চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ওয়ানডেতে হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের একটি ভালো সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বিগত পাঁচ বছর ধরে টাইগাররা একটি অবনতির পথে রয়েছে। ২০২৪ সালে তারা তাদের নয়টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি ম্যাচে জিতেছে। যদিও বাংলাদেশ একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল দল।
দেশের ক্রিকেটের সিনিয়র খেলোয়াড় তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানদের অবসরের পর দল এখন বাহাতি ব্যাটার ও টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ আর তাসকিন আহমেদের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। শান্ত ফর্মে না থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রান পাওয়া তার জন্য অগ্রাধিকারে থাকবে। কারণ রান পেলে সে দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে অনুপ্রাণিত করতে পারবে। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যাটার তানজিদ হাসান এবং সৌম্য সরকার আর মিডল অর্ডারে থাকা দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ, তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলিদের।
বোলিংয়ে লাইনের বাংলাদেশ দলের আশাব্যাঞ্জক দিক হলো ফাস্ট-বোলিং আক্রমণ। পেসার তাসকিনের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমানও আছেন। কিন্তু সবচেয়ে দারুণ হচ্ছে তানজিম হাসান এর চোখ ধাঁধানো বোলিং এবং নাহিদ রানা এর কাঁচা গতির বোলিং। পেসাররা আশা দেখালেও বাংলাদেশের স্পিন বোলিং আগের মতো শক্তিশালী নয়। পাশাপাশি ফিল্ডিং মাঝে মাঝে ভালো হলেও বেশিরভাগ সময় খারাপ থাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ এ-তে যেখানে টাইগাররা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডও তাদের প্রতিপক্ষ। যদিও ভারতের বিপক্ষে বেশ ভালো স্মৃতি রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছিল তারা। বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এশিয়া কাপেও ভারতকে হারিয়েছিল, তবে আর সামনে এগোতে পারে নি তারা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ নিয়মিত খেলে। তাতে এবার কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের উইকেট তাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের সিরিজ হারার পর এক ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ আর এটিই ছিল কিউইদের তাদের শেষ দ্বিপাক্ষিক ওডিআই সিরিজ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল, একই ভেন্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনটি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে দুটি খেলবে সিমেন্স বাহিনী। সেবার বাংলাদেশ পাকিস্তানকে দুই টেস্টেই হারিয়েছিল। তবে ওডিআইতে পাকিস্তান এগিয়ে, কারণ ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল বাবর আজমরা।
এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন বোলার জুটি নাহিদ রানা-তানজিম হাসান। আর ব্যাটার জুটি তানজিদ হাসান-জাকের আলির বেশ সম্ভাবনা আছে। তবে টাইগার দলপতি শান্ত এই সম্ভাবনাকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারে তাদের সেটাই এখন দেখার বিষয়।