খালেদা জিয়া মুক্ত হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে: প্রিন্স



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র লুট করতে পারতেন না। ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন করতে পারতেন না। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সামনে নতুন আন্দোলন আসছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন সবই একসূত্রে গাঁথা। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। এই সরকারের পতন হবে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা পাইনি, গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী পানি আমরা পাইনি। কয়েকদিন আগে শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে দশটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন, কিন্তু একটিও বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য হয়নি।

দুপুরে শহরের লম্বাগাছ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোডস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জলবায়ু বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অভিযুক্ত আজিজুর রহমান

অভিযুক্ত আজিজুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় জিডিটি করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মো. মাহবুব আলম।

আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলমের বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায়। অভিযুক্ত আজিজুর রহমান আজিজ নগরীর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ছোটপুল সরকার বাড়ীর মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৪ জুলাই অনুমানিক রাত ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে আজিজুর রহমান আজিজের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ার এক পর্যায়ে তিনি মাহাবুব আলমের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

ফলে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, এক বছর আগের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটিতেও একটি অভিযোগ দিয়েছে। অথচ আগ্রাবাদ ওই জমির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সরাসরি গিয়ে তখন শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছিলেন। আমি ছিলাম তখন ঢাকায়। আমি জানিও না। আজ হঠাৎ করে এ কাহিনী। কালকে আমাদের মিটিং সে কারণে হয়তো কেউ করাইছে।’

ওসি মো. জহির হোসেন বলেন, জিডি পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করব।

;

শেখ হাসিনার সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালী ফসল আজকের এই পদ্মা সেতু। তাঁর সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ। সংকটেও তিনি অকুতোভয়ে এগিয়ে যান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করতে চাইলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোর সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রথম স্প্যান বসাতে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে চাইলে তিনি সেদিন বলেছিলেন, আমার জন্য পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটের জন্যও বন্ধ থাকবে না। প্রবল স্রোতে পদ্মার ভাঙনের সময়ও ভাঙন প্রতিরোধে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে চেয়েছিলাম, সংসদেও দাবি উঠেছিল। দাবি করেছিলেন সারা বাংলাদেশের বহু মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি কোনভাবেই আমার নাম ব্যবহার করব না। সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে আপনার নাম (শেখ হাসিনা) মিশে গেছে। যতদিন পদ্মা সেতু আছে ততদিন শেখ হাসিনার নামও উচ্চারিত হবে স্বগৌরবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে সংকটেও এগিয়ে যান। অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর। তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের আরো গর্বিত করেছেন, জাতিকে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছেন, দূর করেছেন অন্ধকার।

;

খুলনা জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে পাইকগাছা থেকে কয়রা পর্যন্ত ৫০০০ বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র ৩ মাসব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বৃক্ষ রোপন করা হয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।

বৃক্ষরোপন শেষে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, গাছ মানুষের ও পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। গাছ মানুষকে খাদ্য দেয়, পুষ্টি দেয়, চিকিৎসার উপকরণের কাঁচামাল সরবরাহ করে। এছাড়াও গাছ আমাদের জীবনধারণে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবে উচ্চ তাপমাত্রা, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বারন সাড়া দিয়ে আসুন আমরা সবাই গাছ লাগাই, নিজে বাঁচি এবং দেশকে বাঁচাই। তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে হলে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাস গাছ লাগাতে হবে।

খুলনা জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. খান খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও খুলনা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিকউজ্জামান অশোকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি মাহাবুব উল আলম শান্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, ভারপ্রাপ্ত প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদশা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীমা সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোছা. হালিমা রহমান সহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ।

;

ভারত সফরে শেখ হাসিনা দেশের সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়েছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার এখন ভারতের সাথে স্যাটেলাইট চুক্তি করেছে। ভারতের স্যাটেলাইট এখন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তদন্ত তদারকি করতে পারবে। আমার দেশের সিকিউরিটি ভারতের হাতে চলে গেছে। এবারের ভারত সফরে শেখ হাসিনা আমাদের দেশের সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারত তথাকথিত সিকিউরিটির নামে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হতে দেয় না। ১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে একটা সরকার ক্ষমতায় বসে আছে তাকেই ক্ষমতায় রাখবার চেষ্টা করে। আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাই কিন্তু ভারত আমাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারতো ট্রানজিট দেয়নি, সরকার সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মালবাহী ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কি থাকবে আমরা সেটা জানি না। যদি কোনো দেশ মনে করে এই মালগাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাঁধা দিবো তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা (আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত এবং চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে আমার দেশের সমস্ত মধ্যকার গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সাথে যে সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।

ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।

;