চট্টগ্রাম বিএনপি: নতুন কমিটির ‘অভিষেকে’ সামনে এলো বিভেদ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের এক সপ্তাহ পর মাঠে দেখা গেল দুই নেতাকে। তবে তাদের সেই ‘অভিষেক’ অনুষ্ঠানে ছিলেন না সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির দুই শীর্ষ নেতা। ছিলেন না নগর বিএনপির প্রথম সারির অন্য নেতারাও। এর মধ্যে দিয়ে নগর বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে দলের অন্দরের চাপা ক্ষোভটা যেন প্রকাশ্যে আসল।
গত ৭ জুলাই নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১৩ জুন ডা. শাহাদাত হোসেন এবং আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার এবং হামলা-মামলায় নেতাকর্মীদের পাশে থাকায় এই দুই নেতা আবারও কমিটিতে আসতে পারেন বলে দলে আলোচনা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা ক্ষুব্ধ আছেন।
দায়িত্ব পাওয়ার ছয়দিনের মাথায় শুক্রবার (১৩ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে নতুন কমিটি। জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে এই আয়োজন শেষে নেতাকর্মীরা কাজির দেউড়ি এলাকায় অবস্থিত নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে যান। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নতুন কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর হেলাল উদ্দিন। নতুন কমিটি গঠনের পেছনে এই নেতার ভূমিকার কথা দলে আলোচনা আছে। সমাবেশের সময় তিনি এরশাদুল্লাহ ও নাজিমুর রহমানের মাঝখানে ছিলেন।
তবে বক্তব্যে ঐক্যের ডাক দেন এরশাদুল্লাহ। তিনি বলেন, এই কার্যালয় আমাদের কোনো ব্যক্তিগত অফিস নয়, এটা আমাদের বিএনপির অফিস। এটা আপনাদের অফিস। আপনারা সবসময় এখানে আসবেন। বিএনপি অফিসে আপনাদের আনাগোনা-বিচরণ সবসময় থাকবে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। বিএনপিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমাদের অঙ্গীকার হবে আমরা সবাইকে নিয়ে দল গঠন করব। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
অবশ্য নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দুই নেতা কেন ছিলেন না বা তাদের কি দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে শাহাদাত ঢাকায় অবস্থান করছেন।