ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বললেন সৈয়দ ফয়জুল করীম
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে আমরা সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলা করবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দিকে চক্ষু তুলবেন না। আঙুল উঠাবেন না, জোরে কথা বলবেন না। যদি আঙুল উঠাতে চান, তাহলে আঙুল হাতে রাখবো না। যদি চক্ষু উঠাতে চান, তাহলে ওই চক্ষু শরীরের মধ্যে থাকবে না। যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঁচু কণ্ঠে কথা বলেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ আপনার কন্ঠকেও চেপে ধরবে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে, কিন্তু গোলামি করে না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ভারত আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। স্পষ্ট হুমকি দিয়েছে। আপনারা ভেবেছেন কি? আমরা আপনাদেরকে ভয় পাই? বাংলাদেশের মানুষ ব্রিটিশকে ভয় পাইনি, পাকিস্তানিদেরকে ভয় পাইনি, ভারতকেও ভয় পাই না এবং পাবেও না। আপনি (ভারত) বহু কিছু করেছেন, আপনার পা চাটা গোলামকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বসিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার কখনো বাংলাদেশের সরকার ছিল না। তারা ভারতের পা চাটা গোলাম ছিল। ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক করেনি। ভারত নির্দিষ্ট একটি দল এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করেছে। বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সমস্ত ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করেছিল, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনের কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের হাইকমিশনের ওপরে আক্রমণ করেছে। আমাদের পতাকাকে অপমান করেছে। হাইকমিশনে মানুষদেরকে আহত করেছে। ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চায়। আমাদের আক্রমণ করতে চায়। ভারত আমাদের কেমন বন্ধু সেটা আমরা ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছি। ভারত আমাদের বন্ধু নয়, তারা বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা বন্ধুত্বের কোনো বক্তব্য হতে পারে না। এটা উনি শত্রুতার বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে লোকসভায় বাংলাদেশ নিয়ে যে আলোচনা উঠেছে এটা বন্ধুত্বের পরিচয় হতে পারে না। এটা শত্রুতার পরিচয় দিয়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুফতি মোস্তফা কামাল প্রমুখ।