জিতলেও বাংলাদেশ, হারলেও বাংলাদেশ’



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

  • Font increase
  • Font Decrease

সেটা ছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচও মাঠে গড়িয়েছে। দ্বিতীয় সেই ম্যাচও শেষ হয়েছে। কিন্তু এশিয়া কাপ ক্রিকেট যে এখনো ‘বুঁদ’ হয়ে আছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই! আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে মুশফিকের সেঞ্চুরি এবং তামিমের একহাতে ব্যাটিংয়ের রোমাঞ্চে আটকে আছে এবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেট, এখনো!

যে ম্যাচে বাংলাদেশ ১৩৭ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। যে ম্যাচে মুশফিক হার না মানা সেঞ্চুরি করেছেন। যে ম্যাচে আহত তামিম ইকবাল হাসপাতাল ঘুরে আবার মাঠে ফিরে এসে একহাতে ব্যাট করেছেন! কোন সন্দেহ নেই এশিয়া কাপের এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ের সঙ্গে আরো অনেককিছুই অর্জন করেছে। যার সারমর্ম একটাই- জেতার জেদ! দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার যে অনন্য উদাহরণ তামিম ইকবাল এই ম্যাচে তৈরি করেছেন; তা পুরো দলকে যেন নতুন এক প্রাণশক্তি এনে দিয়েছে।

রোববার, ১৬ সেপ্টেম্বর ম্যাচ পরবর্তী দিনের পুরোটাই জয়ের আমেজে কেটেছে বাংলাদেশ দলের। নির্ধারিত অনুশীলনের সেশন ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল করা হয়। এমনিতেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ জিতে ক্লান্ত পুরো দল। তাছাড়া দুবাইয়ের গা ঝলসানো গরম থেকে দলের খেলোয়াড়দের রক্ষা করতেও এদিন ছুটির মেজাজে কাটায় বাংলাদেশ দল। তবে সেই আনন্দের মধ্যেও পরের ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনায় ঠিকই বসে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানিস্তানকে দ্বিতীয় সেই ম্যাচে হারালেই যে এবারের এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত বাংলাদেশের।

টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে থেকেই কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচক প্রায় সবারই একটা চাওয়া ছিল-‘প্রথম ম্যাচটা আমরা জিততে চাই। প্রথম ম্যাচ জিতলে টুর্নামেন্টের সামনের পথে হাঁটা সহজ হয়ে যায়।’

প্রথম ম্যাচ জেতার বাংলাদেশের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে ১৩৭ রানের জয়ের  এই ম্যাচে তামিম-মুশফিক আরও যা এনে দিয়েছেন সেটা আসলে কোন তুল্যমূল্যে দিয়ে বিচার করা যাবে না! টুর্নামেন্টের র‌্যাঙ্কিংয়ে হয়তো বাংলাদেশ টপ ফেবারিটদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তবে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যে ক্রিকেটীয় স্পিরিটের প্রদর্শনী করেছে তাতেই এখন এই টুর্নামেন্টে দল হিসেবে বাংলাদেশের বুক সবচেয়ে চওড়া।

দুর্নিবীত সাহসের অন্য নাম এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! অবশ্য বাংলাদেশ ভালই জানে সামনের ম্যাচে ভাল না খেললে পেছনের সাফল্য কেউ বেশিদিন মনে রাখে না। এই ক্রিকেট দল সেই নিষ্ঠুরতাও কম দেখেনি! এই তামিম ইকবাল বা এই মুশফিক রহিমকেও অনেক সময় অযথাই নিষ্ঠুর সব সমালোচনা শুনতে হয়েছে। সম্ভবত সেসব কঠিন দিনের কথা স্মরণ করে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেরা মুশফিক রহিম একটা কথা মনে করিয়ে দিলেন-‘দলের প্রতি, দেশের প্রতি আমাদের ডেডিকেশন সবসময়েই থাকে। এখন হয়তো আমাদের দুজনের জন্য এই ম্যাচে দলটা জিতেছে দেখে ফোকাসটা শুধু এখানেই আটকে আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ম্যাচে আমরা হারি, সেই ম্যাচেও আমাদের ডেডিকেশন এমনই থাকে।’

যখন দল কোন ম্যাচে হারে, সঙ্গে সঙ্গে একনাগাড়ে খেলোয়াড়দের শুনতে হয়-‘আরে দুর এদের কোন কমিটমেন্ট নেই। দায়বদ্ধতা নেই।’ দুর এবং কাছ থেকে শোনা এমনসব তীর্যক বালখিল্য মন্তব্য ক্রিকেটারদের কষ্টটা আরও বাড়ায়। মাঠে তো তারাই খেলেন। তারা ভালই জানেন, হারের যন্ত্রণা- বেদনা কেমন। আর প্রতিদিন প্রতি ম্যাচ তো পৃথিবীর কোন দলই জেতে না। তাই ক্রিকেটারদের সাফল্যের আনন্দ যেমন সবাই ভাগাভাগি করে নেন। ঠিক তেমনি হারা ম্যাচেও তারা কাঁধের ওপর সহমর্মিতার স্পর্শ চান, অহেতুক সমালোচনার কুঠারঘাত নয়! 

জিতলেও বাংলাদেশ, হারলেও বাংলাদেশ-সমর্থকদের সমস্বরে এই গানই জোরে সোরে গাইতে বলছেন মুশফিক এবং মাশরাফিরা!

   

‘ধোনি নিশ্চিতভাবে আবারও গর্জে উঠবেন’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের আইপিএল আসর শেষ করেই অবসরে যাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এমনটাই জানত সবাই। কারণ তিনি নিজেই জানিয়ে রেখেছিলেন এ কথা। তবে গেলবার শিরোপা জিতে নেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। চলতি আইপিএলেও প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

শনিবার চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ম্যাচ নিজেদের নামে করে প্লে-অফেও জায়গা করে নিয়েছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। অপরদিকে খুব সম্ভবত নিজের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি খেলে ফেলে নিরবে বিদায় নিয়ে ফেললেন ধোনি।

তবে ধোনি আরও বেশ কয়েকদিন মাঠের খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটাই আশা করেন তার ভক্তরা। এমনকি চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও বলেছেন, তিনি আরও কয়েক মৌসুম ধোনিকে খেলার মাঠে দেখতে পাচ্ছেন। এবার একই সুরে বললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা।

গতরাতে ধোনির হারটা মেনে নিতে পারেননি উথাপ্পাও। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না আমরা ধোনির শেষ ম্যাচ দেখেছি। তিনি এমন কেউ নন যে এই বিষয়গুলোকে হালকাভাবে নেন। তিনি নিশ্চিতভাবে আবারও ব্যাট হাতে গর্জে উঠবেন।‘

ধোনি আরেকটু আগে উইকেটে নামলে হয়ত চেন্নাই নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারত ম্যাচটি। চেন্নাইয়ের হারের এই দিনে ধোনিকে কেন আরেকটু আগে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না এ বিষয়ে উথাপ্পা বলেন, আমরা তাকে কেবল শেষ ৪ বা ৫ ওভারে ব্যাট করতে দেখেছি। এরও একটি কারণ রয়েছে। তার হাঁটুতে চোট ছিল একটু বেশি গুরুতর ছিল। এই কারণে, তাকে নিজেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে যা তিনি প্রায়শই করে এসেছেন। চোট থাকার পরও তিনি চেন্নাইয়ের দলে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছেন।‘

;

শেষ ম্যাচে হাসল পাঞ্জাবের ব্যাট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে আছে আরও আগেই। তবে আজকে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে জয় তুলে নিলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠবে তারা। অপরদিকে পাঞ্জাবের জন্য ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার। বর্তমান পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী তলানির দিকেই তাদের অবস্থান।

আইপিএলের এবারের আসরটি একদমই ভালো কাটেনি পাঞ্জাবের। শেষ ম্যাচেই তাদের পাওয়ার কিছু নেই। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট হাতে ঠিকই খুশি করতে পেরেছে সমর্থকদের। হায়দরাবাদের মাঠে তাদেরকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে তারা।

এদিন ব্যাট হাতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার। অথর্ব করেছেন ২৭ বলে ৪৬ রান এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৭১ রান। রাইলি রুসোও খেলেছেন ২৪ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

অধিনায়ক জিতেশ শর্মাও ছিলেন ফর্মে, তার ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামেওতে ভর পর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ করেছে পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের হয় ২টি উইকেট শিকার করেছেন নাতারঞ্জন। এছাড়া কামিন্স ও বিজয়াকান্ত নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

;

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;