গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যম হচ্ছে একটি শক্ত খুঁটি: মির্জা ফখরুল
গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যম হচ্ছে একটি শক্ত খুঁটি বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিন্তু শেখ হাসিনা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে দেশের সমস্ত প্রেসকে গলা টিপে ধরেছিলো, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের মিডিয়াকে নষ্ট করে ফেলেছিলো। যার ফলে সাহস করে কেউ একটি লাইন লিখতে পারেননি। কিছু প্রেস প্রকাশ্যে তার চাটুকারিতায় ব্যস্ত ছিল।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনে বাংলা গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নতুন করে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ফিরে পেতে কিছু কালো মেঘ জমেছে, কিছু ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় কিছু মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে। যার প্রতিক্রিয়া যুক্তরাজ্য থেকেও প্রতিফলিত হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে ৩ দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না, পুলিশ ছিলো না।
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের অভাব বিএনপি আগেই অনুভব করেছে। সংস্কার ছাড়া দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যার ফলে বিএনপি ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে, সেখানেই পরিবর্তন সংস্কার নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি সেখানে সংসদীয় ব্যবস্থা পরিবর্তন করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কতটুকু হওয়া দরকার সে ধারণা দেয়া হয়েছে। তারপর ১০ দফা, ২৭ দফা ও সর্বশেষ ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে যার মধ্যেই সব সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে।
বিএনপিকে মাইনাস করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারও নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তিনবার ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। আবার ক্ষমতায় যাবে তারা। এটা নিশ্চিত। বিএনপি নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত। কালকে বলবেন, কালকে নির্বাচনে যাবে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দল যখন মনে করবে, তার এই মুহূর্তে দেশে যাওয়ার প্রয়োজন, তিনি দেশে চলে যাবেন। সবাই জানেন, তার কতগুলো লিগ্যাল ইস্যু আছে। সেই ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে। কাজ শেষ হলে তিনি দেশে চলে যাবেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তার ফোনালাপও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনা তাদের দেশে (ভারত) আশ্রয় নিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবসময় প্রত্যাশা করি, সব দেশের একটা মূল নীতি আছে। সেটা হচ্ছে, আশ্রিত ব্যক্তি কখনও কথা বলবে না।