প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা আমাদের হতাশ করেছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: সংগৃহীত

মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে করোনা মোকাবিলায় যে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, সেটা আমাদের প্রচণ্ড হতাশ করেছে। এতে অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেমন নেয়া হয়নি, তেমনি প্রকৃত সত্য আড়াল করে প্রণোদনার পরিমাণকে অনেক বড় করে দেখানো হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) তার ফেসবুক পেজে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তার ফেসবুকের লেখা তুলে দেওয়া হলো:

‘১. শিল্প, সেবা খাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণ

বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ৩০ হাজার কোটি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের শিল্প এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে কোনো সময়েই ব্যাংকের ঋণ পাবে, ঋণ দেওয়াই ব্যাংকের ব্যবসা। এটা কোনোভাবেই প্রণোদনা হতে পারে না।

বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ঋণের সুদের ৯% এর ৪.৫% এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের সুদের ৫% সরকার ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংকগুলোকে দেবে। প্রণোদনা বললে এটুকুকেই শুধু বলা যেতে পারে। প্রথমত এ ঋণের পুরোটাও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌঁছাবে কি না, তা অনিশ্চিত, এমনকি সেটা পুরোটা পৌঁছলেও এর পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫০০ কোটি টাকারও কম।

২. বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো

এ ফান্ডে অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন ডলার (১২,৭৫০ কোটি টাকা) যুক্ত করা হচ্ছে, এতে মোট ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলার। এতে সুদের হার ২.৭৩ থেকে ২ শতাংশে নামানো হয়েছে। ০.৭৩ শতাংশ সুদ কমানোই এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা। এ হ্রাসকৃত হার পুরো ফান্ডের ক্ষেত্রে কার্যকর হলে এ প্রণোদনার পরিমাণ টাকার অংকে হবে মাত্র ৩১০ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন: ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

৩. প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম

এ নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার টাকার নতুন ঋণ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, যাতে সুদের হার হবে ৭%। বাজারে প্রচলিত সুদের চাইতে যে হার ২% কম। এ ২% কম সুদই প্রণোদনা। পুরো ঋণ যদি বিতরণ করা হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ কোটি টাকা।

এ ভাষণের সবচেয়ে হতাশাজনক দিক হচ্ছে বর্তমানে অঘোষিত লকডাউনের কারণে 'দিন আনে দিন খায়' এমন মানুষ তো বটেই, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তসহ ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষের জন্য ন্যূনতম কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। এর মধ্যেই মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দরিদ্র মানুষরা বসে আছেন, একটু খাবার পাওয়ার আশায়।

উন্নত বিশ্বের কথা বাদ দিলেও এ দক্ষিণ এশিয়াতে করোনা মোকাবিলায় সরকারগুলো যে ফান্ডের ঘোষণা করেছে, সেগুলোতে এ রকম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নগদ অর্থ সাহায্য এবং বিনামূল্যে কিংবা নামমাত্র মূল্যে খাদ্য সাহায্য দেওয়া, কয়েক মাসের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ ইউটিলিটি বিল মওকুফ করা কিংবা রেয়াত দেওয়া, প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্যে ভর্তুকি দেওয়াসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

করোনার বিস্তার ঠেকানোর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো না নিয়ে সরকার এ দেশের কোটি কোটি মানুষকে জীবন হারানোর মতো ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওদিকে এ মানুষগুলোর ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেবার কারণে রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাবেন না, তারা আছেন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে এবং অনেকেই মারা যাবেন না খেয়ে।’

   

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে আ. লীগকে আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সাতটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সায়েম খান জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

তিনি জানান, বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

আরও জানান, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

;