রোনালদোর ডাবলে পয়েন্ট বাঁচল ম্যানইউ’র
ম্যাচের দুই অর্ধের ইনজুরি টাইমেই গোলের দেখা পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করলেন আরও একবার। শেষ মুহূর্তের পর্তুগিজ মহাতারকার রোমাঞ্চকর গোলেই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে রেড ডেভিলরা। ২-২ গোলের ড্রয়ের স্বস্তি নিয়ে ফিরেছে আটালান্টার মাঠ থেকে। সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ‘এফ’ এ শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখল ওল্ড ট্রাফোর্ড শিবির।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দলকে সমতায় ফেরান ৩৬ বছরের তারকা ফরওয়ার্ড রোনালদো। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত এক ভলিতে ইউনাইটেডকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট এনে দেন সিআর সেভেন।
জোসিপ ইলিচ ম্যাচের ১২তম মিনিটেই এগিয়ে দেযন স্বাগতিক আটালান্টাকে। কোলাহলপূর্ণ গিউস স্টেডিয়ামে গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী ডেভিড ডি গিয়ার নিচ নিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। ৫৬তম মিনিটে ডুভান জাপাতার গোলে আটালান্টা ভেবেছিল ম্যাচ জিততে যাচ্ছে তারা। কিন্তু ইনজুরি টাইমে (৯০+১ মিনিটে) রোনালদোর গোলে ম্যাচের চিত্রনাট্য পাল্টে যায়।
ব্রুনো ফার্নান্দেজের ব্যাক-হিল থেকে বল পেয়ে দুরন্ত শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক হোয়ান মুসোকে বোকা বানিয়ে রোনালদো প্রথম গোল পান। তবে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ে ব্যাক ফুটে খেলেছে ম্যানইউ।
বিরতির পর খুব বেশি ভালো খেলতে পারেনি ইউনাইটেড। তবে রোনালদোর শেষ দিকের নাটকীয় গোলে ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। তার গুরুত্বপূর্ণ গোলে গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ সামনে রেখে শেষ ষোলো'র লড়াইয়ে ভালো বেশ ভালোভাবেই টিকে রইল ম্যানইউ।
এ ম্যাচে ২-১ পিছিয়ে থেকে ইউনাইটেড পড়ে ছিল গ্রুপের তৃতীয় স্থানে। পড়ে গিয়েছিল আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়। সমতা না আসলে পরের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের কাছে হারলেই বিদায় নিয়ে নিতো কোচ ওলে গুনার সোলশজায়েরের শিষ্যরা। এখন জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্বের টিকিট কাটবে রোনালদোরা। তার মানে পরের ম্যাচ হারলেও আরও একটি সুযোগ থাকছে এখন তাদের সামনে।