ফুটবলারদের জন্য এএফসি’র ৭০ পৃষ্ঠার বিধি-বিধান
করোনাকালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। করোনা মহামারীর এই সময়টায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ঠিক কোন কোন বিধি-বিধান মেনে ফুটবলাররা মাঠে নামবেন- সেজন্য লম্বা একটা ফিরিস্তি তৈরি করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। প্রায় সত্তর পৃষ্ঠার সেই ফিরিস্তি বাফুফের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে এএফসি।
এএফসি’র এই গাইড লাইন মেনেই আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব এবং এএফসি কাপের বিভিন্ন ম্যাচের আয়োজন করতে হবে। এএফসি’র এই গাইড লাইন বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে নির্দেশাবলী প্রদান করেছে সেটা আমলে এনেই তৈরি করা হয়েছে।
দর্শক শূন্য গ্যালারি, সীমিত সংখ্যক দর্শক এবং দর্শকপূর্ণ গ্যালারিতে- এই তিন পরিস্থিতিতে নিরাপদ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সার্বিকভাবে কখন কিভাবে কোন ব্যবস্থা নিতে হবে- গাইড লাইনে সে সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
তবে বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে পরিস্থিতি তাতে এই সময়ের যে কোন ফুটবল ম্যাচের আয়োজনই হবে দর্শক শূন্য গ্যালারিতে।
সঠিকভাবে স্টেডিয়ামের সব চত্বরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নজর যাতে রাখা যায় সেজন্য গোটা স্টেডিয়ামকে চারটি জোনে ভাগ করার নির্দেশাবলী দিয়েছে এএফসি। জোন ওয়ান, জোন টু, জোন থ্রি এবং জোন ফোর- এই হিসেবে স্টেডিয়ামকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে দল, ম্যাচ অফিসিয়াল, দর্শক, মিডিয়া, হোস্ট ব্রডকাস্ট ও টিভি ক্রু’রা কি কি নিয়ম কানুন মেনে চলবেন- তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
ম্যাচ ডে’তে কোথায় কিভাবে কোন আয়োজন করতে হবে- তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ম্যাচের আগে গোটা স্টেডিয়ামকে কিভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে- বিশদভাবে তার ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিটি দল পৃথক সময়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে। স্টেডিয়ামে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য তারা আলাদা গেইট ব্যবহার করবে। পুরো দল ড্রেসিংরুমে যতটা কম সম্ভব সময় অবস্থান করবে। মাঠ সংলগ্ন টিম বেঞ্চে থাকার সময় সকল খেলোয়াড় এবং টিম অফিসিয়ালরা মাস্ক ব্যবহার করবে। হ্যান্ডশেক এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মাঠে কোন খেলোয়াড় আহত হলে চিকিৎসকদের অবশ্যই যথাযথ মাস্ক পরে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। মাঠে কোন খেলোয়াড় থুথু ফেলতে পারবেন না।
খেলার আগে এবং খেলার সময় বিভিন্ন পর্যায়ের এমন নিদের্শাবলীর কতটা ফুটবলাররা মনে রাখতে পারবেন বা পালন করতে সমর্থ হবেন- সেটাই এখন বড় প্রশ্ন!