বিদেশি দলে ‘বাংলা’ পেয়ে খুশি সালমা খাতুন



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
সালমা খাতুন

সালমা খাতুন

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীদের আইপিএলে প্রথমবারের মতো খেলছেন সালমা খাতুন। দলের নাম ট্রেইলব্লেজার। বিদেশী দল, আরব আমিরাতে খেলা- যে ভেন্যুতে আগে কখনোই খেলেননি তিনি। নতুন দল, নতুন ভেন্যু, নতুন পরিবেশ-এত নতুনের মধ্যেও নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছেন মুলত নিজের প্রিয় ভাষায় কথাবার্তা বলতে পেরে। তার দলের দুই সদস্য ঝুলন গোস্বামী ও রিচা ঘোষ বাঙ্গালি। এই দুজনের সঙ্গে প্রাণখুলে বাংলায় কথা বলতে পারছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। মাঠের ক্রিকেটে নামার আগে সেই ‘সুবিধার’ কথাও বলছিলেন সালমা- ‘এই দুজনের সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয় আছে। মন খুলে তাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলতে পারছি, যখনই দেখা হচ্ছে আমরা বাংলায় কথাবার্তা বলছি। দলে দারুণ সময় কাটছে।’

শারজায় ৪ নভেম্বর থেকে নারীদের তিন দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। সালমা খাতুনের দল ট্রেইলব্লেজার ৫ নভেম্বর লড়বে ভেলোসিটির বিরুদ্ধে। ভেলেসিটিতে গতবারের মতো এবারো খেলছেন আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার জাহানারা আলম।

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম প্রজন্মের ক্রিকেটার সালমা খাতুন। অভিজ্ঞতার কোন ঘাটতি নেই। বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে খেলেছেন। দেশের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয়ী সেই ম্যাচের সেরা পারফর্মারও ছিলেন সালমা খাতুন। তার ১ উইকেট এবং ৪১ রানের ঝলমলো ইনিংস বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতায়। আরো আছে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক জাতিক ট্রফি জেতে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালে হারায় শক্তিশালী ভারতকে। বাংলাদেশ নারী দল এখন পর্যন্ত ১১৩ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। যার ১০৮টি ম্যাচে খেলেছেন সালমা। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৮৩টি ম্যাচে। দেশের হয়ে জিতেছেন ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আইসিসি’র টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ানও হয়েছিলেন একসময়।

৩০ বছর বয়সী সালমা খাতুন ক্রিকেট মাঠে নিজেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে উঠার সেই সময়ের বর্ণনায় সালমা ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বলছিলেন- ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ক্রিকেট ভালবাসি। নিজেকে বলতাম, ছেলেরা পারলে আমি কেন পারবো না? কেউ আমাকে ব্যাট বল ধরা শেখায়নি। শুরুর দিনে আমি ফাস্ট বোলিং, স্পিন সবই করতাম। এমনকি উইকেটকিপিং করতাম। সালোয়ার-কামিজ পরেই আমি চাচাতো-মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে অথবা মহল্লার বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতাম। তারপর আন্তঃজেলা টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ এলো। খুলনায় কোচ শেখ সালাউদ্দিন আমাকে শুরুর সেই সময় অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাকে খেলার জন্য টি-শার্ট, ট্রাউজার, জুতো কিনে দিয়েছিলেন তার নিজের দোকান থেকে। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া সফরের জন্য প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আমি সুযোগ পাই। সেই থেকে এখনো খেলে যাচ্ছি।’

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;