পূজামণ্ডপে উপস্থিতি, সাকিবের ব্যাখ্যা ও দুঃখপ্রকাশ



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

ভক্তের মোবাইল ফোন ভাঙা এবং কলকাতায় পূজামণ্ডপে সাকিব আল হাসানের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল হৈচৈ হচ্ছে। সেই বিতর্ক থামাতে সাকিব নিজেই ব্যাখা দিয়েছেন। জানিয়েছেন কলকাতায় তিনি পূজামন্ডবে কার্যত দৈবক্রমে কিছু সময়ের জন্য ছিলেন। তবে তার মুল কর্মসূচি ছিল অন্য। সাকিব নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে ৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সার্বিক ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। পূজামণ্ডপে উপস্থিতি প্রসঙ্গে সাকিব যা ভিডিও বার্তায় যা বলেছেন তার পুরোটা পড়ুন এখানে-

‘আমি প্রথমেই বলতে চাই আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান বলেই মনে করি। আমি সেটাই পালন করার চেষ্টা করি। ভুল ত্রুটি হবেই। ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা চলাফেরা করি। আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্যও আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এখন আসি পূজার বিষয়টি নিয়ে। নিউজ এসেছে দেখলাম আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। যেটি আমি কখনো যাইও নি। কিম্বা করিও নি। এটির প্রমাণ অবশ্যই আপনারা পাবেন। সেখানে আমন্ত্রণ পাওয়া অনেক সাংবাদিক ভাই বোনেরা ছিলেন। অথবা সেই পূজামণ্ডপ উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পত্র দেখলেও বোঝা যাবে কে সেই মন্ডব উদ্বোধন করেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সেটি উদ্বোধন হয়েছে আমি সেখানে যাবার আগেই। যে জায়গায় আমাদের অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেটি অবশ্যই পূজামণ্ডপ ছিল না। পাশে আরেকটি মঞ্চ ছিল সেখানেই করা হয়েছিল। পুরো অনুষ্ঠানটি সেখানে হয়। প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট ব্যাপী সেই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম এবং সেখানে কোন ধরনের ধর্ম-বর্ণ কোনকিছু নিয়েই কথা হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে যখন গাড়িতে উঠতে হবে এবং যেহেতু সেখানেই পাশেই পূজার আয়োজন ছিল, আমাকে গাড়িতে উঠতে হবে। যেহেতু পূজা হবে তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকগুলো রাস্তা বন্ধ ছিল। তাই মন্ডপটি ক্রস করে আমাকে যেতে হতো। যেটি আমি গিয়েছি। যাবার সময় পরেশ দা, যিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার অনুরোধে আমি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করি। যেহেতু আমি কলকাতায় অনেকদিন খেলেছি। কলকাতার মানুষ আমাকে অনেক পছন্দ করে। সেখানকার সাংবাদিকরাও অনেক উৎসুখও ছিল। সবার অনুরোধে প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের সময় পরশ দা’র সঙ্গে দাড়িয়ে একটি ছবি তোলা হয়। ছবি তুলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে যারা আমার নিরাপত্তা কর্মী ছিল তাদের একটু বাতবিতন্ডাও হয়। একটু হাতাহাতিও হয়। এই কারণে আমরা সুনির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে যেতে পারিনি। পরে আবার ব্যাক করে অন্য রাস্তা দিয়ে গিয়েছি। পুরো ঘটনাটা ছিল এরকম। যার ভেতরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আমাদের প্রোগ্রামের জন্য যে স্টেজ করা হয়েছিল সেখানে ছিলাম। আমি আবারও বলছি সেখানে কোন ধর্ম-বর্ণ নিয়ে কোন কথা হয়নি এবং তেমন কোন প্রোগ্রামও সেখানে ছিল না। হ্যাঁ যেটা হয়েছে যে দুই মিনিটের সময় আমি পূজা মন্ডপে ছিলাম সেটা নিয়ে সবাই বলেছে এবং ধারণা করছে যে আমি পূজামণ্ডপ উদ্বোধন করেছি। যেটি আমি কখনোই করিনি এবং একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে করবোও না। তারপরও ওখানে যাওয়াটাই আমার ঠিক হয়নি। সেটা যদি আপনারা মনে করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী এবং আমি মনে করি যে আপনারা এটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষৎতে যেন এরকম কোন ঘটনা আর যেন পুনারাবৃত্তি না হয়- আমি সেই চেষ্টাও করবো।

আমি তারপরও তথ্যটা পরিষ্কার করার জন্য বলে দেই, সেই পূজামণ্ডপের উদ্বোধক কে ছিলেন? এখানে আমার কাছে আমন্ত্রণ পত্রটাও আছে। উদ্বোধক ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, প্রশাসনিক প্রধান কলকাতা পৌরসভা, মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমি সেই প্রোগামে যাওয়ার আগেই তিনি পূজার উদ্বোধন করে গিয়েছেন। তারপর আমি গিয়ে আমি আমার প্রোগ্রামে গিয়েছি। আপনারা অনেকেই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে উত্তেজনাবোধ করছেন। শুধু একটি ছবি দেখে আপনি কখনোই পুরো ঘটনা অনুমান করতে পারবেন না বলে আমার মনে হয়। তারপরও আমি আবারও বলছি, আমার কখনোই কোন ইনটেনশান ছিল না যে আমার ধর্মকে ছোট করে অন্য ধর্মকে বড় করবো। বা অন্য কোন ইস্যুই ছিল না। আমার মনে হয় ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। আমার যদিও জ্ঞান খুবই কম। আমি যদিও চেষ্টা করছি এবং ভবিষৎতেও চেষ্টা করবো যত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান নেয়া যায় এবং ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী যেন আমি চলতে পারি। 

আমি আরো বলবো যে এমন কিছু যেন আমরা না করি যেন মানুষ আমাদেরকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দেয় যে আমরা আসলে এক নাকি আলাদা। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত এক থাকবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শক্তিশালী। আমরা যারা মুসলমান আছি তারা অবশ্যই এক থাকবো। এক থাকা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। যখনই আমরা আলাদা আলাদা হয়ে যাবো তখনই দুর্বল। যখনই এক থাকবো তখনই স্ট্রং। 

সোস্যাল মিডিয়ায় কয়েকজায়গায় আমি দেখছি যে আমার নামের সামনে শ্রী শ্রী কিম্বা সিধুঁর, প্রদ্বীপ, মন্দির ইত্যাদি দিয়ে অনেকে অনেককিছু বলছেন, আসলে আমরা এতে করে ইসলামের কিম্বা আমাদের ধর্মকে কতোটা উপরে নিচ্ছি নাকি নিচে টেনে আনছি সেটা আমার বোধগম্য নয়। আশা করি আমরা সবাই আমাদের জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো। আমি আবারও আপনাদের সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি নিজের জায়গা থেকে গর্বিত মুসলমান হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করবো।’

   

ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারাল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর শুরু হয় ম্যাচ। কিছু সময় পর আবার বৃষ্টির হানা। দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়া সয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার দলকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮ উইকেটে।

জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। তবে অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দুই দফায় বৃষ্টির মধ্যেও ৫২ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন।

দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি-বাধার পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকেন তামিম ও শান্ত। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় দুইবার জীবন পেয়ে ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। ফিফটির পর আরও একবার জীবন পান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৭ রান করে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই ব্যাটার।

শান্ত অবশ্য ততটা ‘ভাগ্যবান’ ছিলেন না। ব্যক্তিগত ২১ রানে লুক জংওয়ের বলে ডিপ মিডউইকেটে শন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাওহিদ হৃদয়। তাদের ব্যাটে চড়ে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও। দুই উইকেট পান স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে বড় চমক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শামার জোসেফের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা পোশাকে তার পারফরম্যান্স শিগগিরই তার নাম ভুলতে দেবে না আপনাকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দেন এই পেসার। 

এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পেয়েছেন জোসেফ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অবশ্য এখনো তার অভিষেক হয়নি। এছাড়া অল্পের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করা ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন।

আজ (শুক্রবার) উইন্ডিজ ক্রিকেটের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান দলটির হয়ে বিশ্বকাপে অবসরে যাওয়া সুনীল নারাইনকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নারাইন কয়েকদিন আগে জানিয়ে দেন, অবসর ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ ড্যারেন স্যামি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, নারাইনকে দলে ফেরাতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তবে যেহেতু নারাইন জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছে, তাই তাকে রাজি করানোর কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।

নারাইন না থাকলেও তার আইপিএল দল কলকাতার সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন। এবার বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের নেতৃত্ব দেবেন রোভম্যান পাওয়েল, সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন পেসার আলজারি জোসেফ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’তে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গ্রুপসঙ্গী নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল

রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মোটি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড

;

বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী ঠিক রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির খেলা এখন বন্ধ রয়েছে।

বৃষ্টির আগে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০ রান তোলে বাংলাদেশ। জাতীয় দলে ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ক্রিজে রয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম (৩*) এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪*)।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল পাওয়ার জন্য দুই দলেরই অন্তত পাঁচ ওভার করে ব্যাট করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ বৃষ্টি শুরুর আগে মোটে ৩ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে, তাই বৃষ্টিতে খেলা আর শুরু করা না গেলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হবে।

;

জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১২৫ রান চাই বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ - এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।

;