মুজিববর্ষ উপলক্ষে খালেদার মুক্তি চেয়ে আবেদন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদনটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

আবেদনে বলা হয়, “আগামী ১৭ মার্চ মুজিব শতবর্ষ পালনের উদ্বোধনী দিনে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১, ৪৮(৩) এবং ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মানবিক কারণে এবং তার বয়স, প্রথম শ্রেণির নাগরিক ও অসুস্থ নারী হওয়ায় তাকে জেল থেকে মুক্তির আর্জি জানাচ্ছি।”

ড. ইউনুছ আলী আকন্দের আবেদনে আরও বলা হয়, “সমগ্র বিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর কারণে বিভিন্ন দেশের বন্দীদের মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও করোনায় আক্রান্ত। এই অবস্থায় খালেদা জিয়াসহ সকল অসুস্থ, বৃদ্ধা, জ্যেষ্ঠ নারী কারাবন্দী নাগরিকদের সংবিধান অনুসারে দণ্ড মওকুফের জন্য জনস্বার্থে আর্জি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যুদ্ধে সাহসিকতার ফল স্বরূপ বীর উত্তম খেতাবও পেয়েছেন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সাহসী বীর উত্তম খেতাবধারীর স্ত্রীকে এভাবে জেলে রেখে শতবর্ষ পালন করতেন না, কারাদণ্ড হলেও মুক্তি দিয়ে শতবর্ষ হতো। মুজিব শতবর্ষ ১৬ কোটি মানুষ স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত ক্ষমাশীল ছিলেন। ক্ষমা স্বর্গীয় জিনিস। ক্ষমা মানুষকে সম্মান দেয় এবং জনসমর্থন বাড়ে।”

আবেদনে বলা হয়, “খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ। তাই জনস্বার্থে যে কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন। তাই খালেদা জিয়াকে যে কোনও শর্তে সব ধরনের দণ্ডের মার্জনা, বিরাম মঞ্জুর এবং দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার আর্জি জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কারাগার থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে নিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।