পঁয়ত্রিশে পা রাখলো জাতীয় পার্টি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঁয়ত্রিশ বছরে পা রাখলো জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলের ঐক্য ধরে রাখা এবং প্রকৃত বিরোধী দল হয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এরশাদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে দলটি। ১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিলো। সেই ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল আত্মপ্রকাশ করে।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন অধ্যাপক এম এ মতিন। ২১ প্রেসিডিয়ামসহ নির্বাহী কমিটির আকার ছিল ৬০১ জন। জোটের শরিক জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ),মুসলিম লীগ (সা) ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সেদিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিল। কথিতরয়েছে কাউকে কাউকে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছিল তখন।

জাতীয় পার্টির মতো আর কোন রাজনৈতিক দল এত দফায় দফায় ভাঙনের শিকার হয়নি। জাতীয় পার্টিথেকে বের হয়ে গিয়ে প্রথম পৃথক জাতীয় পার্টি (মিম) গঠন করেন মিজানুর রহমান ও আনোয়ারহোসেন মঞ্জু। দ্বিতীয় দফায় ভাঙনের শিকার হয় নাজিউর রহমান মঞ্জু ও কাজী ফিরোজ রশীদেরনেতৃত্বে। সর্বশেষ পৃথক জাতীয় পার্টি গঠন করেন প্রয়াত কাজী জাফর আহমদ। বর্তমানে জাতীয়পার্টির— জাতীয় পার্টি (জাপা), জেপি, বিজেপি ও জাতীয় পার্টি (জাফর) নামে ৪টি ধারা বিদ্যমান।

চার খণ্ডিত অংশের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীনজোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অপর দুই অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও জাতীয় পার্টি (জাফর) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুক্ত।

বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। জোটথেকে ২৬টি আসন দেওয়া হয়। আর ১৪৬টি আসন রাখা হয় উন্মুক্ত। জোটগত আসনে ২১টি, উন্মুক্ত ১টিসহ ২২টি আসনে বিজয়ী হন এরশাদের প্রার্থীরা। সংসদে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪টি। মোট ২৬ আসন নিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

অনেকে মনে করেছিলেন এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টি ভেঙে টুকরো টুকরো হবে। কিন্তু তাদেরসেই ভবিষ্যত বাণী অসার প্রমাণিত হয়েছে। এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টির হাল ধরেছেন তারসহোদর প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা, সাংগঠনিক টিম গঠন ও জেলায় জেলায় সভা সমাবেশের মাধ্যমে ক্ষেত্র বিশেষে জাতীয় পার্টিকে এখন আরও বেশি উজ্জীবিত দেখাচ্ছে।

জিএম কাদের একাধিক সভায় বলেছেন, জাতীয় পার্টির এখন ক্ষয়িষ্ণু দল নয়। জাতীয় পার্টি এখনবর্ধিষ্ণু দল। মানুষ মনে করেছিল এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টি ভেঙে টুকরো টুকরো হবে।কিন্তু তা হয়নি, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

অনেক শঙ্কা থাকলেও ২৮ ডিসেম্বর সফলভাবেই কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। কাউন্সিলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক, পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। এরইমধ্যে কো-চেয়ারম্যানও অতিরিক্ত মহাসচিবদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ফরম বিতরণশুরু হয়েছে।

এরশাদের মৃত্যূর পর পার্টিতে ভাটার টান লক্ষ্যণীয় হলেও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলটি। এতদিন যারা জিএম কাদেরের ছায়াও মাড়াতেন না সেই সব সিনিয়র নেতাদেরএখন হরহামেশা দেখা যাচ্ছে বনানী অফিসে। এমনকি এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থাতেও যারা পার্টির কর্মসূচি অনেকটা এড়িয়ে চলতেন তারাও এখন সরব। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাপার নেতাকর্মীরা।যদিও কেউ কেউ তাদের হঠাৎ সরবকে সন্দেহের চোখেই দেখতে চাইছেন। তারা মনে করছেন নতুন করেকোনো ফন্দি আটছেন না তো তারা!

তবে শঙ্কার কথা হচ্ছে রওশন এরশাদের নিরবতা। পার্টির কাউন্সিলে উপস্থিত হননি তিনি। তারঅনুপস্থিতিতেই গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে তাকে (রওশন) প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে। এইঘোষণার পর এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি রওশন। তিনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেনসেটাই এখন বড় বিষয়।

যদিও পার্টির তৃণমূলে তার সমর্থন ভগ্নাংশের নিচে। সিনিয়র কিছু সভাসদ ছিলেন তারাও এখনজিএম কাদেরের তীরে তরী ভিড়িয়েছেন। সমর্থন থাকুক আর নাই থাকুক, রওশন বেঁকে বসলে গোলবাঁধতে পারে। বিশেষ করে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে টানা-হেঁচড়া হতে পারে।

কারণ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে টানা-হেঁচড়ার সময় হাইকোর্ট রওশনের নামেই লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন। ২০১৪ সালে এরশাদকে চ্যালেঞ্জ করে সামনে এসেছিল বিষয়টি। ওই সময়ে রওশনবিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার পর এরশাদের সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচন নিয়েমতবিরোধ দেখা দেয়। এরশাদ চেয়েছিলেন তিনি নিজে মনোনয়ন দেবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রওশনেরতালিকাই বহাল ছিল। ওই সময়ে হাইকোর্টের সেই আদেশ ইসিতে প্রদর্শন করার খবর রটেছিল।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র আগে থেকেই একনায়কতান্ত্রিক। গঠনতন্ত্রের নতুন সংশোধনীতে পার্টিরচেয়ারম্যান আরও বেশি ক্ষমতাবান হয়েছেন। জিএম কাদের এখন যা খুশি করতে পারবেন। এটাকেঅনেকে শঙ্কার চোখে দেখছেন। চেয়ারম্যান যদি আবেগতাড়িত কিংবা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েসিদ্ধান্ত নেন তাহলে ঐক্য ধরে রাখা কঠিন হবে।

নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যানের সামনে এখন দু’টি বড় চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছেন। একটি জাতীয় পার্টির ঐক্য ধরে রাখা, আরেকটি হচ্ছে সংসদ ও সংসদের বাইরে প্রকৃত অর্থে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা। সাধারণ জনগণ এমনকি পার্টির কর্মীরাও নিজেদের গৃহপালিত বিরোধী দল মনে করেন। এই অবস্থান থেকে বের হতে হলে কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে নয়, কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চান মাঠের কর্মসূচি। তারা মনে করেন সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলেরভূমিকা পালনের পাশাপাশি মাঠে কর্মসূচি না থাকলে জাপার রাজনীতি থাকবে না। সেটা কতটুকু সম্ভব সেটাই এখন বড় বিষয়।

আর কাউন্সিল কেন্দ্রিক যে ঐক্য তৈরি হয়েছে এটাকে ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে।সরকারের আনুকূল্য থাকায় অনেকেই রওশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। অনেকের ধারণা,কখনও দ্বিধা দেখা দিলে রওশনই সরকারের বেশি আনুকূল্য পাবেন। বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনেরপ্রশ্নে বিষয়টি অনেকটা প্রমাণিত। সে কারণে জিএম কাদের পার্টির যাই হোক শঙ্কা থেকেইযাচ্ছে।

তবে জিএম কাদের ইতোমধ্যে কর্মীবান্ধব খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরাও সহজেই সাক্ষাৎ পান কিংবা কথা বলতে পারছেন। এ ক্ষেত্রে যোজন যোজন দূরত্বে রয়েছেন রওশন। তৃণমূলের কর্মী থাকলো দূরের কথা সিনিয়র নেতাদেরও বেশ বেগ পেতে হয় তার সাক্ষাৎ পেতে।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত জাতীয় পার্টি ভোটের সমীকরণেও দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। আসন সংখ্যায় কিছুটা হেরফের হলেও ভোটের সূচক সব সময় নিম্নগামী। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে কাস্টিং ভোটের ১১.৯২ শতাংশ পেয়েছিলো জাতীয় পার্টি। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ১০.৬৭শতাংশ, আর ২০০১ সালের ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রণ্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট পায়৭.২৫ শতাংশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৭.০৪ শতাংশ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন অংশ নেয়। কিন্তু যে আসনেই জোট ছাড়া নির্বাচন করেছে সেখানেই ধরাশায়ী হয়েছেন দলটির প্রার্থীরা।

জাতীয় পার্টির দুর্গ খ্যাত রংপুর ও গাইবান্ধা থেকেও দিন দিন গুটিয়ে যাচ্ছে দলটি। রংপুর বিভাগের ২২ আসনের মধ্যে মাত্র ৬টি আসনে রয়েছে জাপার এমপি। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলও আশাব্যঞ্জক নয়। মাত্র একটি উপজেলায় জাপার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

   

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;

আচরণবিধি না মেনে আ'লীগ নেতার প্রচারণায় কল্যাণ পার্টির এমপি ইবরাহিম



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচারণায় নেমেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আচরণ বিধি না মেনে একজন সংসদ সদস্যের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই উপজেলায়। এ প্রচারণার বেশ কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি ইবরাহিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাঈদীকে বিজয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ইবরাহিম। চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন। এতে তিনি ছবিযুক্ত করে লিখেন- "চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী কে বিজয় করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

পরে তিনি ওই স্ট্যাটাস বেশ কয়েকবার সম্পাদনা করে আবার লিখেন- "ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকিত হোসেন সজীব। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার (ইবরাহিম) সংসদ নির্বাচনের সময় কাজ করেছিলাম, তাই তিনি খুশি হয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে সভাটিকে সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য করা হয়েছে বলে প্রচার করেছেন বলে জানান আকিত হাসান সজীব।

এরপর চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীসহ উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে ভোট চান এমপি ইবরাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই সভায় উপস্থিত অনেকেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইবরাহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় সংযোগ স্থাপনের। কিন্তু তিনি সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের শলাপরামর্শেই দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়াতে কল্যান পার্টির সাংগঠনিক কোনো অবস্থান না থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সহযোগিতায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফজলুর করিম সাঈদীসহ প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যেখানে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমও।

;

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান, নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস, মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু , মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয় ,আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ , মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু , জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিব। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমান কে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন, মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার
শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মো. সাজ্জাদ আলম, ইয়াজউদ্দিন মাহমুদ ইরাম, ফজলে রাব্বি।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সজিব হোসাইন। উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পল্লব বিশ্বাস, অন্তু বাহাদুর ছেত্রী, হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, চন্দন মন্ডল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জিহাদ বিশ্বাস। উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান ফুলেল, আসেফ আমের চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম অভি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন মো. সজল দেওয়ান। উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন টি. এম. পারভেজ, মো. সাকিব আল জহির অনিক, জাহিদ হাসান শোভন ও মো. মশিউর রহমান স্বপ্নীল।

;

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে ও ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

;