শেখ কামাল, ক্রীড়াঙ্গনের নীল ধ্রুবতারা!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার শহীদ শেখ কামাল

আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার শহীদ শেখ কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের একাকি আকাশে অনেক তারা জ্বলে। তবে এই অনেকের মধ্যে নিজের উজ্জ্বলতা ঠিকই একটু আলাদা করে জানিয়ে দেয়-ধ্রুবতারা! একটু বেশি আলোকিত।

শেখ কামাল আমাদের ক্রীড়াঙ্গন তথা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এবং বৃহৎ অর্থে দেশ গড়ার কাজে তেমনই এক ধ্রুবতারা। মাত্র ২৬ বছর বয়সের জীবনে একজন মানুষ কিভাবে নিজেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিভূ হয়ে উঠতে পারেন- শেখ কামালের জীবন দর্শন তারই প্রমাণ!

সাধারণত এই বয়সে সবাই মাঠের খেলোয়াড়ই হতে চায়। শেখ কামালও মাঠের খেলোয়াড়ই ছিলেন। বাস্কেটবল খেলেছেন। ফুটবল খেলেছেন। ক্রিকেটেও নিয়মিত ছিলেন। বাসার লনে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। পুরোদস্তুর অ্যাথলিট। ঝলমলে তারুণ্যের এই সময়টায় খেলার মাঠে জিতেই যে কোনো তরুণ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চায়।

কিন্তুু শেখ কামাল ছিলেন ব্যতিক্রম। মাঠের খেলায় পারদর্শিতা থাকলেও তার চিন্তা-ভাবনার দিগন্ত যে ছিল অনেক দূর ছাড়িয়ে। স্বপ্ন দেখতেন শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, পুরো দেশকে নিয়ে। আর তাই যে বয়সে তার মাঠ দাবড়ে বেড়ানোর কথা, তখন তিনি নিজেকে পরিণত করেছেন ক্রীড়াঙ্গনের পরিকাঠামো তৈরির স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে। তার সেই স্বপ্নের ফসল আধুনিক স্পোর্টস ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্র।

আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলছেন- ‘কামাল বয়সে আমাদের জুনিয়র ছিল। কিন্তু স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই, আমরা বয়সে বড় হলেও তার চিন্তা-চেতনা আর দশজনের চেয়ে আলাদা ছিল।’

ধ্রুবতারা যে একটু আলাদাই হয়!

তিনি অনেকভাবেই পরিচিত। রণাঙ্গনের তুখোড় মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রনেতা ও রাজনৈতিক সংগঠক। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য। আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের সংগঠক। আধুনিক ব্যান্ড সঙ্গীতের স্রষ্টা। সেতার বাজাতে পারতেন। তবলায় দক্ষতা ছিল। হারমোনিয়ামে যে কোনো সুর তোলার ওস্তাদি ছিল। গিটারেও সমান প্রতিভা। মঞ্চনাটকের প্রতি ভালোবাসা ছিল।

ক্রীড়াঙ্গন তথা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের ধ্রুবতারা শেখ কামাল 

ক্যারিশম্যাটিক অলরাউন্ডার!

দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে তো জীবন অনায়াসেই কাটিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু সেই তরুণ বয়সেই শেখ কামালের স্বপ্ন জুড়ে যে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির প্রেক্ষাপট গড়ে তোলার জন্য দেশটির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন শেখ কামাল।

আর তাই নিজের জীবনের সেরা সময়টাকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সংগঠক হিসেবে। জানতেন তারুণ্যকে সঠিক কাজে লাগাতে পারলে দেশ গড়ার বাকি কাজটা সহজ হয়ে যাবে। শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, সেটা সফল করার জন্য যে কায়িক পরিশ্রমও করতে হয়- সেই শিক্ষাটাই ছিল শেখ কামালের। আর তাই শুধু নির্দেশ বা পরামর্শ দেওয়ার মধ্যেই নিজের কাজের পরিসীমাকে আটকে রাখেননি তিনি। নিজ হাতেই গেঁথেছেন স্বপ্নসৌধ।

ধ্রুবতারা যে অমনি হয়!

স্বপ্নদ্রষ্টা। দূরদর্শিতা। সুর-তাল-লয় ও খেলার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। সাংগঠনিক দক্ষতা। নিজস্ব সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে থেকেই আধুনিকতার সঙ্গে পরিশীলিত মাধুর্য্যের অর্জন। সময়ের চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখা। বহুমূখী এই কর্মদক্ষতাই শেখ কামালের বড় পরিচয়। তার হাতে গড়া আবাহনী ক্রীড়া চক্র আজ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসের অন্যতম গৌরবের অংশীদার।

স্পেনের নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে দেশটির দুটি ক্লাবের নাম চোখের সামনে ভাসে- বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। পাঁচ দশক আগের বাংলাদেশে আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে নিয়েও সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন শেখ কামাল।

আজ তাই আবাহনীর আনন্দের রাতে দূর আকাশের একটি তারা ঠিকই বাড়তি উজ্জ্বলতা ছড়ায়। পথ দেখায়। মাঝ সমুদ্রের নাবিক সেই দিকদর্শনেই খুঁজে সঠিক সীমান্ত পাড়!

ওটাই ধ্রুবতারা! নীল ধ্রুবতারা!

   

ফের খরুচে মুস্তাফিজ, স্টয়নিসের বীরত্বে লক্ষ্ণৌয়ের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্দান্ত ছন্দে আইপিএল শুরু করলেও ক্রমেই মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ছে। আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলারের তকমা জুটল মুস্তাফিজের। ৩.৩ ওভারে খরচ করলেন ৫১ রান, শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। মুস্তাফিজের এমন দুঃস্বপ্নের দিনে তার দল চেন্নাই কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের হেরেছে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে। ৬ উইকেটের জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের ‘বীর’ মার্কাস স্টয়নিস।

চেপকে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর শিবম দুবের চিরচেনা মারকাটারি ব্যাটিংয়ে চলতি আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

৫০ বলে এক ডজন চার আর ৩ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুতুরাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চেন্নাইকে দুইশ পেরোনো স্কোর পেতে সাহায্য করেন দুবে। ২৭ বলে ৩ চার আর ৭ ছয়ে ৬৬ রান আসে তার ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৬ বলে ১০৪ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতেই কুড়ি ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রানে পৌঁছায় চেন্নাই।

তবে ব্যাট হাতে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে রুতুরাজ-দুবের দুর্দান্ত ব্যাটিং ভুলিয়ে দেন স্টয়নিস। ৬৩ বলে ১৩ চার এবং আধডজন ছক্কায় ১২৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এই অজি অলরাউন্ডার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

অথচ লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের শুরুতেই দীপক চাহার রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান কুইন্টন ডি কককে। মুস্তাফিজের বলে ধরাশায়ী হন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল (১৬)। তবে স্টয়নিসের দিনে যে তিনি একাই যথেষ্ট, সেটারই এক প্রদর্শনী দেখিয়ে চেপককে স্তব্ধ করে দেন এই অজি।

এই জয়ে চেন্নাইকে টপকে লক্ষ্ণৌ উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চারে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচ খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে চেন্নাই।

;

বিসিবিকে লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে দেবেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন লেগ স্পিনার কিংবা চায়নাম্যান বোলার না থাকার আক্ষেপটা বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের। জাতীয় দলে নানা সময় লেগ স্পিনারদের সুযোগ দেওয়া হলেও সেই অর্থে কেউই নিজেদের প্রমাণ করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে পারেননি। তবে এবার সেই আক্ষেপ দূর করতে চায় বিসিবি। আর সে কারণেই প্রথমবারের মতো স্পিন বোলার কোচ হিসেবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

সোমবার সেই দায়িত্ব বুঝে নিতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন এই কোচ। পরিচিত হয়েছেন সকলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকেও। তাকে নিয়ে মঙ্গলবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে বিসিবি। যাতে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ১৪৪টি ওয়ানডে খেলে ৩৪৬ উইকেট নেওয়া মুশতাক।

বাংলাদেশের স্পিন বিভাগে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে মুশতাক বলেন, ‘তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চাই আমি। আশা করি, আমরা একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারব। এখানকার ক্রিকেটাররা অত্যন্ত প্রতিভাবান। তারা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’

বাংলাদেশ দল ও পাইপলাইনে যথেষ্ট লেগ স্পিনারের ঘাটতি আছে, যা জানা আছে মুশতাকেরও। আর সে কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর দিয়ে সেখান থেকে নতুন লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে বের করতে চান তিনি। বলেন, ‘আমরা লেগ স্পিনার এবং চায়নাম্যান বোলার খুঁজতে পারি। সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট এনে দেওয়ার মতো বোলার প্রয়োজন আমাদের। আর সেটাই আমি করার চেষ্টা করব।’

;

‘আইপিএলের মতো রানবন্যা দেখা যাবে না বিশ্বকাপে’



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান তোলার বিচারে চলমান আইপিএল ছাড়িয়ে গেছে অন্যসব আসরগুলোকেও। দলীয় ২০০ রানের সংগ্রহ এখনও যেন অতি সহজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তো পারলে টি-টোয়েন্টিতে তিনশ রানও ছুঁয়ে ফেলে। এবারের আইপিএলে ২৮৮ রানের রেকর্ড গড়েছে দলটি। রেকর্ড গড়ছে পাওয়ার প্লেতে ১২৫ রান তুলেও। আর এই আইপিএলে বিশ্বের সব বড় বড় তারকা ক্রিকেটাররা খেলায় ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছুটবে রানের ফুলকি।

এবারের আইপিএল শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানেও কি এমন রানবন্যা দেখা যাবে; ডেভিড ওয়ার্নারের কাছে প্রশ্ন ছিল এমন; তিনি অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট আইপিএলের মতো হবে না। সেখানে রানবন্যা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর এমন উইকেটে যে একজনকে ধরে খেলতে হয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার।

ওয়ার্নার বলেন, ‘সেখানে উইকেট ধীরগতির হতে পারে, কিছুটা টার্ন করতে পারে। সেখানকার উইকেট সাধারণত কিছুটা নিচু ও ধীরগতির হয়। ২০১০ বিশ্বকাপে যখন খেলেছি তখনও, হাই স্কোরিং উইকেট ছিল না। আর এমন উইকেটে অ্যাঙ্করের প্রয়োজন হয়। আমাদের দলে মাইক হাসির মতো একজন ছিল। সে উইকেটে আসত, তার নিজের মতো একটা ইনিংস খেলত। আর তাছাড়া সেখানে ম্যাচগুলোও হবে মূলত দিনের বেলাতে। তাই এটা একটা বড় ভূমিকা রাখবে।’

এবারের আইপিএলটা অবশ্য খুব একটা ভালো কাটছে না ওয়ার্নারের। ৭ ম্যাচে তার রান মোটে ১৬৭। তবে নিজে তেমন একটা পারফর্ম করতে না পারলেও উইকেট নিয়ে খুশি তিনি। বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো। ফ্ল্যাট, কমপ্যাক্ট আর খুব বেশি হাই স্কোরিং। এবং যখন আপনি ছোট বাউন্ডারি পাবেন, আপনি বড় স্কোর দেখতেই পাবেন।’

;

সাকিব-মুস্তাফিজকে ক্যাম্পে না রাখার কারণ জানালেন লিপু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৩ মে শুরু হতে যাওয়া সেই সিরিজ সামনে রেখে চট্টগ্রামে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। আর সেই দলের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেই দলে নেই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। যা নিয়ে আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তাদের এই ক্যাম্পে রাখা হয়নি।

সাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ হিসেবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকার কথা ছিল তার। আর সেই সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন না তিনি। তবে ক্যাম্পে না থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই দেশে ফিরবেন তিনি। তবে দেশে ফিরলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব খেলবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

লিপু বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার আউটকামটা হচ্ছে, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি বাংলাদেশে আসবেন। আসলে ডিপিএলে একটা দুটো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। তারপর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঢুকে যাবেন তিনি। সেখানে কিছু ক্রিকেটিং স্কিল প্র্যাকটিসের সুযোগ থাকবে, ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চায়, তিনি যেভাবে চান… তারপরও আমরা চাইব ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, শেষ দিকে হলেও যেন তিনি খেলার সুযোগ পান।’

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাইয়ের হয়ে নিয়মিত থাকছেন একাদশে। তবে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরতে হচ্ছে এবার। ক্যাম্পে না থাকলেও তিনি যে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তা নিশ্চিত করেছেন লিপু।

বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজের না খেলার সম্ভাবনা বেশি। দেশে ফেরার পর মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে তার কিছু কাজ রয়েছে। এরপর আমরা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব, কথা বলে দেখব তার সঙ্গে। তবে আমার বিশ্বাস তিনি প্রথম ম্যাচে এভেইলেবল থাকবেন না।’

;