‘আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আলোচনা সভায় অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আলোচনা সভায় অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই সারা জীবনের জন্য ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে গেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার আর মুখ নেই, এ ইতিহাস মোছা যাবে না।’

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে 'বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়ার অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট নামের একটি সংগঠন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে বিএনপি নাকি ভোটের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ রাতে আওয়ামী লীগ সারা জীবনের জন্য ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে গেছে।’

‘এটা একটা অস্বাভাবিক সরকার। সব কিছু অস্বাভাবিকভাবে চলছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশ কেনা ও তুলতে কতো টাকা লাগে, সেটা দেখলাম। এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দা কেনার দুর্নীতি, এটাকেও হার মানিয়েছে। এক সেট পর্দা কিনতে নাকি ৩৭ লাখ টাকার বেশি লাগে। কেন? কারণ, সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লুট করছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে, কোনো বিচার নাই, রিজার্ভ লুট হচ্ছে, কোনো বিচার নাই। খেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বালিশ আর পর্দা কেনার দায়িত্বে থাকা বড় কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত ১০ বছরে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা সুইচ ব্যাংকে গেছে, তো আমরাও কিছু করি না কেন? তাই তারা বালিশ আর পর্দা কিনতে এমন করছেন। এটা জাতি ও দেশের জন্য অত্যন্ত অশনিসংকেত। দুর্নীতি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঠেকেছে। এ সমাজে পচন লেগেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই বলে এ দুর্নীতি আমরা দেখছি। জণগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হলে দায়বদ্ধতা থাকত। যেহেতু দায়বদ্ধতা নাই, যে যা ইচ্ছা তাই করছেন,’ যোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।

সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করতে চায়, সেসব দলের নিবন্ধনের আহ্বান জানান। এরপর নতুন করে নিবন্ধন নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি শুরু করে। এ ইতিহাস আওয়ামী লীগ মুছবে কীভাবে? কীভাবে তারা অস্বীকার করে? আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ, বিএনপি সেখানে সফল। এজন্য তারা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম মুছে দিতে চায়।’

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।

   

আমরা তো মাত্র দুজনের রূপকথার কাহিনী শুনেছি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, লুট হচ্ছে, ব্যাংক শূন্য হচ্ছে, রাজকোষ শূন্য হচ্ছে- আমরা তো মাত্র দুজনের কথা শুনেছি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধান। তাদের যে রূপকথার কাহিনী শুনেছি এরকম আরও যারা সরকারকে নানাভাবে সাহায্য করেছে, ঘুম, খুন এবং নানান অত্যাচারে লিপ্ত ছিলেন তাদের কাহিনী তো আমরা জানি না। আমরা না জানলেও কথাগুলো তো মানুষের কাছে আছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা পরিষদের উদ্যোগে আহবাব চৌধুরী খোকনের সম্পাদনায় জিয়াউর রহমান অনন্য রাষ্ট্রনায়ক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ এরা যে এতকিছু করেছে, এটা কি প্রধানমন্ত্রী জানতেন না? আওয়ামী লীগ সরকার কি কিছুই জানতো না? সরকার বা রাষ্ট্রের যারা গোয়েন্দা বাহিনী রয়েছে তারা তো একেবারে প্রধানমন্ত্রীর কব্জায়। শেখ হাসিনা যদি আমেরিকায় যায় সেখানে আন্দোলন হলে সেই ছবিগুলো তুলে রাখা হয় এবং পরবর্তীকালে সে আন্দোলনকারী বাংলাদেশে আসলে এয়ারপোর্টেই গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন,'শেখ হাসিনা লন্ডনে গিয়েছিল সেখানে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে সেই ছবিগুলো গোয়েন্দাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দারা আন্দোলনকারীরা যখনই বাড়িতে আসে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। গ্রেফতার করে থাকে।

রিজভী বলেন, আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমান সরকারের কাছে রেজিস্ট্রেশনের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিও জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, তাদের (আওয়ামীলীগ) অন্তরে হচ্ছে মানুষকে নিপীড়ন করা। ওদের অন্তরে হচ্ছে ক্ষমতাকে স্থায়ী করে রাজত্ত্ব কায়েম করা। এজন্য তারা উদারতাকে পছন্দ করে না।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রনেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, তাতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম,ডিইউজের সহ সভাপতি রাশেদুল হক,সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বকুল প্রমুখ।

;

সরকার হাইপো রোগে আক্রান্ত, যেকোনো সময় পড়ে যাবে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার হাইপো রোগে আক্রান্ত, যেকোনো সময় পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত শ্রমিক জনতার সমাবেশে তিনি একথা বলেন। শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান সরকার সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিচার বিভাগসহ সবকিছু নিয়ে যে খেলাধুলা করছে।এতো খেলাধুলা করতে গেলে একসময় সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যাবে এবং সরকার মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে। হাইপো রোগ হলে মানুষ যেমন একটা চকলেটের অভাবে বাঁচে না, তেমনিভাবে বর্তমান সরকার হাইপো রোগে আক্রান্ত। একটা চকলেটের অভাবে যেকোনো সময় পড়ে যাবে।

তিনি বলেন, পুলিশ প্রধান বেনজীর ও সেনাপ্রধান আজিজ তো একা পাপী নয়। এদেরকে পাপী বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। সরকারেরও পাপের কোনো শেষ নেই। তিনি (শেখ হাসিনা) ইশরাক হোসেনকে ভয় পায়, আরও দুদিন পর বিড়াল দেখলেও ভয় পাবে। কয়েকদিন পর তিনি (শেখ হাসিনা) মানুষ দেখলে ভয় পাবে। ওনার ঘরের লাইটের আলোতে নিজের ছায়া দেখলেও ভয় পাবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যে রিজার্ভ চুরি হয়েছে সেটি আদায় করার ইচ্ছা সরকারের নাই। নিশ্চয়ই সরকারের নিজস্ব লোকজন এরসাথে জড়িত। না থাকলে সরকার চুপ করে আছে কেন। এখন পত্রিকা খুললে দেখা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলে এক কথা অন্যদিকে দুদক বলে আরেক কথা।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেনজীরের সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? তার স্ত্রী, মেয়ে কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? অপরদিকে আমাদেরকে কোনো মামলা দিলেই গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বেনজীরকে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করছে। আরও তদন্ত হবে। মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না। অনেকে ভাবছে, বেনজীর আহমেদের বাড়িতো টুঙ্গিপাড়া, সে ক্ষমা পেতে পারে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। 
তিনি বলেন, এদেশের হত্যার রাজনীতি, গুমের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাতে। ৩ হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক স্বাধীনভাবে তদন্ত করে বের করেছে, দুদককে এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার দিয়েছে। যিনি সেনা বাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনিও যদি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করতে পারে। অপরাধী হলে শাস্তি পেতে হবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধ ডাকার জন্য আজকে অপপ্রচার করছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স। দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা আপসহীন। 

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;

আজিজ-বেনজীর সরকারেরই সৃষ্টি: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সরকারেরই সৃষ্টি বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা এরা লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, শাসকগোষ্ঠীর চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছে। তাদের যতই কথা বলুন কিছু যায় আসে না, কর্ণপাত করে না। তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটি হলো লুটপাট করা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের চতুর্দিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনাদের এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। আর ঘুরাঘুরি করে লাভ নাই। মানুষ যেন মনে রাখে নিজেদের দাফন কাফন যেন সুন্দর হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। সকলে রাস্তায় নেমে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অভূতপূর্ব উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। মৃতপ্রায় জাতিকে তিনি স্বপ্ন দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সততার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুরি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব আমাদেরকে একটি নতুন ভূখণ্ড এবং নতুন একটি জাতিসত্তা দিয়েছেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি।

এ সময় ঘূর্ণিঝড় রিমালে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাফা সীমান্তে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

;