উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে, কালো আইন বললেন ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ফাইল ছবি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের যে আইন পাস হয়েছে, সেটাকে ‘কালো আইন’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি কালো আইন। এই আইনটা করে তাদের (সরকার) যে দুরভিসন্ধি, এটাকে লিগেলাইজ করছে। দুরভিসন্ধিটা হচ্ছে- তারা তো অর্থনীতিকে একেবারে ব্যানক্রাফট করে ফেলেছে।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই আইন থেকে এটাই প্রমাণিত হলো- সরকার সব জায়গা থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেছে। এটা দুর্নীতির একটা অংশ বলতে পারেন। কারণ এই অর্থগুলো ব্যবহার করবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে, মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনের পত্র-পত্রিকাগুলোতে আমরা দেখতে পাব যে, ব্যাংকের খাত থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা। পত্র-পত্রিকায় যা বেরিয়েছে তাতে করে অর্থনীতির নেগেটিভ চিত্র ছাড়া পজিটিভ চিত্র কোথাও দেখা যায়নি।’

দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একমাত্র প্রবাসীদের আয় রেমিটেন্স ডলার হিসেবে কিছুটা পজেটিভনেস দেখা গেছে। তাছাড়া বাকি সবগুলো খাতের সূচকগুলো নেগেটিভ। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় সমস্যা রফতানি আয় কমে গেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে গার্মেন্টস খাত যার ওপর আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয়, সেখানকার অবস্থা খুব খারাপ।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক, নন-ফিনান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন পাস হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভায় এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।