বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

‘বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলবেন যারা ভাবেন, তারা আহাম্মকের স্বর্গে’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলবেন, এমনটা যারা ভাবেন, তারা আহাম্মকের স্বর্গে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুরে তার নিজ বাসভবনের সামনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ উপজেলা শাখার বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ হলে চলবে না, আওয়ামী লীগ হতে হবে মওলানা ভাসানীর। আওয়ামী লীগ হতে হবে বঙ্গবন্ধুর, শেখ হাসিনার না।

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুছে ফেলবেন, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলবেন, কাদের সিদ্দিকীকে মুছে ফেলবেন তারা আহাম্মকের স্বর্গে আছেন। কারণ স্বাধীনতা থাকলে আমরা থাকবো।

বিজ্ঞাপন

ভারতের সমালোচনা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ভারত যেটা করছে সেটা ভালো না। আমেরিকা কবে জানি বলছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে, তার নাম কি ট্রাম্প, ট্রাম্প না তার বাপেও পারবে না। আমরা আমেরিকা না, বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিঞ্জার পারে নাই। আমরা বিজয় অর্জন করেছি।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ যে দোষে সর্বহারা হয়েছে, সরকার পতনের পর বিএনপি কিন্তু ওই দোষী করছে। জামায়াত কিন্তু বেবি-টেম্পু স্ট্যান্ড দখল করে নাই, বাজার দখল করে চাঁদা ওঠায় নাই, এটা কিন্তু বিএনপি করছে। আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত এখন বিএনপি সেখান থেকে চাঁদা নেয়। চাঁদার রেট হয়তো বাড়িয়ে দিছে। বন থেকে যেটুকু নেওয়ার নেয়, থানা থেকে যে ভাগ নেওয়ার নেয়। যেখানে যে ভাগ পাওয়া যায় সব নেয়। কিন্তু জামায়াত নেয়নি।

সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস ছবুর খানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ হিটলু, সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জসীম উদ্দিন, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।