'সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে দেশের এই করুণ অবস্থা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে আজকে দেশের সবচেয়ে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৮ জনু) রাজধানীর নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথিক দলের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডাক্তার আরিফুল হক মোল্লা। মহাসচিব ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হোন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয় পুরো বিশ্বে চিকিৎসা শাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি একটি পুরাতন চিকিৎসা ব্যবস্থা। হোমিওপ্যাথি যারা চিকিৎসা করেন তারা বিশ্বাস করেন যে হোমিওপ্যাথি হামলেস চিকিৎসা ব্যবস্থা যা দ্বারা মানুষের ক্ষতি হয় না। এটাতে কোনো সাইড ইফেক্ট থাকে না। হোমিওপ্যাথি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কার্যকারী একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। যারা এতে বিশ্বাস করেন তারা নিশ্চয় এতে উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত একেবারেই ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখে এসেছেন যে আমরা আগে থেকেই অনেকবার বলেছি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের চরম অবহেলা করার কারণে, তাদের উদাসীনতার জন্য এবং কোভিড-১৯ এর আক্রমণের পর থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারণে, ভ্রান্ত নীতির কারণে আজকে বাংলাদেশ সবচেয়ে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আছেন তারা একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। স্থানীয় সরকার যারা আছেন, ঢাকা সিটির উত্তরের মেয়র গতকাল বলেছেন আর কাল বিলম্ব না করে এখনই জোন ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

ফখরুল বলেন, অনেকদিন আগেই বলা হয়েছে দেশে রেড জোন, ইয়োলো জোন গ্রীন জোন করা হবে। এবং ঢাকা শহরকে কতগুলো অঞ্চল ভাগ করে রেড জোন চিহ্ন করে তারা কঠোরভাবে লকডাউন করবেন। একমাত্র পূর্ব রাজা বাজার ছাড়া আর কোথাও এটা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আসলে আমার মনে হয় সরকার জানেও না যে একজ্যাক্টলি তারা কি করবেন? কি করতে চাচ্ছেন? এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গাইডলাইন দিবে সেটিও তারা দিতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, পুরো বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য যে একটা ম্যাপ, একটা রোড ম্যাপ, একটা পরিকল্পনা, একটা প্রতিরোধ পরিকল্পনা তার সবটাই অনুপস্থিত এখানে। আমরা দেখেছি কয়েকদিন আগে চীনা বিশেষজ্ঞরা এসেছিলেন। তারা এসে একই কথা বলেছেন যে বাংলাদেশে সব কিছু এলোমেলো। এখানে কোথায় রোগ আছে সেটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চিহ্নিত করতে পারছেন না এবং চিহ্নিত করার জন্য কোনো ব্যবস্থা তাদের নেই। আজকের দুর্ভাগ্যের কথা আমাদের সরকার প্রথম থেকেই এই বৈশ্বিক মহামারীকে উপেক্ষা করেছেন, অবহেলা করেছেন। এটার পিছনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। পরবর্তীতে এটা যখন একটি মহামারী আকারে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছে তখন বাংলাদেশে এটা নিয়ে কিছুটা কথা বলা শুরু করেছে, কাজ করেছে।

   

বিএনপি ও বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচারে ভোটার উপস্থিতি কম: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিসহ সমমনাদের মিথ্যাচার ও নামিদামি বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচারে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ সমমনাদের অভিরাম মিথ্যাচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবী আছেন, তারাও মিথায়চার, অপপ্রচার করে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করেছেন ভোটের ব্যাপারে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি এটা যদি বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলবো, ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন তাতে বিবিসি বলেছিলো ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন ২১ শতাংশ। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশও যদি ধরি তাহলে ৩০ শতাংশ এটা কম কিসের?

তিনি আরও বলেন, আমি এই ভোটকে খুব বেশি ভাল বলবো না। বলবো মোটামুটি ভাল হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথার বলার প্রয়োজন নেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাইদ বলেছেন, ‘বিএনপি এখন পরজীবী হয়েছে গেছে। তাই রিকশা চালকদের আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের কিছু ক্ষমতা নাই। অন্যের প্রতি আশ্রিত হয়ে দেশের ভিতর গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে৷’

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুগি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে প্রতিহত করার নাম করে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। দেশ বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। নানা জনে প্রশ্ন বিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে ঠিক ই, কিন্তু এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিকট অতীতে দেখা যায়নি। ৪২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশে এত ভোটার উপস্থিত হয় না। এখন পর্যন্ত ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অভিনন্দন জানিয়েছে। বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাথে কাজ করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটাল সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। সারা পৃথিবীতে পণ্যের দাম বেড়েছে, সংকটও বেড়েছে। এ বাস্তবতায় আমাদের এখানেও দাম বেশি। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ না। কোথাও কিছু হলে, তার প্রভাব বাংলাদেশে আসে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দাম বেশি, আমাদের দেশেও সংগত কারণ জিনিসপত্রের দাম বেশি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেনারেল আজিজকে ভিসা নীতির অধীনে নয়, অন্য অ্যাক্টে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ৩টি ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছিল। ইমিগ্রেশন এন্ড ভিসা পলিসি এর আওতায় এটা করা হয়েছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স । মার্কিন সরকার এর সাথে একযোগে কাজ করে যেতে চাই।

সাবেক সেনা প্রধানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউএসএ মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একযোগে কাজ করতে চাই। যেহেতু সেনাবাহিনীর বিষয়। এনিয়ে আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা মার্কিন সরকারের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে সত্যিকারে ভিসা নীতি হলে, যার বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এটা কার্যকর করা হয়। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে। পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে৷ হত্যা, অগ্নি-সন্ত্রাস তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

;

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুর্নীতি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ব করেছে। তাই সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞায় খুশির কিছু নেই। এর আগে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কেউ গণতন্ত্র উদ্ধার করে দিবে না।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে রাজধানীর ডিআরইউতে শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে সরকার। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারের দুর্নীতি বাড়ছে।

ফখরুল বলেন, ১৫ বছরে ব্যাপক অপকর্মে জনসমর্থন হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে তাতের এতো ভয়। তার অভিযোগ, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারের দুর্নীতি বাড়ছে। সব নিয়ম হয় দুর্নীতিবাজদের জন্য। স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কখনও দেশের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, কে কী বললো, কে কী করলো সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেদের গণতন্ত্র, নিজেদের উদ্ধার করতে হবে। এ সময় আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এ বিএনপি নেতা।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নিজেরা নিজেরা লড়াই করছে। এই নির্বাচনে মানুষ অংশগ্রহণ করছে না। কারণ তারা জানে এখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তারা বলে, তারা দুর্নীতি করে না। অথচ সাবেক সেনাপ্রধানকে দুর্নীতির কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

উপজেলা নির্বাচন

দ্বিতীয় দফায় ভোটার বাড়ার আশা আওয়ামী লীগের



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রথম দফার কম ভোটের রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক দলটি। সে চেষ্টায় নেতাকর্মীদের আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এখন পর্যন্ত হওয়া ৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩৬.১ শতাংশ ভোটার তার ভোট প্রয়োগ করে। ফলে ভোটারদের নির্বাচন বিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্লেষকরা।

তাই দ্বিতীয় দফায় ১৫৬টি উপজেলায় শুরু হতে যাওয়া আজকের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে আনতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি।

সেই লক্ষে নেতাকর্মীদের প্রতি কেন্দ্রের কড়া নির্দেশনা, ভোটের যেনো সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। ভোটের মাঠে কেউ যেনো আধিপত্য বিস্তার না করে। অমান্য করলে আছে কঠোর হবার হুমকিও!

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর অংশ না নেয়া এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ জনগণের আগ্রহ এমনিতেই কম। এর মধ্যে যদি প্রভাবশালীরা আধিপত্য বিস্তার করে তাহলে ভোট দিতে দলের সমর্থকরাও আসবে না। এটা বুঝতে পেরে কাউকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি, সেই সাথে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দলটি।

তবে সে নির্দেশনা কতটা মেনে নিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা সে নিয়েও আছে প্রশ্ন। তথাপি যারা নির্বাচনে আসতে ইচ্ছুক, তার যেন ভোটের অধিকারের প্রয়োগ ঘটাতে পারে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছে দলটি। তাই ভোটের মাঠে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে ভোটারদের আকর্ষণ করতে চায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, আমরা আশা করছি এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের নেতাকর্মীরা অনেক জায়গায় আছেন। আবার কোন প্রতীক না থাকায় সবাই প্রার্থী হতে পেরেছেন ইচ্ছে মতো। তাই অধিকাংশ জায়গায় প্রতিযোগিতার পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন প্রার্থীরা। ফলে বাড়বে ভোটার উপস্থিতি।

এছাড়াও প্রথম দফার নির্বাচনে বৈরি পরিবেশ ও ধান কাটার মৌসুম থাকায় অনেকে ইচ্ছে থাকাও সত্ত্বেও আসতে পারেনি ভোটকেন্দ্রে। এবার আর তেমন বাস্তবতা না থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে আসবে। আবার নেতাদের প্রতিও নির্দেশনা ছিলো ভোটার বাড়াতে লিফলেটসহ নানা প্রচারণামূক কাজ করার জন্য। এসব কিছু মিলেই একটি পজিটিভ দিক আমরা দেখতে পাবো আজকের নির্বাচনের ফলাফলে।

ভোটার উপস্থিতি বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা আশা করছি, দ্বিতীয় দফার নির্বাচন যেনো সুষ্ঠু হয়, কোন রকম বিশৃঙ্খলা যেনো না হয়। সেভাবেই দল হিসেবে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনও সে লক্ষে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিস্থিতি শান্ত ও সুষ্ঠু রাখার জন্য কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নির্বাচনের দিন একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পারি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোটারদের উপহার দিতে পারি তাহলে ভোটাররাও ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবে। তাই আমাদের লক্ষ্য, একটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। আমরা আশা করি ভোটের দিন সেটা থাকবে।

প্রথম দফার চেয়ে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে যেনো ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। প্রথমবারের চেয়ে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

;