বিএনপির নীতি নির্ধারণী সভায় শোক প্রস্তাব গৃহীত
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সভায় কয়েকটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় গুলশানে বিএনপি'র চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যুক্ত হন তারেক রহমান।
শোক প্রস্তাবগুলো হলো-
১. গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ইন্তেকালে স্থায়ী কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করে। সভা মনে করে যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদকে হারলো। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন শুধু শিক্ষাবিদই ছিলেন না, তিনি একজন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন।
তার গবেষণা এবং প্রকাশিত পুস্তক সমূহ দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মতো সাহসী, স্পষ্টবাদী, মুক্ত চিন্তার ব্যক্তিত্ব সমাজে বিরল। তিনি জাতির বাতিঘর ছিলেন। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা পূরণ হবার নয়।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ সাহেবের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে সভা।
২. বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম নায়ক সাবেক সাংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে। শাহজাহান সিরাজ এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তি যুদ্ধে যে অবদান রেখেছেন তা সবসময়ই স্বর্ণা অক্ষরে লিখিত থাকবে। শাহজাহানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে সভা।
৩. সভায় সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের প্রতিষ্ঠা সভাপতি এবং মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক আবুল কাসেমের ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন করে। কাসেম একজন মুক্তি যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের প্রতিষ্ঠা সভাপতি হিসাবে অনন্য অবদান রাখেন। সভা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
৪. চলমান কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
সভায় মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।