এলোমেলো ব্যাটিংয়ে হোয়াইটওয়াশড টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ালেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ালেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

  • Font increase
  • Font Decrease

২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবসে একটা জয়ের অপেক্ষায় ছিল সবাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জয়ের রঙে রাঙিয়ে নিতে চেয়েছিল ক্রিকেটাররাও। কিন্তু এলোমেলো ব্যাটিংয়ে সেটা আর সম্ভব হয়নি। জেমস নিশাম ও ম্যাট হেনরির বোলিং তোপে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে অতিথিরা। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের কাছে টাইগাররা উড়ে গেল ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

দাপুটে এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল কিউইরা।

ব্যাটিং লাইন-আপের ধ্বংস স্তূপের মাঝে ধ্রুব তারা হয়ে জ্বললেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ৭৬* রানের হার না মানা দুর্বার এক ইনিংসে কোনোমতে দেড়শ রান ছাড়িয়ে যায় সফরকারীরা। তার আগে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনেই সংগ্রহ করেন ২১ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে যেন যোগ দেয় আসা-যাওয়ার মিছিলে। যে কারণে দুই অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেনি তাদের কেউ।

তার আগে ডেভন কনওয়ে-ড্যারিল মিচেলের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। যারপরনাই বাজে ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা পাহাড়সম হয়ে যায় তামিমদের সামনে। নিশাম ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ায় হোয়াইটওয়াশ এড়ানো সম্ভব হলো না।

ডেভন ফেরেন ১২৬ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে। তার ১১০ বলের ইনিংসে ছিল ১৭টি চারের মার। শতক হাঁকিয়েছেন ড্যারিলও। তিনি খেলেন ১০০* রানের হার না মানা চমৎকার এক ইনিংস। তার ৯২ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর দুটি ছক্কার মার। দুজনেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন।

ওয়েলিংটনে টস জিতে ডেভন কনওয়ে-ড্যারিল মিচেলের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।

সংক্ষিপ্ত ইনিংস:

নিউজিল্যান্ড: ৩১৮/৬, ৫০ ওভার (ডেভন ১২৬, মিচেল ১০০*, গাপটিল ২৬, নিকোলস ১৮ ও লাথাম ১৮; রুবেল ৩/৭০)।

বাংলাদেশ: ১৫৪/১০, ৪২.৪ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৭৬*, লিটন ২১, মুশফিক ২১; নিশাম ৫/২৭, হেনরি ৪/২৭)।

ফল: নিউজিল্যান্ড ১৬৪ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল নিউজিল্যান্ড।

ম্যাচ সেরা: ডেভন কনওয়ে।

সিরিজ সেরা: ডেভন কনওয়ে।

   

কোন টনিকে এমন আগ্রাসী প্রত্যাবর্তন সাইফউদ্দিনের?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফিরেছিলেন; ফিটনেস এবং ফর্ম ফিরে না পাওয়ায় দল থেকে ছিটকেও গিয়েছিলেন। আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন সামনে, ঠিক তখনই আঠারো মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনের। ফিট থাকলে সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত।

ইনজুরি থেকে ফেরার পর বিপিএলের মাঝপথ থেকে শুরু করে, ডিপিএল ঘুরে এবার জাতীয় দলে। সবখানেই বল হাতে বেশ উজ্জ্বল সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৪ ওভার বল করে মোটে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। কোন টনিক বদলে দিয়েছে সাইফকে? সে কৌতূহলের জবাব নিজেই দিলেন এই অলরাউন্ডার, ‘২০২২ বিশ্বকাপে আমি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। এ জন্য অনেক সিরিয়াস ছিলাম। পারফর্ম করতে চাচ্ছিলাম।’

আঠারো মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন। নার্ভাস থাকাটা অস্বাভাবিককিছু নয়৷ তবে সাইফের নার্ভাসনেসের কারণটা একটু ভিন্ন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন চ্যালেঞ্জের মুখে, টাইগারদের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার, ‘আজকে অনেক নার্ভাস ছিলাম। এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও এত নার্ভাস ছিলাম না। যেহেতু দুই ম্যাচ পরে ফিজ আসবে। একাদশ কী হবে না হবে, ম্যানেজমেন্ট জানে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার।’

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অটোচয়েজ হিসেবেই থাকছেন সাইফ। তবে একাদশে নিজের জায়গা শক্ত করতে এভাবেই পারফর্ম করার কথাই শোনালেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইকোনমি রেখেছেন তিনের ঘরে, উইকেটও তিনটা। এটা ধরে রাখাই আপাতত এই অলরাউন্ডারের লক্ষ্য৷ যেটা লাভটা বাংলাদেশেরই।

;

চলতি মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন কোর্তোয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুম শেষের পর এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। ২০২৩/২৪ মৌসুমে তার মাঠেই নামা হয়নি। অবশেষে লা লিগায় আজ (শনিবার) কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াবেন এই বেলজিয়ান গোলকিপার।

কোর্তোয়ার মাঠে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। লম্বা বিরতির পর দলের মূল গোলকিপারের মাঠে ফেরার সুসংবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘(আজ) কোর্তোয়া খেলবে।’

কাদিজের বিপক্ষে খেললেও এখনো বড় ম্যাচে কোর্তোয়াকে খেলানোর পক্ষে নন আনচেলত্তি। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের গোলপোস্টের প্রহরী কে হবেন সে প্রশ্নের জবাবে এই ইতালিয়ান কোচের সাফ জবাব, ‘বায়ার্নের বিপক্ষে (আন্দ্রি) লুনিন খেলবে।’

তবে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছালে কি লুনিনের জায়গা নেবেন কোর্তোয়া, এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই রিয়াল কোচের, ‘সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালে কে খেলবে? এটা আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৩ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৯ পয়েন্টে বেশি ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিউখের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে সমতায় রয়েছে। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ফাইনালের টিকিট কাটার সুযোগ এখন তাদের সামনে।

;

গ্যালারিতে স্ত্রীকে দেখেই জ্বলে উঠলেন স্টার্ক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক। চলতি আইপিএল শুরুর আগে নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খরচ করে তাকে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু আইপিএলে মাঠে নামার নিজের নাম বা দামের প্রতি কমই সুবিচার করতে পেরেছেন। তবে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে অন্য এক স্টার্কের দেখা মিলল!

এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৪ ওভার বল করে ৫৩ রান খরচ করেন স্টার্ক। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে গত রাতের ম্যাচের আগে ৮ ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট, ৫০ বা তার বেশি রান দিয়েছেন তিন ম্যাচে। প্রায় ১২ গড়ে রান বিলিয়েছেন।

তবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে স্টার্ক ৩.৫ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচ করেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। এটাই এবারের আইপিএলে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন স্টার্কের স্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাই এটিকে ‘লেডি লাক’ বলছেন।

;

১১০ ভাগ দিচ্ছেন তাসকিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটারদের তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। কারণ সিকান্দার রাজাদের ১২৪ রানে আটকে দিয়ে বোলাররা আগেই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা নাচিয়ে ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের। এই দুই পেসারই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৫ রানে ৩ উইকেট নেয়া সাইফউদ্দিনের চেয়ে ১ রান কম খরচায় সমান উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাসকিন।

ম্যাচসেরা হয়ে উচ্ছ্বসিত তাসকিনের মুখে পুরো বোলিং বিভাগের জন্য প্রশংসা ঝরেছে, ‘প্রথমত আমরা আজ দারুণ জয় পেয়েছি, বল হাতে ভালো শুরু পেয়েছি। আমরা বেসিক কাজটা ঠিকঠাক করেছি, সে কারণেই পুরস্কৃত হয়েছি। গত কয়েক সপ্তাহ সবাই কঠোর অনুশীলন করছে, সেই ফল পাচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শতভাগের চেয়েও বেশি দিয়েছেন জানিয়ে তাসকিন যোগ করেন, ‘১১০ শতাংশ দিচ্ছি। আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি, সামনেও এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটিকে আদতে জুনে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

;