শ্রীলঙ্কার বিদায়, সুপার ফোরে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।

আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদের কিনারায় ঝুলছিল শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের ম্যাচে সামান্য কিছু গড়বড় হলে একেবারে গর্তে পড়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল! শ্রীলঙ্কা হেরেই গেল আফগানিস্তানের কাছে। তাও আবার ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে। সেই হারেই টুর্নামেন্ট থেকে হারিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা! টানা দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের!

শ্রীলঙ্কার বিদায় আরেকটি হিসেবে নির্ধারিত করে দিয়েছে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে মাত্র একম্যাচ খেলে এবং তাতে জিতেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের! ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের লড়াই এখন কেবল নেহাৎ অনুশীলন ম্যাচে পরিণত হয়ে গেল।

আবুদাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে আফগানিস্তান যথানিয়মে ব্যাটিং বেছে নেয়। শুরুটা বেশ ধীরে সুস্থেই করে আফগানরা। শুরুতে বেশি উইকেট না হারানোর পরিকল্পনা নেয় তারা। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান উঠে। এই সময়ে তারা কোন উইকেট হারায়নি। ২৩.৩ ওভারে আফগানদের ১০০ রান পুরো হয়। মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানউল্লাহ’র ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৭ রান।

তবে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের হিরো ছিলেন ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান রাহমাত শাহ। ৯০ বলে ৫ বাউন্ডারির সহায়তায় রাহমাত শাহ ৭২ রান করেন। ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান তোলা আফগানিস্তানের ব্যাটিং কৌশলই জানিয়ে দেয়, হাতে উইকেট জমা রেখে শেষের ১০ ওভারটা তারা রান তোলার কাজে লাগাতে চায়। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়ও আফগানরা। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে তাদের ইনিংস ২৪৯ রানে পৌছায়। প্রচণ্ড গরম এবং শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেটে এই রানকে কম বলার উপায় নেই।

বোলিংয়েও তাই প্রমাণ করল আফগানিস্তান। রান তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই উইকেট হারায়। একটু সাবধানী ভঙ্গিতে সামনে বাড়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ইনিংস গড়ার কাজটা শুরু করেও কোন ব্যাটসম্যান সেটা বড় করার ধৈর্য্য দেখাতে পারলেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৩৫ ওভার শেষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস যখন আউট হলেন তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬ উইকেটে ১৪৩ রান। ব্যাটসম্যান বলতে বাকি তখন কেবল থিসারা পেরেইরা। ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রানরেট তখন ক্রমশ বাড়ছে। অপরপ্রান্তে কোন দক্ষ ব্যাটসম্যানও নেই। আর আফগানিস্তানের স্পিনাররা ততক্ষনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে গলা চেপে ধরেছে! চারধারের এতসব চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হলেন অভিজ্ঞ থিসারা পেরেইরাও। ক্রস ব্যাটে শট খেলতে গিয়ে ২৮ রানে বোল্ড হলেন থিসারা। তখন এই ম্যাচের একটাই অপেক্ষায়-শ্রীলঙ্কার হারের ব্যবধান কত রানের হচ্ছে। সেই অপেক্ষায়ও বেশি সময় রাখেনি শ্রীলঙ্কা। গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৫৮ রানে। টানা দুই ম্যাচেই ব্যাটিংয়ের পুরো ৫০ ওভার কোটা পুর্ণ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচেই গুটিয়ে যায় ২০০ রানের নিচে।

ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতা। বোলিংয়ে ধার নেই। ফিল্ডিং হাস্যকর। ক্যাচ মিস হচ্ছেই। এই দুই ম্যাচে কোনকিছুই শ্রীলঙ্কার পক্ষে গেল না। এমনকি টস ভাগ্যও। তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ের কারণ হিসেবে ব্যাখায় একটা বাক্যই সবকিছু জানিয়ে দিল-‘আমরা ম্যাচ জেতার মতো ভাল দল নই!’

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান: ২৪৯/১০ (৫০ ওভারে, শাহজাদ ৩৪, ইহসানউল্লাহ ৪৫, রাহমাত শাহ ৭২, হাসমাতউল্লাহ ৩৭. থিসারা পেরেইরা ৫/৫৫, ধনাঞ্জয়ে ২/৩৯)।

শ্রীলঙ্কা: ১৫৮/১০ (৪১.২ ওভারে, থারাঙ্গা ৩৬, ডি সিলভা ২৩, ম্যাথুস ২২, থিসারা পেরেইরা ২৮, মুজিবুর ২/৩২, গুলবুদ্দিন ২/২৯, নবী ২/৩০, রশিদ খান ২/২৬)। ফল: আফগানিস্তান ৯১ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: রাহমাত শাহ।

 

   

শেষ ম্যাচে হাসল পাঞ্জাবের ব্যাট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে আছে আরও আগেই। তবে আজকে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে জয় তুলে নিলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠবে তারা। অপরদিকে পাঞ্জাবের জন্য ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার। বর্তমান পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী তলানির দিকেই তাদের অবস্থান।

আইপিএলের এবারের আসরটি একদমই ভালো কাটেনি পাঞ্জাবের। শেষ ম্যাচেই তাদের পাওয়ার কিছু নেই। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট হাতে ঠিকই খুশি করতে পেরেছে সমর্থকদের। হায়দরাবাদের মাঠে তাদেরকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে তারা।

এদিন ব্যাট হাতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার। অথর্ব করেছেন ২৭ বলে ৪৬ রান এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৭১ রান। রাইলি রুসোও খেলেছেন ২৪ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

অধিনায়ক জিতেশ শর্মাও ছিলেন ফর্মে, তার ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামেওতে ভর পর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ করেছে পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের হয় ২টি উইকেট শিকার করেছেন নাতারঞ্জন। এছাড়া কামিন্স ও বিজয়াকান্ত নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

;

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;