জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হবে: নজরুল ইসলাম খান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সব সংস্কারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে করতে হবে কেন এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকার কি কি সংস্কার করবে তা নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে জনগণ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'রক্তেভেজা গণঅভ্যুত্থান- গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আবদুল লতিফের ম্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

বিজ্ঞাপন

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। লেখক সাংবাদিকরা তাদের লেখা লিখতে পারে নাই, বাকস্বাধীনতা ছিল না। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে সমাজের সবাই অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘ দিনের আন্দোলন সফলতা এসেছে জুলাই-আগস্টে সংগ্রামের মাধ্যমে, ছাত্র জনতার যে কারণে আন্দোলন করছে তা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে ।

সভাপতির বক্তব্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজ সম্পর্কে অস্পষ্টতার পাশাপাশি সমন্বয়হীনতাও দেখা যাচ্ছে, আত্মবিশ্বাসেরও ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে আবার বিশেষ কোনো স্বার্থান্বেষীদের কাছে কোনোভাবে জিম্মি না হয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনে যে অস্থিরতা চলছে অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা দেয়াকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি। এটা পরিস্থিতি সামাল দিতে এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করার আহবান জানান।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সোহরাব হাসান বলেন, অতীতে কয়েকবার স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্র আসেনি, জনগণের মুক্তি হয়নি। তিনি বলেন, এবার সবাইকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভদ্রোচিত অনেকগুলো কমিশন হয়েছে, কিন্তু শ্রমজীবী মেহনতিদের অধিকার নিয়ে কোন কমিশন হয়নি।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল হাকিম, এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড.আবু ইউসুফ সেলিম, নাগরিক ঐক্য এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুন নূর, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ প্রমুখ।