জেতার জন্য লড়বেন এবাদত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্যালুট দিচ্ছেন এবাদত হোসেন

স্যালুট দিচ্ছেন এবাদত হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো কোনো ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। এবার সেই জয় খরা কাটানোর সুবর্ণ হাতছানি টাইগারদের সামনে। টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের খুব কাছে দেশের ক্রিকেটাররা। 

প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেট শিকার করে জয়ের সুবাস ছড়িয়ে এবাদত হোসেন জানান, দলকে জেতাতে চান তিনি। এজন্য লড়াই করতে প্রস্তুত তারকা এ পেসার। 

নিউজিল্যান্ড থেকে ভিডিও বার্তায় এবাদত বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে, ফ্লাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘণ্টা সহায়ক থাকে। তারপর কিছুটা ফ্লাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনো শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল দেশকে জেতাতে লড়বো।’

এবাদতের চোখে কেবল জয়ের স্বপ্ন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সতীর্থরা ও সাপোর্ট স্টাফটা সবাই খুব সাহায্য করেছে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের আগের ম্যাচগুলোতে এতো ভালো করতে পারিনি। এই দলটাই চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে, নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতেই হবে। এই দলের চেষ্টাই এটা যে বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করব।’

   

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন সাইফ উদ্দিন 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগামী ৩ মে। আসন্ন এই সিরিজ শুরুর চার দিন আগে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষণা করা দলটিতে নেই সাকিব আল হাসান। এদিকে দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরতে চলেছেন সাইফ উদ্দিন।

দলটিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেকের অপেক্ষায় একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন তানজিদ হাসান তামিম। 

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই প্রায় ২০ মাস পর জাতীয় দলের কোনো সিরিজে ডাক পেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। এর মাঝে অবশ্য দুটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন তিনি, সেটি ছিল গত বছরের হাংজু এশিয়ান গেমসে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৩ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৬২৩ রান করে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। 

বিস্তারিত আসছে…

;

উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ২০১ রানের। ম্যাচের শুরুটা যখন রান তুলতে ভুগছিল গুজরাটের ব্যাটাররা তখন মনে হচ্ছিল দিনটা ব্যাটারদের। অবশ্য পরে সাই সুদর্শন-শাহরুখ খানরা পাল্টেছেন রানের চিত্র। এবার রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা পাল্টে দিলেন পুরো ম্যাচের চিত্র। আরও একবার ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখালেন বিরাট কোহলি। তবে তাকে ছাপিয়ে আজ বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক উইল জ্যাকস। স্রেফ ৪১ বলেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। এতে ৪ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে দাপুটে জয় পায় বেঙ্গালুরু।

এ নিয়ে আসরে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বেঙ্গালুরু। শুরুর আট ম্যাচে স্রেফ এক ম্যাচ জিতে এতদিন ছিল তালিকার একদম তলানিতে। অবশ্য টানা জয়েও বদলায়নি পয়েন্ট তালিয়ার অবস্থান। 

আহমেদাবাদে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে গুজরাট। 

বিশালের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার কোহলি ও ডু প্লেসি। শুরুটা ভালো পেলেও বেশিক্ষণ টিকেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ফেরেন দলীয় ৪০ রানের মাথায়। সেখান থেক জয়ের জন্য ৯৭ বলে তখনো দরকার ১৬১ রান। তবে সেই রান স্রেফ ৭৩ বলেই তুলে ফেলেন জ্যাকস ও কোহলি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুধু দলকেই জেতাননি, তুললেন আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

এদিকে কোহলিও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭০ রান। এতে ১০ ম্যাচে আসরে পুরো ৫০০ রান করলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। 

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের সংগ্রহে পৌঁছায় গুজরাট। 

এদিনে বেঙ্গালুরু হতাশাজনক শুরুর পর যখন টানা দুই ম্যাচে পেল জয়ের দেখা, তখন নিজেদের টানা দুই ম্যাচেই হারল গুজরাট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: 

গুজরাট টাইটান্স: ২০০/৩ (২০ ওভার) (সুদর্শন ৮৪*, শাহরুখ ৫৮; স্বপ্নিল ১/২৩)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০৬/১ (১৬ ওভার) (জ্যাকস ১০০*, কোহলি ৭০*; সাই কিশোর ১/৩০)

ফলাফল: বেঙ্গালুরু ৯ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: উইল জ্যাকস 

;

একাই লড়লেন জ্যোতি, সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচটা কঠিন গিয়েছিল তখনই যখন ১২ ওভার ৫ বলেই দলীয় সংগ্রহের শত রান পেরিয়ে যায় ভারত। পরে বোলাররা ছন্দে ফিরলেও ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। পরে ব্যাটিংয়ে এসে সেই পুরনো সমস্যা, যেই সমস্যায় জ্যোতি-নাহিদাদের ভুগিয়েছে ঘরের মাঠে এর আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও। ব্যাটিং ব্যর্থতা। ৫১ রান করে স্রেফ একাই লড়লেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাকিদের আরও একবার হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৪৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন ভারতের মেয়েদের জয়ের শুরুটা টস দিয়ে। সেখানে আগে ব্যাট  করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে সফরকারীরা। 

রান তাড়ায় শুরুর সাত ওভারেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় জ্যোতি-নাহিদারা। ৩০ রানেই স্বাগতিকরা হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে চলেছে স্রেফ একটি চিত্র। ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন অধিনায়ক, বাকিরা যাওয়া-আসার মধ্যেই। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। 

শেষ ওভারে সাজঘরের ফেরার আছে জ্যোতি করেন ৪৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রেনুকা সিং। জিতেছেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে বসেছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় স্মৃতি মান্ধানার সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু। সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে যস্তিকার ব্যাট থেকে। 

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট। 

আগামী ৩০ এপ্রিল সিলেটের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১৪৫/৭ (২০ ওভার) (যস্তিকা ৩৬, শেফালি ৩১, হারমানপ্রীত ৩০; রাবেয়া ৩/২৩, মারুফা ২/১৩)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১০১/৮ (২০ ওভার) (জ্যোতি ৫১; রেনুকা ৩/১৮, পুজা ২/২৫)

ফলাফল: ভারত ৪৪ রানে জয়ী

সিরিজ: ভারত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: রেনুকা সিং

;

‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে গুজরাটের ২০০ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওভারেই সাজঘরে পাড়ি জমান ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার ও গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিলও। ৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ কেবল ২ উইকেটে ৪৭ রান। রান রেট ৭-এর নিচে। এই রান বন্যার আইপিএল মৌসুমে যা অনেকটাই বেমানান। পরে শেষে এসে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে পুরো ২০০ রান। মাঝের এই পথটুকু গুজরাট পাড়ি দিয়েছে সাই সুদর্শনের ৮৪ রানের এক ‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে। 

এ নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে ৪৫তম ম্যাচে এসেই দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ২৭ বার দুইশ পেরোনো সংগ্রহ দেখল বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। 

গুজরাটের মাঠ আহমেদাবাদে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় গত আসরের রানার্স-আপ দলটি।

আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সুদর্শন। এ নিয়ে ১০ ম্যাচে ৪১৮ রান করেছেন তিনি। আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে। ৯ ম্যাচে ৪৩০ রান করে শীর্ষে আছেন প্রতিপক্ষ দলের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।

 

;