টেস্ট অভিষেক; আজ থেকে ২০ বছর আগে...



এম এম কায়সার, ক্রীড়া সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
অভিষেক টেস্টে ক্যামেরাবন্দি দুই ক্যাপ্টেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সৌরভ গাঙ্গুলি

অভিষেক টেস্টে ক্যামেরাবন্দি দুই ক্যাপ্টেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সৌরভ গাঙ্গুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

এক) ১০ নভেম্বর, ২০০০ সাল।

২০ বছর পুরনো দিনের সকালবেলার একটা ছবি এখনো খুব স্পষ্ট। বাংলাদেশ খেলছে অভিষেক টেস্ট। ব্যাটিং ওপেন করছেন মেহরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ। আর বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দরজায় হেলান দিয়ে মাঠের দিকে তাকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছেন জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু। চোখে অসহায় চাহনি। তার সেই দৃষ্টিতে অনেক কিছু হারানোর কষ্ট। বঞ্চিতের বেদনা!

এই টেস্টের ওপেনার যে তারই হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ দলের ড্রেসিরুমের আড্ডা মানেই জাভেদ ওমরের কৌতুক-হাসি আনন্দের ছড়াছড়ির গল্প। অথচ বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে তাকেই দেখাল সবচেয়ে বেশি অসহায় এবং অধিকার বঞ্চিত।

-অধিকার বঞ্চিত?

এই প্রশ্নের উত্তরও সহজ। বাংলাদেশ তখনো টেস্ট ক্রিকেট যুগে প্রবেশ করেনি। সেইসময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলতে গেলে শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার সুযোগ। কিন্তু সেই ওয়ানডে ক্রিকেটেও দল গড়ার সময় জাভেদ ওমরের নামটা সামনে এলে নির্বাচক থেকে শুরু করে একনাগাড়ে সবারই একই রায়- ‘জাভেদ একটু স্লো ব্যাটিং করে। ওয়ানডেতে এমন ব্যাটিং চলে না। ও আসলে টেস্টের খেলোয়াড়!’

ব্যস এই যুক্তিতে ওয়ানডে দলে জাভেদের ওপর খড়গ!

সেই বাংলাদেশই যখন প্রথম টেস্ট খেলতে নামল তখন সেই একাদশে জাভেদ ওমর নেই! অথচ যাকে বাংলাদেশ টেস্ট খেলার আগেই বলা হতো ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান!’

দুই) অভিষেক টেস্টে শুধু ক্রিকেটারদের নয়, বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রীড়া সাংবাদিকদেরও টেস্ট ম্যাচ রিপোটিংয়ের অভিষেক হলো ২০ বছর আগে ১০ নভেম্বর। ঐতিহাসিক সেই টেস্টের আগে ক্রিকেটারদের মতো ক্রিকেট রিপোর্টারদেরও সেকি উত্তেজনা! নতুন রিপোর্ট খোঁজার লড়াই। স্কুপের জন্য ছোটাছুটি। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা। ২০ বছর আগের সেই সময়টায় বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ছিল হাতে গোনা। দেশি অনলাইনের তখনো জন্মই হয়নি। গণমাধ্যমের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে পত্রিকা। টেস্ট ম্যাচের সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই প্রতিদিন পত্রিকার খেলার পাতা জুড়ে শুধু ঢাকা টেস্টের খবর। আর ম্যাচ শুরুর আগের দিন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব দৈনিক বিশেষ সাপ্লিমেন্ট প্রকাশ করে। আমি তখন দেশের প্রথম ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিনের ক্রীড়া সম্পাদক। প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী দারুণ খেলাপ্রেমী। মাঠে বসে বিশ্বকাপ ফুটবল কাভার করা বাংলাদেশের প্রথম সাংবাদিক মতি ভাই। তাই খেলার পাতার প্রতি তার ভালবাসা একটু বেশি। স্পষ্ট মনে আছে মানবজমিন টেস্ট অভিষেক উপলক্ষে ১০ পাতার বিশেষ সাপ্লিমেন্ট প্রকাশ করেছিল।

এখন প্রেসবক্সে বসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ কাভার করা সব সাংবাদিক ল্যাপটপে কাজ করেন। ২০ বছর আগের এদিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পুরো প্রেসবক্সে কোনো ল্যাপটপের দেখা মেলেনি। প্রেসবক্সের মাঝামাঝি জায়গায় শুধু একজনের সামনে দেখা গেল বিশাল আকৃতির টাইপরাইটিং মেশিন। উনি এনামুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার হয়ে অভিষেক টেস্ট ম্যাচ কাভার করছেন। প্রেসবক্সের বাকি সবাই লম্বা কাগজে লিখে অফিসে ফ্যাক্স করে দেন। অথবা খেলা শেষে অফিসে ফিরে রিপোর্ট লেখেন। মাঠে ফটো সাংবাদিকদের ভিড়েও তেমন লম্বা লেন্সওয়ালা ক্যামেরার ছোটাছুটি ছিল না।

প্রেসবক্সে রিপোর্ট লিখে উপরের তলায় ছুটতে হতো অফিসে ফ্যাক্স করতে। ফ্যাক্স মেশিনের সামনেও লম্বা লাইন। কারো ফ্যাক্স ঠিক মতো অফিসে না পৌঁছালে টেনশনে বেচারার মুখ ঝুলে যেত। স্টেডিয়ামে ফ্যাক্সের লাইনেই ম্যাচের কোনো একদিন পেয়ে গেলাম মাইকেল হোল্ডিংকে। উনি এসেছেন ফটোকপি করতে। একটা রঙিন ম্যাগাজিনে নিজের লেখাটার ফটোকপি করার জন্য লাইনে দাঁড়ানো হোল্ডিং। ধারাভাষ্যকার হোল্ডিংকে পেয়ে তার কাছ থেকে টুকরো কিছু মন্তব্য জানার চেষ্টাও চলল। তার আগে আলাপ জমানোর তরিকা। 

- তোমার রঙিন ম্যাগাজিন কিন্তু ফটোকপি তো বেরুবে সাদাকালো। এখানে রঙিন ফটোকপি নেই।

হোল্ডিংয়ের উত্তরটা আমার আজও মনে আছে- ‘নো প্রবলেম ম্যান, আই অ্যাম অলসো অফ কালার!’

তিন) অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি পেলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ২০০০ সালের ১১ নভেম্বর শবে-ই-বরাত উপলক্ষে সংবাদ পত্রে ছুটি। দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, আর সেই খবর পরদিনের পত্রিকায় ছাপা হবে না; তা কি করে হয়? প্রেসবক্সে বসেই সিনিয়র কয়েকজন ক্রীড়া সাংবাদিক সিদ্ধান্ত নিলেন এই সেঞ্চুরি আনন্দের খবর ছাপতেই হবে। খেলার ভুবনের সম্পাদক সারোয়ার ভাই, ক্রীড়াজগতের সম্পাদক দুলাল মাহমুদ ভাই, ইত্তেফাকের ক্রীড়া সম্পাদক দিলু খন্দকার ভাই’রা মিলে দারুণ একটা উদ্যোগ নিলেন। ফকিরেরপুলের প্রেস থেকে বিকেলের মধ্যেই বুলেটিন বের করার সিদ্ধান্ত হলো।

আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়ে প্রকাশিত সেই বুলেটিন  - ছবি কৃতজ্ঞতা: মাসুদ পারভেজ

- লেখা আসবে কোথা থেকে?

- কেন, প্রেসবক্সে এত সাংবাদিক থাকতে লেখার আবার অভাব হবে নাকি?

সঙ্গে সঙ্গে সবাই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সেই সেঞ্চুরি নিয়ে ঝটপট লেখা জমা দিলেন। বিকেলের মধ্যেই কয়েক পৃষ্ঠার সেই বুলেটিন হাতে পাওয়ার পর প্রেসবক্সে বসে নিজেকেও সেঞ্চুরিয়ান মনে হলো; আমার লেখাও যে আছে ওখানে!

চার) টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা উইকেটকিপারের তালিকা তৈরি করলে সেখানে মুশফিকের সঙ্গে লড়াইটা হবে খালেদ মাসুদ পাইলটের। অভিষেক টেস্টের দল তৈরির সময় নির্বাচকরা সম্ভবত সবচেয়ে কম সময় নিয়েই উইকেটকিপারের জায়গায় খালেদ মাসুদ পাইলটের নাম লিখেছিলেন। দারুণ অ্যাক্রোবেটিক এই উইকেটকিপার বাংলাদেশকে লম্বা সময় সেবা দিয়েছেন। বেশকিছু রেকর্ড গড়েছেন। তবে অবাক করা তথ্য হলো টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ডিসমিসাল (ক্যাচ অথবা স্ট্যাম্পিং) কিন্তু খালেদ মাসুদের না, সেই কৃতিত্ব শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের!

-কিভাবে?

অভিষেক টেস্টে ভারতীয় ইনিংসের মাঝামাঝি সময় খালেদ মাসুদ আম্পায়ারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাথরুম ব্রেক নিয়ে ড্রেসিংরুমে ছুটেন। আধঘণ্টার মতো মাঠের বাইরে ছিলেন খালেদ মাসুদ। উইকেটকিপারের দায়িত্ব সামাল দেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ। স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের বলে ঠিক সেই সময়টায় সাবা করিম সামনে বেড়ে খেলতে গিয়ে বিট হন। দারুণ দক্ষতায় শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ তাকে স্ট্যাম্পিং করেন।

ব্যস, বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ডিসমিসালে তার নামটাই লেখা হয়ে গেল!

পাঁচ) অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রানের সেঞ্চুরি, হাবিবুল বাশার সুমনের ৭১ হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০০ রান। প্রথম ইনিংসে এত বড় সংগ্রহের পরও ম্যাচটা হেরে গেল বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪২৯ রান করা ভারতের ম্যাচ জিততে শেষ ইনিংসে প্রয়োজন দাঁড়ায় মাত্র ৬৩ রানের। তখন ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষ প্রহরের খেলা চলছে। দিনের খেলার সময়ও প্রায় শেষ। কিন্তু টার্গেট খুবই সামান্য দেখে আম্পায়াররা ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে খেলা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ম্যাচটা আর পঞ্চম দিনে গড়াল না।

ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে খেলার সময় বাড়িয়ে চতুর্থ দিনেই ম্যাচ শেষ করার এই বিষয়টি দেখে বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটার নিজেদের মধ্যে এর কার্যকারণ উদ্ধারের জন্য আলাপ করছিলেন।

-জানিস কেন খেলা পঞ্চম দিনে নিল না আম্পায়াররা?

- কেন, তুই জানিস কারণটা?

অভিষেক টেস্টের নিয়মটাই এমন, পঞ্চম দিনে খেলা নেওয়া যায় না!

আলাপি সেই দুই ক্রিকেটার কে?

থাক, নামটা তো তারা জানেনই। ২০ বছর পর আমি আবার নতুন করে নাই বললাম!

শুধু ছোট্ট একটা হিন্টস দেই; দুজনেই ব্যাটসম্যান!

   

ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারাল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর শুরু হয় ম্যাচ। কিছু সময় পর আবার বৃষ্টির হানা। দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়া সয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার দলকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮ উইকেটে।

জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। তবে অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দুই দফায় বৃষ্টির মধ্যেও ৫২ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন।

দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি-বাধার পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকেন তামিম ও শান্ত। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় দুইবার জীবন পেয়ে ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। ফিফটির পর আরও একবার জীবন পান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৭ রান করে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই ব্যাটার।

শান্ত অবশ্য ততটা ‘ভাগ্যবান’ ছিলেন না। ব্যক্তিগত ২১ রানে লুক জংওয়ের বলে ডিপ মিডউইকেটে শন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাওহিদ হৃদয়। তাদের ব্যাটে চড়ে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও। দুই উইকেট পান স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে বড় চমক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শামার জোসেফের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা পোশাকে তার পারফরম্যান্স শিগগিরই তার নাম ভুলতে দেবে না আপনাকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দেন এই পেসার। 

এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পেয়েছেন জোসেফ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অবশ্য এখনো তার অভিষেক হয়নি। এছাড়া অল্পের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করা ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন।

আজ (শুক্রবার) উইন্ডিজ ক্রিকেটের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান দলটির হয়ে বিশ্বকাপে অবসরে যাওয়া সুনীল নারাইনকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নারাইন কয়েকদিন আগে জানিয়ে দেন, অবসর ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ ড্যারেন স্যামি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, নারাইনকে দলে ফেরাতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তবে যেহেতু নারাইন জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছে, তাই তাকে রাজি করানোর কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।

নারাইন না থাকলেও তার আইপিএল দল কলকাতার সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন। এবার বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের নেতৃত্ব দেবেন রোভম্যান পাওয়েল, সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন পেসার আলজারি জোসেফ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’তে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গ্রুপসঙ্গী নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল

রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মোটি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড

;

বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী ঠিক রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির খেলা এখন বন্ধ রয়েছে।

বৃষ্টির আগে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০ রান তোলে বাংলাদেশ। জাতীয় দলে ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ক্রিজে রয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম (৩*) এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪*)।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল পাওয়ার জন্য দুই দলেরই অন্তত পাঁচ ওভার করে ব্যাট করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ বৃষ্টি শুরুর আগে মোটে ৩ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে, তাই বৃষ্টিতে খেলা আর শুরু করা না গেলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হবে।

;

জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১২৫ রান চাই বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ - এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।

;