‘ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঈমানী নূরে আলোকিত হতে হবে’
ইসলামী আন্দোলনের পথচলা কখনোই ফুল বিছানো ছিল না, এখনো নয়; তাই সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রূপনগর থানা জামায়াত আয়োজিত এক দাওয়াতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের জগদ্দল পাথর দেশ ও জাতির ঘারে চেপে বসেছিল। প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসনে জনগণের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র- জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা নতুন করে স্বাধীনতা লাভ করেছি। এই নতুন স্বাধীনতা ও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের বীর সন্তানেরা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। তাই অর্জিত বিজয়কে অবহেলায় হাতছাড়া হতে দেওয়া যাবে না বরং ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঈমানী নূরে আলোকিত হয়ে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে ‘২৪-এর বিপ্লবকে সফল ও সার্থক করে তুলতে হবে।
তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় দলমত ও জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
থানা আমির আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লবী জোন পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মোশাররফ হোসেন, কর্মপরিষদ সদস্য হাসানুল বান্না চপল, হাসান মো. ইউসুফ, নুরুল ইসলাম, শাহজাহান আলী দেওয়ান, নুরুন্নবী মানিক, লতিফুর খাবির ও ওবায়দুল্লাহ খান মামুন প্রমুখ।
জাতীয় ইস্যুতে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন:
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রয়েছে। কিন্তু বিগত পনের বছরে একটি দল দেশকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। এখন জাতীয় ইস্যুগুলোতে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ দেশ কারও একার নয়, সবার। দেশ এখনও পনের বছরের জঞ্জালমুক্ত হয়নি। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মর্যাদাশীল দেশ গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরনির্ভরশীল নয়, কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ গড়া প্রয়োজন। প্রভু নয়, বন্ধু প্রতিবেশি রাষ্ট্র চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো আগ্রাসী হাত আমরা দেখতে চাই না।
আমীরে জামায়াত আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দু’টি দেশপ্রেমিক সংস্থাকে ধংস করে দেয়। প্রথমেই তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।