ছে? তারা তো সরকারি চাকরি করে না। সরকারি চাকরিজীবীদের আয় বাড়ছে। সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন ভাতা হয়। কিন্তু আজ চাকরিজীবী দেশের মালিক, আর জনগণ সবচেয়ে অসহায়।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির এই জেষ্ঠ নেতা বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়। সেই অস্ত্র দিয়ে যদি নিজের দেশকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনবো কেন? কি কারণে আজ মিয়ানমার লাফালাফি করছে? কই শহীদ জিয়াউর রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার সময়তো লাফালাফি করতে পারেনি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সদস্য অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. ইসহকসহ প্রমুখ।

;