মাঠে নেই, অনেক রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমই বিবৃতি সর্বস্ব



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ও শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রথম থেকে যথাক্রমে রওশন, ড. কামাল, ডা. বি চৌধুরী ও হানানুল হক ইনু, ছবি: সংগৃহীত

প্রথম থেকে যথাক্রমে রওশন, ড. কামাল, ডা. বি চৌধুরী ও হানানুল হক ইনু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা লক্ষ্যণীয়। তবে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতাসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের দলীয় কার্যক্রম।

মহামারি করোনার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ। কর্মহীন এসব মানুষের পাশে সরকার সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগেও প্রশংসনীয় ত্রাণ কার্যক্রম দৃশ্যমান।

কিন্তু জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের দেখা মিলছে না মাঠে-ময়দানে। দু’টি বিবৃতি দিয়ে নিজের দায় সেরেছেন তিনি। টানা ছয় বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতার গদিতে আসীন এ নেতার ভূমিকায় সাধারণ জনগণ চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা ভেবেছিলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে বিত্তশালী এ নেতা জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। সে আশায় গুড়ে বালি। তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

একইভাবে নির্বাচন এলেই যাদের মুখে কথার ফুলঝুঁড়ি ফোটে, সেই নেতারাও অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। সরকারের বাইরে থাকা সবচেয়ে বৃহৎজোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এ পর্যন্ত ছয় লাইনের দু’টি বিবৃতি দিয়ে নিজের দায় সেরেছেন। তার নিজের দল গণফোরামের দেখা মিলছে না মাঠে।
গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, না আমরা দল থেকে কিছু করছি না। এটা সরকার করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের প্রতিটা নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নিরাপদে থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছি। অন্তত ৩৫টি স্পটে আমরা ত্রাণ দিয়েছি। আমরা মিডিয়ায় দেখানোর জন্য কাজ করি না। হাদিসেই আছে বাম হাত কি দিল, ডান হাত জানবে না। অতএব আমরা ত্রাণ দেওয়ার ছবি দেই না।

দলীয় কোন্দলের কারণে গত অক্টোবর মাস থেকে নিজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিতাড়িত হয়েছেন ড. কামাল। কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের দখলে রয়েছে। এ অংশটিরও তেমন ত্রাণ তৎপরতা নেই। মার্চে ১৩শ’ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করে হাত গুটিয়ে বসে আছেন তারা।

প্রয়াত এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি এখন চারটি ধারায় বিরাজমান। এর মধ্যে দু’টি ধারা সরকারের সঙ্গে রয়েছে, দু’টি ধারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের আসনে থাকা মূলধারার কিছুটা কার্যক্রম দৃশ্যমান। এ ধারার নেতা জিএম কাদেরকে মাঝে মধ্যে দেখা যায় বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে। করোনা শুরু পর থেকেই দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে তাকে।

দলটির সংরক্ষিত চারজনসহ ২৬ জন সদস্য রয়েছেন জাতীয় সংসদে। এর মধ্যে মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাদ এরশাদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও লিয়াকত হোসেন খোকাকে ত্রাণ বিতরণে সরব দেখা গেছে। অন্যদের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো নয়। সীমিত পরিসরে ত্রাণ দিয়ে নিজের অবস্থা জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপি (আন্দালিব রহমান পার্থ) দেশের দু’টি স্থানে সীমিত পরিসরে ত্রাণ বিতরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় পার্টির অপর দু’টি অংশের কোনো হদিসই মিলছে না।

আন্দলিব রহমান পার্থ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ত্রাণ দেওয়ার বিষয়টি আমি পাবলিকলি আনি না। মিডিয়ায় দেখানোর জন্য ত্রাণ দেই না। আমি শত শত ত্রাণ দিয়েছি। আমি মনে করি, এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। চাইলে আমি অনেক ছবি দেখাতে পারি।

বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল এখন তিনটি ধারায় বিভক্ত। কোনো ধারাই প্রকৃত অর্থে সরব নয় মাঠে। সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তার অংশের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য শিরীন আখতার জাতীয় সংসদের ছয় মাসের বেতন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। এর বাইরে তাদের তেমন কোনো ভূমিকা চোখে পড়ছে না। মাঝে মধ্যে বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যক্রম।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন জাসদের কার্যক্রমও দৃশ্যমান নয়। কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন উত্তরা এলাকায় কিছু ত্রাণ দিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে তাও খুবই সীমিত পরিসরের। অনেকটা সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইনে) থাকার মতো অবস্থা হয়েছে দলটির। জাসদের তৃতীয়ধারার কোনো হদিস মিলছে না। মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর অংশটি ঝিমিয়ে পড়েছে। এ অংশের নেতা নাজমুল হক প্রধান গ্রামের বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নাগরিক ঐক্য ততটা খ্যাতি-জনপ্রিয়তা অর্জন করতে না পারলেও রাজনীতির মাঠে আলোচিত-সামালোচিত নাম মাহমুদুর রহমান মান্না। ডাকসুর সাবেক এ ভিপিকে সরব দেখা যায় বিভিন্ন সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনায়। করোনার কারণে এসব কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেলে তিনিও যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বা আমার সংগঠন থেকে অনেক কাজ করেছি। আরো অনেক করতে হবে। বিষয়টা মনে রাখতে হবে দুই কোটি মানুষ দিন আনে দিন খায়, ৭০ দিন লকডাউন চলছে। আমাদের এ সহায়তা সেখানে কিছুই না, তারপরও কিছু করছি। করোনা মোকাবিলায় সরকার দক্ষতা দেখাতে পারেনি। তারপরও বলব, যত তাড়াতাড়ি বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে, যত করোনা পরীক্ষা বাড়াতে পারে, ভালো।

সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত বিকল্প ধারারও একই অবস্থা। দলটির কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;