ভেঙে পড়ছে জাতীয় পার্টির চেইন অব কমান্ড



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভেঙে পড়ছে জাতীয় পার্টির চেইন অব কমান্ড, মধ্যম সারি থেকে সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য চিটার-বাটপার-তেলবাজ বলে ফেসবুক ফাটানো হচ্ছে। যারা এসব রটাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন এই শ্রেণির নেতা-কর্মীরা।

জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, পার্টির নেতাকর্মীদের ফেসবুকে ঢুকলেই চোখ আটকে যায়। কি হচ্ছে এসব, কারো মুখেই লাগাম নেই। জুনিয়র সিনিয়রের মধ্যে যেখানে হৃদ্যতা সম্পর্ক থাকার কথা, সেখানে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। একজন সেরতো আরেকজন সোয়াসের। গালমন্দে আটকে থাকছেন না, গড়াচ্ছে হুমকি ধামকি পর্যন্ত। কেউ কেউ আবার অন্যকে শায়েস্তা করার জন্য বরাদ্দ রেখেছেন সেটিও প্রকাশ করছে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে এসে। কেউ কেউ পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকেও একহাত নিচ্ছেন কমেন্ট করতে এসে।

পার্টির মধ্যে শিষ্টাচারেও বেশ ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেক অনুষ্ঠানেই মঞ্চে বসা নিয়ে গোলমাল দৃশ্যমান। সিনিয়র নেতারা বসার চেয়ার পাচ্ছে না। প্রত্যেক নামের সঙ্গে একেকটি বিশেষণ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে আরেকজনের নাম জিজ্ঞেস করলেন, তিনি হয়তো এমন উত্তর দিচ্ছেন ওহ ইয়াবা…..। পার্টিটাকে শেষ করে দিচ্ছে। চেয়ারম্যানকে ফুসলিয়ে যাতা করে ফেলছে। আরেকজন হয়তো বলছেন, ….দালাল।

এই বিতর্কে সামিল হচ্ছেন তৃণমূল থেকে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পর্যন্ত। পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিষদের দু’জন সদস্য ইদানিং এসব কর্মকাণ্ডে বেশ সরব। জিএম কাদের দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েক দফায় প্রমোশন পেয়ে উপদেষ্টা পরিষদে ঠাঁই পাওয়া এই দু’নেতা ফেসবুকিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন। একজনতো প্রকাশ্য আরেকজনকে সাইজ করার জন্য বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দিচ্ছেন।

পার্টির চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন। ১৭ মে স্ট্যাটাসে লিখেছেন “……ইসলাম ধর্মে শীর্ষ শয়তানের নাম দেওয়া হয়েছে-ইবলিশ। আর ইবলিশ এর বাংলাদেশি ভার্সন হচ্ছে রেজাউল।”

৬ মে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এক কলা বিক্রেতার রেজাউল টাইপের ধুরন্ধর দুইটা পুত্র ছিল……। এই স্ট্যাটাসে স্বেচ্ছাসেবক পার্টি জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আকবর এইচপি আইডি থেকে কমেন্টে লিখেছে, গল্প পড়ে আমি মনে করছি পাশের গ্রামের রেজাউলের কথা, পরে ভাবছি প্রতিবেশী বিভাগের (চট্রগ্রাম বিভাগের) রেজাউল হবে, চিন্তায় আছি রেজাউল নিয়ে! আরেকজনের কমেন্টের রিপ্লাই অপশনে মনিরুল ইসলাম মিলন লিখেছেন, “ভালো ব‌লে‌ছো। আর ঐটা মেইড ইন ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া।” আরেক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, এটাকি ভুঁইয়া পরিবারের? সেই কমেন্টে লাইক দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করেছেন উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন। এই স্ট্যাটাসে ১৮২টি কমেন্ট পড়েছে। যার বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সাবেক নেতা।

রেজাউলের পরিচয় পুরোপুরি না লিখলেও পরের কমেন্ট এবং লাইকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এসব স্ট্যাটাসে যে সব কমেন্ট পড়েছে তার কিছু কিছু সভ্য সমাজে মুখে আনা কঠিন।

মনিরুল ইসলাম মিলন বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, আমি গল্পে রূপক অর্থে রেজাউল নামটি ব্যবহার করেছি। নির্দিষ্ট কাউকে বুঝাতে চাইনি। নির্দিষ্ট করে বুঝাতে চাইলে তাহলে তার নাম পদবি দিয়েই লিখতাম। আমাদের দলেতো আরও অনেক রেজাউল রয়েছে। ভূঁইয়া বংশের কিনা এমন কমেন্টেতো আপনি লাইক দিয়েছেন, তার অর্থ কি দাঁড়ায়। জবাবে বলেন, আমি লাইক দিয়েছি মানে দেখেছি। তার মানে এই নয় যে আমি এটাকে সঠিক বলেছি।

পার্টির অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ফেসবুকে নানা রকম আপত্তিকর লেখালেখি পার্টির জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে কি না। জবাবে বলেন, আমি মনে করি দলীয়ভাবে এ বিষয়ে কিছু একটা করা উচিত। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, আমি ঈদ উপলক্ষে গ্রামে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, মনিরুল ইসলাম মিলনের বিষয়টি স্টপ করা হয়েছে। স্পষ্ট কেউ বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়ে ভালো আইন করেছেন যদিও আমরা এটার সমালোচনা করেছি।

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির দফতর সম্পাদক মাহবুবার রহমান কামাল, আজমল হোসেন জিতু নামের একজনের স্ট্যাটাসে এসে লিখেছেন আগে সুনীল শুভকে বিদায় করতে হবে। প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারির বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্য কেউ লিখতে পারে এটা অন্যদলের ক্ষেত্রে অভাবনীয়। কিন্তু এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মিজানুর রহমান নামে এক সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা স্ট্যাটাসে লিখেছেন পার্টির ফান্ডের হিসেবে চাই। তিনি পার্টির কাউন্সিল, বন্যা এবং বিভিন্ন সময়ে তোলা ফান্ডের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানেও হামলে পড়ছে পার্টির কর্মী সমর্থকরা। একজনতো এসে চেয়ারম্যানের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড় দেননি।

আরেকজন উপদেষ্টা রয়েছেন তিনি এক কাঠি বেশি সরস। যাকে তাকে হুমকি-ধামকি দিতে সিদ্ধহস্ত। আজমল হোসেন জিতুর স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতে এসে লিখেছেন। এবার…দেখে নেবো। সাইজ করার জন্য বরাদ্দ রেখেছি…ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন কমেন্টের পর সেখানেও আবার নানা রকম আলোচনা। এক শ্রেণির নেতাকর্মী রয়েছেন এসব আলোচনা উস্কে দিয়ে মজা নিচ্ছেন।

নিজের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, আমি পাবলিক ফিগার আমাকে সবাই পছন্দ করবে এমনটা আশা করা কঠিন। কেউ গালাগাল করবে এটাই স্বাভাবিক। দলীয় কর্মীরাই অনেকে আপত্তিকর মন্তব্য করছে এমন প্রশ্নে বলেন, আপনি যাদের কর্মী বলছেন তারা হয়তো কেউই দলের রেজিস্টার্ড কর্মী নয়, রেজিস্টার্ড কর্মী হতে হলে দলীয় চাঁদা দিতে হয়, দলের কোনো ফোরামে নাম থাকতে হয়। তারা কেউই জীবনে চাঁদা দেয়নি, নামও দেখাতে পারবে না। হয়তো ২০ বছর আগে কোনো একবার চাঁদা দিয়ে থাকতে পারে। তারা আসলে বেকার কাজ নেই, পার্টি অফিসে আসা যাওয়া করে, বিভিন্ন প্রোগ্রামে হাজির হয়, আমরাও এন্টারটেইন করি। তারা আসলে অফিসিয়ালি রেজিস্টার্ড কর্মী নয়। অনেকে রয়েছে, যাকে পছন্দ নয়, পয়সা দিয়েও তার বিরুদ্ধে এসব লেখালেখি করে। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;