ব্যর্থতার গল্প লিখে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাট হাতে লিটন দাস

ব্যাট হাতে লিটন দাস

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ দিনে অবিশ্বাস্য, অলৌকিক কিছু ঘটেনি। হয়নি কোনো বিশ্ব রেকর্ড। প্রকৃতিও সাহায্য করতে আসেনি। বৃষ্টি বা আলোর স্বল্পতায় খেলাও বন্ধ হয়নি। শেষে পুরনো শঙ্কাটাই সত্যি হলো। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হার মানল ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে। শুধু ম্যাচই নয়। হাতছাড়া হলো সিরিজও। প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় দুই টেস্টের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতল লঙ্কানরা।

হারের শঙ্কাটা জেগেছিল প্রথম ইনিংসেই। টাইগাররা ২৫১ রানে গুটিয়ে গেলে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসেই লিড পেয়ে যায় ২৪২ রানের। কেননা স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানের পাহাড় গড়ে আগেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে রেখেছিল। পরে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ৪৩৭ রানের মহা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ক্যাপ্টেন দিমুথ করুনারত্নের দল। 

চতুর্থ ইনিংসে এমন পাহাড়সম লক্ষ্য ছোঁয়া বড়ই অসম্ভব জেনেও অবিশ্বাস্য কিছুর প্রত্যাশায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই মাঠে নামে মুমিনুল হকরা। চতুর্থ দিন শেষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেললে হারের শঙ্কাটা আরও বেড়ে যায়। মানে ম্যাচ জয়ের মিশনটা তখন হয়ে দাঁড়ায় হার এড়ানোর লড়াই। শেষ দিনে আর অবিশ্বাস্য কিছুই ঘটেনি। বরং দুঃস্বপ্নের হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে বাংলাদেশ। 

এবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালান অভিষিক্ত প্রবীণ জয়াবিক্রম। এবার তিনি পাঁচ উইকেট শিকার করলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২২৭ রানে। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়েও লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসের সমান রান তুলতে পারেনি টাইগাররা। অভিষেকেই ম্যাচসেরা হওয়া জয়াবিক্রমের সঙ্গে চার উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।

টাইগারদের প্রথম ইনিংসে জয়াবিক্রম নিয়ে ছিলেন ৬ উইকেট। এবার নিলেন পাঁচ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে অভিষেকেই জয়াবিক্রম নিলেন ১১ উইকেট। ১৬তম বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে কমপক্ষে ১০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন জয়াবিক্রম। ১৯৮০ সালের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে অভিষেকে কমপক্ষে দশ উইকেট শিকারের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার হয়ে এই প্রথম কীর্তিটি গড়লেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার। ২০০৮ সালের পর অভিষেকে এই প্রথম কোনো বোলার এমন দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিলেন।

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল অলৌকিক ও অবিশ্বাস্য কিছু পারফরম্যান্স। আর পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়া। কিন্তু এই কথাগুলো কেবল গল্প আর স্বপ্নের বেড়াজালেই আটকে রইল। আলোর মুখ দেখতে পারল না। কেননা প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও যে ব্যর্থতার গল্প লিখেছে মুমিনুল হকের দল।

শেষ দিনে অতিথিরা ২৬০ রানের ঘাটতি পূরণের দুঃসাধ্য লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে। কিন্তু শেষের পাঁচ উইকেট নিয়ে পুরোপুরি বোলিং বান্ধব হয়ে পড়া পিচে কোনো ভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি। ৫ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ বাকি পাঁচ উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোরে যোগ করে মাত্র ৫০ রান। পঞ্চম দিন সফরকারীরা উইকেটে টিকে ছিল মাত্র এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়। সকালের সেশনটাও পুরো শেষ করতে পারেনি তারা।

আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ তার ৪ রানের ইনিংসটাকে ৩৯ রানে রূপ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে। আর লিটন দাস নিজের আগের দিনের ১৪ রানের সঙ্গে শেষ দিনে যোগ করেন মাত্র ৩ রান। তাদের দুজনের পরে লোয়ার-অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেননি।

টেস্টে এত বিশাল আকাশ ছোঁয়া রান তাড়া করে এর আগে কেউ জিততে পারেনি। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে। বিদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ২৮২ রানের বেশি করার নজির নেই। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৪১৩ রান তুলেছিল ২০০৮-০৯ মৌসুমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর ২০০৩ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। জিততে হলে এ সব রেকর্ড ভাঙতে হতো অতিথিদের। কিন্তু সেটা তো সম্ভব হয়নি। তার ধারের কাছে যাওয়াও সম্ভব হয়নি।

ক্যারিয়ারের সেরা একটি টেস্ট সিরিজ খেললেন লঙ্কান ক্যাপ্টেন দিমুথ করুনারত্নে। দুই টেস্টের ৩ ইনিংস (২৪৪, ১১৮ ও ৬৬) মিলিয়ে সংগ্রহ করলেন রেকর্ড ৪২৮ রান। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে এ ব্যাটার করে ছিলেন ৩৫৬ রান। দুরন্ত এ ব্যাটিং পারফরম্যান্সে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিলেন এ তারকা ওপেনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৪৯৩/৭ ডি., ১৫৯.২ ওভার (থিরিমান্নে ১৪০, করুনারত্নে ১১৮, ওশাদা ৮১, ডিকভেলা ৭৭*, রমেশ ৩৩ ও নিসানকা ৩০; তাসকিন ৪/১২৭, তাইজুল ৮৩/১, শরিফুল ১/৯১ ও মিরাজ ১/১১৮)।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৫১/১০, ৮৩ ওভার (তামিম ৯২, মুমিনুল ৪৯, মুশফিক ৪০, সাইফ ২৫, মিরাজ ১৬; জয়াবিক্রম ৬/৯২, লাকমল ২/৩০ ও রমেশ ২/৮৬)।

শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯৪/৯ ডি., ৪২.২ ওভার (করুনারত্নে ৬৬, ধনাঞ্জয়া ৪১, নিসানকা ২৪, ডিকভেলা ২৪; তাইজুল ৫/৭২ ও মিরাজ ২/৬৬, সাইফ ১/২২ ও তাসকিন ১/২৬)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২২৭/১০, ৭১ ওভার (মুশফিক ৪০, মিরাজ ৩৯, সাইফ ৩৪, মুমিনুল ৩২, শান্ত ২৬, তামিম ২৪, লিটন ১৭; জয়াবিক্রম ৫/৮৬, রমেশ ৪/১০৩)।

ম্যাচ ফল: শ্রীলঙ্কা ২০৯ রানে জয়ী।

সিরিজ ফল: দুই টেস্টের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচ সেরা: প্রবীণ জয়াবিক্রম।

সিরিজ সেরা: দিমুথ করুনারত্নে।

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;