৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুশফিকুর রহিম

মুশফিকুর রহিম

তামিম ইকবাল দশ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। তার ৯০ রানের দাপুটে ইনিংসের সঙ্গে ১৬৩ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যাপ্টেন মুমিনুল হকের ১২৭ রানের দুরন্ত ইনিংসের সঙ্গে তৃতীয় দিন সকালে জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি যোগ করে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

ব্যস, তাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪১ রানের পর্বত চূড়ায় পৌঁছেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৬৮* রানে অপরাজিত থেকে যান। তৃতীয় দিন সকালের সেশনে ব্যক্তিগত স্কোরে ২৫ রান যোগ করে উইকেট ছাড়েন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সুবাদে তামিমকে পিছনে ফেলে দেশের হয়ে টেস্টে ফের সর্বাধিক রানের মালিক বনে গেলেন মুশফিক। তার সঙ্গে ৬* রান যোগ করেন তাসকিন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

লিটনের পর সাজঘরে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। তবে মিরাজ ৩ ও তাইজুল ২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দলীয় স্কোরে। অর্ধ-শতক পূর্ণ করে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাসও। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫০ রান তোলেন এ তারকা এ ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত স্কোরে তৃতীয় দিন সকালে ২৫ রান যোগ করেই নিজের উইকেট সপে দেন তিনি।

৫৪১ রান তুলে নতুন রেকর্ডে নাম লিখেছে বাংলাদেশ। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। ২০১৮ সালে ৪৮৭ রানের আগের রেকর্ডটা করে ছিল ভারত।

বিজ্ঞাপন

টাইগাররা খেলেছে ১৭৩ ওভার। এর চেয়ে বেশি ওভার বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র একবার। ২০১৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ১৯৬ ওভার খেলেছিল মুশফিকুর রহিমরা। ইতিহাস গড়া সেই ইনিংসে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩৮ রানের সংগ্রহ গড়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

তার আগে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রানের স্কোর নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ব্যাটিং দাপটটা ধরে রেখে দ্রুত ৫০০ রানের স্কোর ছাড়িয়ে যায় টাইগাররা। ৪৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দিয়ে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে যান লিটন দাস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৪১/৭ ডি., ১৭৩ ওভার (শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, তামিম ৯০, মুশফিক ৬৮* ও লিটন ৫০; বিশ্ব ফার্নান্ডো ৪/৯৬, ধনাঞ্জয়া ১/১৩০, লাকমল ১/৮১ ও লাহিরু ১/৮৮)।