টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন সাইফুদ্দিন



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
নিজেকে লাল বলের ক্রিকেটের জন্য ফিট করছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

নিজেকে লাল বলের ক্রিকেটের জন্য ফিট করছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

২২ ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেললেও ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শ্রীলঙ্কায় তিন টেস্টের সফরের মূল দলে জায়গা হবে কিনা- সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সাইফুদ্দিন আশাবাদী- মূল দলে জায়গা হবে তার। আর সেই সুযোগ পেলে টেস্ট দলেও নিজের জায়গাকে স্থায়ী করে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস আছে এই তরুণের- ‘আমি প্রথমবারের মত টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত আমি, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার চেষ্টা করবো। প্রত্যেক ক্রিকেটারের টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন থাকে, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা। আমি কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ৬-৭ মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটে যেভাবে ডমিনেট করতে হয় সে অনুযায়ী। তারপরও যে সময়টা আছে, যদি শ্রীলঙ্কায় যাই সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

করোনাকালের এই সময়টায় ফেনীতে নিজের দেশের বাড়িতেই ছিলেন এই পেসার। সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন- ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি সিমেন্টের পিচে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি আমি। তারপরও আশাবাদী আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো। ৬-৭ মাস পর দলের সাথে মিরপুর গ্রাউন্ডে ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। আরও কিছুদিন সময় পাবো, তো যতটুকু ওভারকাম করা যায়, নিজেকে ডেভেলপ করা যায় এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করবো।’

২০১৭ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। পেস বোলার কাম লেটঅর্ডারে ভালো ব্যাটিং করতে পারে- এমন একজন অলরাউন্ডারের খোঁজ পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে ফিটনেস নিয়ে প্রায়শ শিরোনাম হন সাইফুদ্দিন। চোটের কারণে টানা লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরেও থাকতে হয়েছে তাকে। নতুন সিরিজ এলেই তাই চোট চিন্তা নতুন আতঙ্ক ছড়ায়- ‘সবসময় আমার একটা চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাক পেইন। আমি প্রায় ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম, এরপর ফিট হয়ে ফিরে এসে দুই একটা ম্যাচ খেলার পর করোনার কারণে ৬ মাস পিছিয়ে গেলাম। প্রায় এক বছরের মত আমি মাঠের বাইরে। তাই ফিটনেস নিয়ে কাজ বা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। যেহেতু সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারবো ততই আমার জন্য বেটার। আমার লক্ষ্যই থাকবে এটা, যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবো আমার ও দলের জন্যই ভালো।’

   

জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ - এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।

;

পাওয়ার প্লে’তে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের ‘প্রস্তুতিমূলক’ সিরিজ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টস জিতে বোলিং নিয়ে পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই সফরকারীদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশের বোলাররা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে। 

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

তবে এরপরই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)।

পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

;

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াচ্ছে আজ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। ম্যাচ শুরুর আগে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন। গত বছর ওয়ানডে অভিষেক হয় তামিমের। বাংলাদেশ হয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশকিছু ম্যাচ খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। এরই মধ্যে ১৫ ওয়ানডে খেলা হয়ে গেছে তার। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে যাত্রা শুরু হল তার।

বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়ের হয়েও আজ একজন অভিষেক হচ্ছে, তার নাম জয়লর্ড গামবি। এর আগে দেশের জার্সিতে ১১ ওয়ানডে খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ।

চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হবে বলেই ধারণা করছে দুই দল। তাই টস জিতে আগে বোলিং করাকেই সমীচীন মনে করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এছাড়া চট্টগ্রামের আকাশ এখন কিঞ্চিত মেঘলা। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

জিম্বাবুয়ে একাদশ

সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ এরভিন, জয়লর্ড গামবি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মাদান্দে, লুক জংওয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা

;

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন সৈকত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এলিট প্যানেলের অংশ হওয়ার পর প্রথমবারের আইসিসির কোনো বিশ্ব আসরে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পেলেন এই বাংলাদেশি আম্পায়ার। যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাকে।

আজ (শুক্রবার) আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারিদের তালিকা। ২০ জন আম্পায়ার এবং ৬ ম্যাচ রেফারির সে তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সৈকত।

আগামী ১ জুন শুরু হয়ে ২৯ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে চলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ২৮ দিনে নয় ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২০ আম্পায়ার

ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস গ্যাফানি, মাইকেল গফ, অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, আল্লাহুদিয়েন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবরো, জয়ারামান মদনগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, আহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসেরে, শহীদ সৈকত, রড টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬ রেফারি

ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগল শ্রীনাথ

;