ভারতের স্বপ্ন ভেঙে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলারদের শিরোপা উৎসব

বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলারদের শিরোপা উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনাল ম্যাচের ফাইনাল বাঁশি বাজতেই ফুটবলাররা মেতে উঠল শিরোপা জয়ের আনন্দে। ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের খুশিতে। লাল-সবুজের পতাকা হাতে উল্লাসে মাতল দেশের মেয়েরা। তাদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিলেন দলের কোচিং স্টাফরাও। সবাই মিলে পুরো মাঠে দাপিয়ে বেড়ালেন। উচ্ছ্বাসের বন্যায় ভেসে মাঠে উপস্থিত সবাই যেন চলে গেলেন অন্য কোনো জগতে। যেখানে পাখা মেলে উড়তে আর বাঁধভাঙা উন্মাদনায় মাততে নেই কোনো বাধা।

মেয়েদের খুশির মাত্রা যে একটু বেশিই ছিল। থাকবেই বা না কেন? মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে তারা যে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। যেটা পারেনি বাংলাদেশের জাতীয় নারী দল। এমনকি পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলের দখলেও নেই এমন অসাধারণ কীর্তি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগে বাংলাদেশের কোনো দল জেতেনি একাধিক শিরোপা। আর শিরোপ ধরে রাখা তো দূরের কথা।

পতাকা হাতে মেয়েদের উল্লাস

দুরন্ত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলটি লিখল সাফল্যগাঁথা। দেশের ফুটবল ইতিহাসটাই লিখল নতুন করে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শুধু দুটি শিরোপাই জেতেনি মেয়েরা। ট্রফি ধরে রাখার রেকর্ডও গড়েছে তারা। মানে আঁখি খাতুন-মারিয়া মান্ডারা ঘরে তুলল টানা দ্বিতীয় ট্রফি। টুর্নামেন্টের প্রথম দুটি শিরোপাই নিজেদের করে নিয়েছে কোচ রব্বানী ছোটনের দল।

দেশের ছেলেরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছে তিন তিনবার। কিন্তু চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে জড়িয়েছে মাত্র একবার। সেও আবার ২০০৩ সালে। মালদ্বীপকে ধরাশায়ী করে। ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে এই ভারতের কাছেই শিরোপা হাতছাড়া করেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আর মেয়েদের জাতীয় দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেলেছে একবার। ২০১৬ সালে সেই প্রতিবেশী ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় পুড়তে হয়েছে মেয়েদের সিনিয়র দলকেও।

২০১৮ সালে টুর্নামেন্টের অভিষেক আসরে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ভুটানের মাটিতে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অবশ্য সেবার টুর্নামেন্টটি বসেছিল অনূর্ধ্ব-১৮ দল নিয়ে।

 উচ্ছ্বাসের বন্যায় ভাসছেন চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা
 

এবার টুর্নামেন্ট হলো অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে। এবারও শিরোপা জিতল দেশের মেয়েরা। ব্যবধান সেই একই। ১-০ গোল। কেবল প্রতিপক্ষ আর ভেন্যু পাল্টে গেল। আজ বুধবার, ২২ ডিসেম্বর  ঘরের মাঠের ফাইনালে প্রতিবেশী ভারতকে হারিয়ে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখল মারিয়া মান্ডারা।

পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। মাঠের লড়াইয়েও আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরা। তবে কিছুতেই যেন গোলের দেখা মিলছিল না। শেষে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ভারতের রক্ষণদুর্গ ভাঙে দেশের মেয়েরা। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন আনাই মগিনি। তাতেই প্রথমবার ফাইনালে উঠা ভারতের মেয়েদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায়।

খেলার বাকি তখন দশ মিনিট। সাহেদা আক্তার রিপা ব্যাকহিল পাস দেন। মাঠের ডান প্রান্তে থাকা আনাই মগিনি বক্সের বাইরে থেকে নেন দুরন্ত এক শট। উড়ে যাওয়া বল ফিস্ট করতে চেয়েছিলেন ভারতের গোলরক্ষক। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি। ফলে বল তার হাতে লেগে জড়ায় জালে। বল গোল লাইন পার হতেই লাল-সবুজের ডাগআউট রূপ নেয় খুশির ফোয়ারায়। আর কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শকরাও ভাসতে থাকে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে। ম্যাচ শেষে সেই আনন্দ বইয়ে যায় যেন উৎসবের আমেজ নিয়ে।

গ্যালারি ভর্তি দর্শক

বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারত ১৬তম মিনিটেই। ভারতের গোলরক্ষক প্রথম প্রচেষ্টায় বল ধরতে পারেননি। তোহুরার শট ভারতের গোলরক্ষক ফেরান একেবারে গোললাইনের ওপর থেকে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা গোলের জোড়ালো দাবি তুলেছিল। কিন্তু রেফারি তাতে সায় দেয়নি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গোল লাইনের ঠিক ওপরেই ছিল।

দেশের মেয়েদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গোলবারও। ২৫তম মিনিটে বাংলাদেশের একটি গোল প্রচেষ্টা সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে। বিরতির পর প্রথম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের শটও আঘাত করে পোস্টে। ৭৬তম মিনিটে আরও একটি গোল পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে মাঠের রেফারি গোল বাতিল করেন। তা না হলে উৎসব জমতো আরও আগে

   

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ায় ছাপ রাখতে চান রাজা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ২০টি দল নিয়ে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে কানাডা-উগান্ডার মতো দলের জায়গা হলেও হয়নি জিম্বাবুয়ের। যা অধিনায়ক হিসেবে বেশ পোড়ায় সিকান্দার রাজাকে। সেই ক্ষতে প্রলেপ হতে পারে আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করতে চায় সফরকারীরা। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা বার্তা দিতে চায় তারা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রাজা জানিয়েছেন এমন কথায়।

নিজেদের মাটিতে উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সেটি যে বাকি জীবন পোড়াবে রাজাকে তা স্বীকার করে রাজা বলেন, ‘ওই ঘটনাটা সব সময়ই বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। শুধু এখন নয়, যখন আমরা অবসর নেব, তখনো। শুধু আমরা যারা খেলছি তাদের জন্য নয়, যারা ম্যানেজমেন্টে আছে, তাদের জন্যও বিশ্বকাপে না যাওয়াটা সমান বেদনাদায়ক। শুধু এখন নয়, এই অনুভূতি আমাদের আরও অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’

রাজার বর্তমান বয়সটা ৩৮। তার মতোই বর্তমান দলের অনেকেই অবস্থান করছেন ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে। তবে ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে সকলে মিলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎটা গড়ে দিয়ে যেতে চান তিনি। যা নিয়ে রাজা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। অনুপ্রেরণার কথা বললেন, ওই ছেলেমেয়েরা, ওই পরিবার, আমার দেশ এবং আমাদের দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেটার তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।’

;

সাকিবের ব্যাটে বঙ্গ’র স্টিকার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সময়ের বিবর্তনে এই নামটাই যেন পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে। দেশের অন্যতম এই তারকার ব্যাটের এবার স্টিকার পার্টনার হলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই চুক্তি হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য সাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে থাকবে বঙ্গ’র স্টিকার।

আগামীকাল থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে সাকিব না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে সব ঠিকঠাক থাকলে এই সিরিজ দিয়েই সাকিবের সঙ্গে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গ’র।

‘ব্যাট স্টিকার পার্টনার’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই পার্টনারশীপ এর অংশ হিসাবে, জনপ্রিয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এর লোগো বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের সময় শাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে ২ বছর পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী জিম্বাবুয়ের সিরিজ, যা ৩রা মে থেকে শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহাদ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটা গৌরবময় ইভেন্ট। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা । তার ব্যাটের ‘স্টিকার পার্টনার’ হিসেবে আমরা যুক্ত হতে পেতে আনন্দিত। বঙ্গ বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় বিশ্বাসী। আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি

আমাদের সীমানা ভেঙে অভিনব কিছু আনতে যাতে আমরা দর্শকদের স্পেশাল ফিল করাতে পারি। দেশের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই লক্ষ্যেরই একটি প্রতিফলণ।‘

অন্যদিকে এই পার্টনারশিপ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গ এই মুহুর্তে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে ওদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কন্টেন্টগুলো দেশের বিনোদন জগতের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর আমরা সবাই জানি ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, কোটি কোটি মানুষের জন্য এক বিনোদনের মাধ্যমও। তাই বঙ্গ-এর মতো বিনোদন প্ল্যাটফর্মের সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব আশা করি এই বিনোদনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।‘

বঙ্গ বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারেরও বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডাবিংকৃত কন্টেন্ট, নাটক, টিভি শো, সিরিজসহ বিশাল তাদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস রিয়ালিটি শো ‘শার্ক ট্যাংক’-এর বাংলাদেশি সংষ্করণ তাদের প্লাটফর্মে সম্প্রচার  শুরু করেছে।  

এছাড়া পার্টনারশিপ নিয়ে বঙ্গ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আরো কিছু আকর্ষনীয় খবর আসতে চলেছে।

;

জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। সেটাও অবশ্য ২০২২ এর আগস্টে। অর্থাৎ এক বছর নয় মাস আগে। তবে এই সময়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। মাঝে একটা বিশ্বকাপও গিয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।

বিশ্বকাপে না থাকলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাগতিক ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত। দুই দলের পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা।

‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।‘

বিশ্বকাপ না খেললেও জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে দেখছেন কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা মজবুতের শক্ত ভিত্তি হিসেবে। তবে শান্ত মনে করছেন এই সিরিজে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ছে না। সিরিজ জেতা আর ঠিকঠাক প্রস্তুতিটাই আপাতত শান্তর প্রধান লক্ষ্য।

‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখবো কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো তা–ও না। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলবো না। আমি বলবো সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেনো আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।‘

শান্ত জিম্বাবুয়েকে যতটা শক্তভাবে নিচ্ছেন রাজা-উইলিয়ামস-বার্লরা আসলেই কী তাই? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে কাটতে পারেনি বিশ্বকাপের টিকিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে বরং সেটাই হবে অঘটন।

;

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;