সাংবাদিকদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই: ফখরুল
সাংবাদিকদের সম্ভবত সবার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জনগণের লড়াই সংগ্রামে সাংবাদিকরা সব সময় সামনের কাতারে ছিলেন। আমরা তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন যখন হচ্ছে তখন সাংবাদিকতা পেশায় সম্ভবত সবার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রের কাঠামো ও সরকারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। এছাড়া প্রযুক্তির কারণেও চ্যালেঞ্জ পেতে হচ্ছে।
নিউজ পেপারে যারা কাজ করছেন তারা বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন কারণ পরের দিন সকালে যখন তাদের নিউজটি ছাপা হয় তার আগেই মোবাইল বা অনলাইনে সেই খবরগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীতে মুক্তচিন্তার যে বাতাস বইছিলো তা সরিয়ে দিয়ে একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিবাদ বেশ জানান দিয়ে সারা পৃথিবীতে এসেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন দেশে গণতন্ত্র নেই। একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিবাদ দেশকে দখল করে আছে। আমরা যদি ভারতবর্ষের দিকে তাকাই, যেখানে বলা হতো গণতান্ত্রিক প্রাক্টিস আছে। সেখানেও দেখা যাচ্ছে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হচ্ছে, কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। সারা পৃথিবীর দিকে তাকালে গত এক দশকে গোটা পৃথিবীতে কর্তৃত্ববাদী সরকার এসেছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারপারসন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার মত ত্যাগ কেউ করেনি। সেই গণতন্ত্রের নেত্রীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ৩৮ জন সাংবাদিক গুম হয়েছেন। চাকুরির নিশ্চয়তা নেই। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার বছরের পর বছর ঝুলে আছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ছাঁটাই হচ্ছে। সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছে না। অথচ দেখছি দুই একজন সাংবাদিক নেতা বহু উপরে উঠে গেছেন। এটাই বাস্তবতা। সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।
করোনভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার তাগিদ দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের এই দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এটা যে কোন সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে।