চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
সোমবার (৮ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন একথা জানান।
ডা. একে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাওয়ায় বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিন ভোর ৫টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২ জুলাই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ওই সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় বাসায় ফেরানো হয়েছে তাকে। হাসপাতালে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
গত বছরের ৯ আগস্টে এভারকেয়ারে ভর্তি হওয়ার পর টানা ৫ মাস সেখানেই ছিলেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়। সরকার রাজি না হওয়ার পর বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ একটি দল ঢাকায় এসে তার চিকিৎসা করেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পর পর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।