বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিতরে কিছু বিএনপি বিদ্বেষী উপদেষ্টা রয়েছেন। বিএনপির কারো নাম বা বিএনপি যদি কারো নামে সুপারিশ করে, তাহলে ওনারা খুব বিব্রত এবং ঈর্ষান্বিত হন। ঈর্ষান্বিত হয়ে সেটা তারা বাইপাস করার চেষ্টা করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাপক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ড. ইউনূসের মত একজন আন্তর্জাতিক মানুষ সরকার প্রধান হয়েছেন। তার কাছ থেকে মানুষ সবসময় ইতিবাচক সবকিছু আশা করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যেনো কোন স্বৈরাচারের বৈশিষ্ট্য না আসে এমন আশা প্রকাশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে সরকার জনগণ দ্বারা তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা হবে, যে সরকার সেই সমালোচনা সহ্য করতে পারবে সেই সরকার হবে জনগণের সরকার। সেটাই হবে গণতান্ত্রিক সরকার।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, জনগণ ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। জনগণের পক্ষ থেকে দাবি, কবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার সেই তারিখ দিতে নারাজ। বহুদিন আগে মাস বলেছে ডিসেম্বর, কিন্তু সরকার ত তারিখও বলতে পারে। এত তারিখ বা এত তারিখ, কেন বলে না? কিসের ভয়? সংস্কার করবেন? সংস্কার ত চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারগুলো আইনে পরিণত করবে কে? নির্বাচিত পার্লামেন্ট। ওটা যদি আইন করতে হয়, সংবিধানে সন্নিবেশিত করতে হয় তাহলে এটা ত করবে নির্বাচিত সংসদ। তাহলে সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হতে হবে। আগে জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফেরত দেন। তারপরে সব।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বিএনপি ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য এমন লড়াই করেছে, তাদের এমপি, তাদের ছাত্র, তাদের যুবক এরা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। শত শত নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। এই গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চ্যম্পিয়নের পতাকা যিনি নিজে নির্যাতিত হয়ে অগ্রগামী হয়েছেন তিনি ত বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, একটা ভাঙা দেয়াল ঘেরা জেলখানার মধ্যে অসুস্থ নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) বন্দি করে রেখে যেভাবে নিপীড়ন করেছেন শেখ হাসিনা, তারপরেও গণতন্ত্রের প্রশ্নে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের নাগরিক অধিকারের জন্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি লড়াই করেছেন। এতটুকু বিচ্যুত হননি।