শেখ হাসিনা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিলো: জিএম কাদের

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিলো। যে কারনে, আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দিয়েই “বি” টিম সৃষ্টি করেছিলো।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামন্ডলী ও পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানদের যৌথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমি সেই অভিযোগ সংসদে ও সংসদের বাইরে করেছি। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পর সংসদে বলেছি। একদলীয় শাসন কায়েম করতে আওয়ামী লীগ সরকার সব দলকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। বিএনপি’কে হামলা-মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়েছিলো। আবার, জামায়াতে ইসলামীকে মাঠে দাঁড়াতে দেয়নি। হামলা ও মামলা দিয়ে জামায়াতকেও শেষ করতে চেয়েছে। আর, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে দুই ভাগ করে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টির মধ্যে কৃত্রিম বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিলো আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী ও বহিষ্কৃত নেতাদের সাহায্যে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে আরো একটি জাতীয় পার্টি সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ পার্টির উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় পার্টির ব্যানারে এবং লোগো ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থনে মূল জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।

জিএম কাদের বলেন, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগ সমর্থক দালাল চক্রটির সকল কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সরকার সমর্থক সকল গণমাধ্যমকে সহায়তা করতো। তাদের কাজ ছিলো মূল জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে আমাদের তরুণরা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছি, তারা রাজনীতি ভালোই বোঝে। তরুণদের চিন্তা ও প্রত্যাশা মাথায় রেখে আগামী দিনে রাজনীতি করতে হবে। এই তরুণ ভোটারদের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আগামী দিনের রাজনীতিতে তারা অসামান্য অবদান রাখেবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন। উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ড. মোঃ নূরুল আজহার শামীম, মোঃ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, মোঃ আতাউর রহমান সরকার, পনির উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. মোঃ লিয়াকত আলী খান, খান মোঃ ইস্রাফিল খোকন, মেহেরুন নেসা খান হেনা, মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, অ্যাড. লাকী বেগম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, মোঃ আনিসুল ইসলাম মন্ডল, অ্যাড মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মাহমুদুর রহমান লিপটন, মমতাজ উদদীন, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ইলিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, মোঃ মাশরেকুল আজম (রবি), এ্যাড. মোঃ শাহেদ আলী জিন্নাহ, মোঃ আলা উদ্দিন মিয়া, মফিজুর রহমান মফিজ, মোঃ ইয়াকুব হোসেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু তাহের, মেজর মোঃ মাহফুজুর রহমান (অব.), ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, গোলাম রহমান মাসুম।

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোঃ নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মধু, শেখ আলমগীর হোসেন, সুলতান আহমেদ সেলিম, পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, এসএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বপন, মোঃ আবু সালেক, আহম্মেদ শফি রুবেল, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, লুৎফুর রেজা খোকন।