নান্নু-আশরাফুলের বাকযুদ্ধ, অস্বস্তিতে বিসিবি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুল

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুল

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিবি'র প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন। আর তাদের দুজনের কথার বাহাস নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বোর্ড। 

বিসিবি'র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি নান্নুর, ‘আশরাফুল যেহেতু বর্তমান খেলোয়াড় আর সাবেক একজন অধিনায়ক, আমি মনে করি সরাসরি এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। কাউকেই এভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। আপনি একটা পদে আছেন বোর্ডে, ওই জায়গা থেকে এমন মন্তব্য না করাই ভালো ছিল। যেহেতু নির্বাচক কমিটি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনে, আমি এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি।’ 

এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে দল পেতে আশরাফুলের সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘তেমন কিছু হবে না। আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ এর শিকার হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই দলে আসবে।’

দুজনের বাকযুদ্ধ শুরু আশরাফুলের এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে। আশরাফুল এক টিভি চ্যানেলকে জানান, জাতীয় দলের নির্বাচকদের কাজের মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর করা উচিত। 

পরে এক টিভি চ্যানেলে আশরাফুলকে 'দেশদ্রোহী’ ও ‘ফিক্সার’ বলেন নান্নু। আশরাফুলের কথার জবাবে নান্নু বলেন, ‘আশরাফুলের এই কথার সাথে আমি একটা জিনিস যুক্ত করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রধান নির্বাচক কত বছর কাজ করেছে ওর বোধহয় ধারণা নেই। প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একটানা কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়া কি ক্রিকেট থেকে পিছিয়ে গিয়েছে?’ 

রেগে গিয়ে নান্নু বলে বসেন, ‘ওর তো বোঝার কথা না। যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।’

ভার্চুয়াল জগতে নান্নুর সেই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি কেউ ভালোভাবে নিচ্ছে না। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে পাল্টা জবাব দেন সাবেক ক্যাপ্টেন আশরাফুল।

ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ উগরে দেন আশরাফুল। ফিক্সিং অপরাধে শাস্তি পেলেও নান্নুর মতো অনেকে হয়তো তাকে ক্ষমা করতে পারেননি। এমন অনুযোগ করে আশরাফুল বলেন, ‘নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটা তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। আমি যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করতাম তাহলে হয়ত ভিন্ন চিত্র হতো। তাহলে হয়ত এক বছরের শাস্তি হতো, হয়ত এখনো জাতীয় দলে খেলতাম। আপনাদের কাছে এখনো ক্ষমা পাইনি, আপনার কথাতে এটা বোঝা যাচ্ছে। আমার প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে।’

নান্নুর কথার আক্রমণে নিজের কষ্টের কথা বলে আশরাফুল যোগ করেন, ‘যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। আমি তো উল্টাপাল্টা কিছু বলিনি। আর আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি, আমি ঐ দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে ঢুকে সরাসরি আক্রমণ করলেন আমার নাম ধরে। এটা আসলে খুবই দুঃখজনক।’

   

উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ২০১ রানের। ম্যাচের শুরুটা যখন রান তুলতে ভুগছিল গুজরাটের ব্যাটাররা তখন মনে হচ্ছিল দিনটা ব্যাটারদের। অবশ্য পরে সাই সুদর্শন-শাহরুখ খানরা পাল্টেছেন রানের চিত্র। এবার রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা পাল্টে দিলেন পুরো ম্যাচের চিত্র। আরও একবার ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখালেন বিরাট কোহলি। তবে তাকে ছাপিয়ে আজ বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক উইল জ্যাকস। স্রেফ ৪১ বলেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। এতে ৪ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে দাপুটে জয় পায় বেঙ্গালুরু।

বিস্তারিত আসছে...

;

একাই লড়লেন জ্যোতি, সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচটা কঠিন গিয়েছিল তখনই যখন ১২ ওভার ৫ বলেই দলীয় সংগ্রহের শত রান পেরিয়ে যায় ভারত। পরে বোলাররা ছন্দে ফিরলেও ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। পরে ব্যাটিংয়ে এসে সেই পুরনো সমস্যা, যেই সমস্যায় জ্যোতি-নাহিদাদের ভুগিয়েছে ঘরের মাঠে এর আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও। ব্যাটিং ব্যর্থতা। ৫১ রান করে স্রেফ একাই লড়লেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাকিদের আরও একবার হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৪৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।

বিস্তারিত আসছে...

;

‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে গুজরাটের ২০০ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওভারেই সাজঘরে পাড়ি জমান ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার ও গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিলও। ৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ কেবল ২ উইকেটে ৪৭ রান। রান রেট ৭-এর নিচে। এই রান বন্যার আইপিএল মৌসুমে যা অনেকটাই বেমানান। পরে শেষে এসে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে পুরো ২০০ রান। মাঝের এই পথটুকু গুজরাট পাড়ি দিয়েছে সাই সুদর্শনের ৮৪ রানের এক ‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে। 

এ নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে ৪৫তম ম্যাচে এসেই দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ২৭ বার দুইশ পেরোনো সংগ্রহ দেখল বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। 

গুজরাটের মাঠ আহমেদাবাদে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় গত আসরের রানার্স-আপ দলটি।

আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সুদর্শন। এ নিয়ে ১০ ম্যাচে ৪১৮ রান করেছেন তিনি। আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে। ৯ ম্যাচে ৪৩০ রান করে শীর্ষে আছেন প্রতিপক্ষ দলের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।

 

;

জ্যোতিদের সামনে ভারতের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধারহীন বোলিং, হতশ্রী ফিল্ডিং। এই দুইয়ে মিলে ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভারে ভারতের কাছে তেমন পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২ ওভার ৫ বলেই ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে হারমানপ্রীতের দল। পরে শেষ দিকে রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য নিজেদের দিকে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। অবশ্য শুরুর সেই দাপ্ট ধরেই শেষে এসে ভালো সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। জয়ের জন্য জ্যোতিদের তাই ছাড়িয়ে যেতে হবে সফরকারীদের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

শেষ ৭ ওভারে স্রেফ বলের সমানই রান তুলতে পেরেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। অর্থাৎ, ১৩ ওভারে ১০৩ রান থেকে শেষ ৪২ বলে ৪২ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা। এর মধ্যে শেষ ওভারে স্রেফ ২ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন মারুফা আক্তার। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে দ্বিতীয় ওভারেই দলটির তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার উইকেট তুলে নিতে পারতো বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ব্যাটারের সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু।  

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট।

;