গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই নির্বাচনে অংশ নিই: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তারপরও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই নির্বাচনে অংশ নিই।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদলের আয়োজনে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, ছাত্রদল সংগ্রাম করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। তারা দেশের জনতার মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। জনগণ যে রায় দেয়, সে রায় এখানে প্রতিফলিত হয় না। তারপরও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে নির্বাচনে অংশ নিই।

ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে না, তাই আমরা বিশ্বাস করি, এ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

নতুন বছর জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন বছরে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে, লড়াই করবে। অসত্যকে পরাজিত করবে, অসুন্দরকে পরাজিত করে সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

   

বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (০৭ মে) এক অভিনন্দন বার্তায় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ। এই বিজয় টাইগারদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

আগামী ম্যাচগুলোতেও বিজয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল যে ১৪১টি উপজেলায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সেই নির্বাচনে যাবে না।

মঙ্গলবার (৬ মে) তিনি বনানী এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই বার বার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।

;

বিএনপির স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে স্থগিত সমাবেশ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

;

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;