লংমার্চে পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে সমর্থন দিচ্ছেন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়।


গাড়ি বহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর থেকে সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়ি বহরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এ সময়; দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা,ঢাকা; ভারতের দালালেরা- হুঁশিয়ার সাবধান’ এমন নানা স্লোগান দেন তারা। নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উড়াচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, চিটাগং রোড, মাতুয়াইল, কাঁচপুর, তারাবোসহ বিভিন্ন জায়গায় পথসভায় অংশ নেয় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

লংমার্চে ভৈরব মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী।


এর আগে একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেন।

গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দেয় ও ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।