ফের বৃষ্টির হানায় বন্ধ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার খেলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাঠে খেলা শুরু করেছে বৃষ্টি

মাঠে খেলা শুরু করেছে বৃষ্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে মাঠের লড়াইয়ে। সেই পূর্বাভাস ফলে গেল। বৃষ্টি হানা দিয়ে বসেছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যে কারণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডের খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তুলতেই মাঠে এসে খেলা থামিয়ে দেয়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো খেলা বন্ধ হলো বৃষ্টির কারণে। প্রথমবার খেলা বন্ধ হয় বাংলাদেশ ইনিংসের ৪১.১ ওভার শেষে। ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন মুশফিকুর রহিম। ১১১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে মুশফিকের পুঁজি এখন ৯৬ রান। মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যাট হাতে নেমেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার সংগ্রহ ৮ রান। তিন উইকেট নিলেন লক্ষ্মণ সান্দাকান।

ব্যাট হাতে মাঠে নেমে আফিফ হোসেন বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। মাত্র ১০ রান করে ইসুরু উদানার বলে পাথুম নিসানকার হাতে ক্যাচ সপে দিয়ে তবেই ফিরলেন তরুণ এ অলরাউন্ডার। আফিফের পর শূন্য রানে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

ফিফটি হাঁকানো মুশফিকুর রহিমকে ভালোই সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হাফ-সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে যাচ্ছিলেন এ তারকা অলরাউন্ডার। কিন্তু লক্ষ্মণ সান্দাকান তাকে ৯ রানের জন্য ফিফটি থেকে বঞ্চিত করলেন কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ বানিয়ে। উইকেট থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ৫৮ রানে এক বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় দলীয় স্কোরে ৪১ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে খারাপ খেলায় বাদ পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। তার জায়গায় দলে ঢুকেন মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু ভালো ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামলেও তিনিও ব্যর্থ হলেন। ১০ রান করে মোসাদ্দেকও ধরলেন সাজঘরের পথ। লক্ষ্মণ সান্দাকানের বলে কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক।

সাকিব-তামিমের পর এবার উইকেট থেকে বিদায় নেন লিটন দাস। লক্ষ্মণ সান্দাকানের বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এ তারকা ওপেনার। আউট হওয়ার আগে লিটন ৪২ বলে দুই বাউন্ডারিতে করেন ২৫ রান।

ইনিংস উদ্বোধনে তামিম ইকবালের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল দুরন্ত। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইসুরু উদানাকে উড়িয়ে প্রথম চার বলেই তিন বাউন্ডারি হাঁকান দেশসেরা এ ওপেনার। কিন্তু বেশি দূর আগাতে পারলেন না। ছয় বল মোকাবেলা করেই ফিরতে হলো তাকে।

কেননা শুরুতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে আঘাত হেনেছেন দুষ্মন্ত চামিরা। তামিম ইকবালের সঙ্গে চামিরা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও। শুরুর ধাক্কায় সাকিব-তামিমকে হারিয়ে বিপদেই যায় টাইগাররা।

চামিরার বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পা দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তামিম সংগ্রহ করেন ১৩ রান। একইভাবে তোপ দাগিয়ে ওয়ানডাউনে নামা সাকিবকে শূন্য রানে ফেরান এ তারকা লঙ্কান পেসার। পছন্দের ব্যাটিং পজিশন তিনে নেমে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন এ ক্রিকেট মহাতারকা। প্রথম ওয়ানডেতে করেন মাত্র ১৫ রান।

এর আগে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস ভাগ্য সহায় হয় ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের। টস জিতেই ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমেছে টাইগাররা। আর সিরিজ বাঁচাতে বল হাতে মাঠে নেমেছে সফরকারী লঙ্কানরা।

   

শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার খালিদ হাসান এবং তিনে নামা অমিত হাসানের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৫৮ বলে সমান ৫৮ রান আসে খালিদের ব্যাটে। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত।

দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থামে তারা। আবাহনীর পক্ষে তিন উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।

২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১১০ রান করে বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩২ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে শাইনপুকুর।

;

টানা চতুর্থ হার নিগারদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৃষ্টি উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি শরীর-মন ভিজিয়ে দিচ্ছে সবার। কিন্তু সিলেটে শিলাবৃষ্টি নিশ্চয়ই উপভোগ করেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তার সতীর্থরা। আজ সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের সময় দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে ম্যাচ। যার ফলে কুড়ি ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভার। এর মধ্যেই জয়ের জন্য ১২৫ রান তোলার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন নিগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৬ রানের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১২৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ১২০-এর ঘর ছুঁতে না পারা বাংলাদেশের জন্য যে এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামতেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা।

দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি ওপেনার দিলারা আক্তার (২১), তিনে নামা রুবাইয়া হায়দার (১৩) ও শরিফা খাতুন (১১*) বাদে অন্য ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিং দিয়ে তো ১৪ ওভারে ১২৫ রান তাড়া করা যায় না। বাংলাদেশও পারেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

;

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে খেলবে শক্তিশালী কোরিয়া-পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতেও অর্ন্তভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশের এই প্রতিযোগিতা। এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৩ থেকে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের ১১টি বিদেশি দলের সাথে অংশ নিবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো অংশ নিবে সবশেষ দুই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং এশিয়ান কাবাডির পরাশক্তি পাকিস্তান- আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে বৈঠক শেষে জানান ডিএমপি কমিশনার ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, তিনি কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন কারণে আসছে না লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, ইউরোপের ইংল্যান্ড ও এশিয়ার চাইনিজ তাইপে।

বিদেশি দলগুলো আসবে ২৩ ও ২৪ মে, ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে হবে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার। খেলা হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে।

২০২১ সাল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরকে বর্ণিল রুপ দিতে চায় ফেডারেশন। সারাদেশে একযোগে কাবাডি উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে, হবে আতশবাঁজি- জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক।

প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ৬টি দল। ২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে ৮টি ও ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ১২টি দল। গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথম দুইবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। ২০২১ সালে ৩৪-২৮ ও ২০২২ সালে ৩৪-৩১ পয়েন্টে জিতেছিল লাল-সবুজ দল। আর গত আসরে চাইনিজ তাইপেকে ২৮-৪২ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। তিনবারই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তুহিন তরফদার।

;

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৪ ওভারে ১২৫ রান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন ভারতের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই চলছে। সে লড়াইয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়। বৃষ্টির বাগড়ায় ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১২৫ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চান ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা দ্রুতলয়ে রান তুলতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। রাবেয়া খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হন। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ রান।

তবে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত।

;