করোনায় আক্রান্ত ফুটবলাররা, আর বাফুফে ব্যস্ত ক্ষমতার ধান্দায়!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফুটবলারদের করোনা মুক্ত রাখতে কোনো উদ্যোগই নেয়নি বাফুফে

ফুটবলারদের করোনা মুক্ত রাখতে কোনো উদ্যোগই নেয়নি বাফুফে

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন দিনে জাতীয় দলের ২৪ ফুটবলারের ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত! ৭৫ ভাগ ফুটবলারই কোভিড-১৯ পজিটিভ! বিস্মিত না হয়ে উপায় আছে? প্রশ্ন উঠতে পারে আদৌ এই ফুটবলারদের কোনো অভিভাবক আছে কি?

কাগজে কলমে অবশ্যই আছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেরই (বাফুফে) তো আগলে রাখার কথা ছিল তাদের। যেমনটা মার্চ থেকেই দেখা গেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) করোনা মহামারীর শুরু থেকেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিশেষ যত্নে রেখেছে। ঠিক করে দিয়েছে তাদের জীবন যাত্রা।

মিরপুরের শেরে বাংলা থেকে আরামবাগের বাফুফে ভবন বেশি দূর না হলেও পেশাদারিত্বে তাদের দূরত্বটা যেন আকাশ-পাতাল! ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ক্যাম্প শুরু করতে গিয়ে আরও একবার বেরিয়ে এসেছে বাফুফে কর্তাদের উদাসীনতার নমুনা।

এভাবে নানা কাণ্ডে আলোচনায় থাকাটা তাদের জন্য অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু তাই বলে যাদের জন্য ফুটবল ফেডারেশন সেই ফুটবলারদেরকে নিয়ে এমন অবহেলা! দেশের সম্পদ জাতীয় খেলোয়াড়দের হাসি-ঠাট্টার অংশে পরিণত করলেন বাফুফের কর্তারা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে ডাক পাওয়া ৩৬ জন ফুটবলার নিয়ে ৭ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা ছিল অনুশীলন ক্যাম্প। গাজীপুরের ছায়া সুনিবিড় সারাহ রিসোর্টও ছিল প্রস্তুত। তার আগে ফুটবলারদের বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস টেস্ট করতে গিয়েই জানা গেল, গত মাস চারেক ফুটবলাররা কিভাবে কোথায় দিন কাটিয়েছেন কিছুই হয়তো জানা ছিল না বাফুফের।

এ অবস্থায় ঠিক হয়- ফুটবলাররা প্রথমে নিজ নিজ উদ্যোগে করাবেন। এরপর তাদের অফিসিয়ালি টেস্ট করাবে বাফুফে। খেলোয়াড়রা প্রথমে নিজ উদ্যোগে নিজেদের সুবিধা মতো স্থানে টেস্ট করিয়েছেন। যেখানে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ ছাড়া সবারই কোভিড-১৯ রিপোর্টই আসে নেগেটিভ।

এরপর ৫ আগস্ট থেকে বাফুফে নিজেদের উদ্যোগে শুরু করে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে ১১ জন; ৬ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে আরও ১২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। দুই দিনে মোট ২৩ জনের মধ্যে ১১ জন করোনা পজিটিভ হন। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে। খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার একদিন পরই আসে চমকে যাওয়া খবর! শুধু ১১ জনই নয়, করোনায় আক্রান্ত ফুটবলার মোট ১৮ জন!

এরমধ্যে প্রথম ধাপে পজিটিভ হওয়া ৪ ফুটবলার হয়েছেন- সুমন রেজা, নাজমুল ইসলাম রাসেল, ম্যাথিউস বাবলু ও বিশ্বনাথ। দ্বিতীয় ধাপে শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান জিকো ও টুটুল হোসেন বাদশা।

নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেয়ে ক্যাম্পে যোগ দেন- মঞ্জুরুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ পারভেজ, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, পাপ্পু হোসেন, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, মানিক হোসেন মোল্লা, বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, রকিব হোসেন, সাদউদ্দিন, রিয়াদুল হাসান রাফি ও আরিফুর রহমান।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো-নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ১৩ জন ফুটবলার সারাহ রিসোর্টে গিয়ে দুদিন থাকার পর ফের নতুন রিপোর্ট এসেছে। সেখানে আরও ৭ জনের করোনা পজিটিভ! সেই ফুটবলাররা হলেন- মঞ্জুরুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ পারভেজ, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, পাপ্পু হোসেন, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, মানিক হোসেন মোল্লা, বিপলু আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান সুফিল।

এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে তাদের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিলেন কারা?

পুরো ব্যাপারটা খোঁজ নিতে গিয়ে বাফুফের কর্তাদের হযবরল কাণ্ড উঠে এসেছে। হাসপাতালে করোনা টেস্ট করানো হলেও সেখানে খেলোয়াড়দের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ফুটবলারদের ফলাফল নেগেটিভ না পজিটিভ সেটা মুঠোফোনে কল করে কিংবা এসএমএস- এ জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে যে দুই-তিন জনের নম্বর দেওয়া ছিল তাদের হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বাকিদের ব্যাপারে কোনো রকম তথ্যই দেওয়া হয়নি। আর বাফুফে বিস্ময়করভাবে মনগড়া রিপোর্ট বসিয়ে খেলোয়াড়দের পাঠিয়ে দেয় গাজীপুরের ক্যাম্পে।

অবাক করা ব্যাপার হলো ফুটবলাররাই নন, বাফুফের একজন কোচও রয়েছেন আক্রান্তের তালিকায়। আর তিনি সুস্থ খেলোয়াড়দের সঙ্গে গিয়ে সারাহ রিসোর্টে ঘুরে বেড়িয়েছেন! কি অদ্ভুদ কাণ্ড!

শুক্রবার আইইডিসিআর (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) থেকে এক ফুটবলারকে ফোন করতেই চমকে উঠা এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাকে ফোন করে বলা হয় আপনারা কিসের ক্যাম্প করছেন? ক্যাম্পে তো অনেক খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ। এরমধ্যে রয়েছেন কোচও। ক্যাম্প বন্ধ করুন আপনারা!

এই হলো বর্তমান বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদের কাণ্ড! দেশের সম্পদ, দেশের পতাকা যারা বহন করেন সেই জাতীয় ফুটবলারদের জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলায় বইছে সমালোচনার ঝড়। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দায় কে নেবেন এমন প্রশ্নও উঠেছে। যেখানে ২৪ ফুটবলারের ১৮জনই করোনা পজিটিভ সেখানে আবার ফুটবল ক্যাম্প কিসের?

এই যখন অবস্থা তখন কিন্তু ৮ অক্টোবর সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ পেছানোর সুযোগ নেই। এই ম্যাচ দিয়েই ফের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ।

এর মধ্যেও কিন্তু বাফুফের চেয়ার আকড়ে থাকার চেষ্টা চলছেই। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শীর্ষ পদে থাকলেও কাজী সালাউদ্দিনরা থাকতে চাইছেন আরও ৪ বছর। ফুটবলারদের যথেষ্ট স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার কথা মাথা থেকে সরিয়ে নির্বাচনে জিততে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন তারা। তাদের এমন কীর্তিই আসলে বুঝিয়ে দেয় কেন পেছন পথে হাঁটছে দেশের ফুটবল! কেন ফুটবলে সাফল্য এখন শুধুই সোনার হরিণ!

   

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;