জয়ে ফিরল সাকিবের বরিশাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাট হাতে ক্রিস গেইল

ব্যাট হাতে ক্রিস গেইল

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুতে ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন ক্রিস গেইল। তবে পাঁচ রানের জন্য ক্যারিবিয়ান এ বিস্ফোরক ব্যাটসমান ফিফটির দেখা না পেলেও দল পেয়ে যায় লড়াকু পুঁজি। শেষে বল হাতে আগুন ছড়ালেন মেহেদী হাসান রানা। কেড়ে নিলেন চার উইকেট। তাতেই দাপুটে এক জয় পেল ফরচুন বরিশাল। খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে দিল ১৭ রানে।

মিরপুরে ঢাকা পর্ব বরিশাল শেষ করেছিল হার দিয়ে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরেছিল তারা ৬৩ রানে। এবার চট্টগাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়েই জয়ে ফিরল সাকিব বাহিনী। আর স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করা খুলনা ফিরে গেল হারের পথে। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয় আর হার দিয়ে খুলনা ও বরিশালের সংগ্রহ এখন সমান চার পয়েন্ট।

টস হেরে আগে ব্যাট হাতে নেমে দুরন্ত ব্যাটিং করেন গেইল। ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা এ ব্যাটার এনে দেন ৪৫ রানের চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর নাজমুল হোসেন শান্ত দলীয় স্কোরে যোগ করেন ১৯ রান। ত্রয়ীর ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের স্কোর গড়ার অনিন্দ্য গল্প লেখে বরিশাল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের জার্সি গায়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন কামরুল ইসলাম, থিসারা পেরেরা ও ফরহাদ রেজা। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান, শরিফুল্লাহ ও সেকেুগে প্রসন্ন।

জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি খুলনার। তবে মাঝে ব্যাট হাতে ঝলক দেখান মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গী হন ইয়াসির আলী (২৩) ও থিসারা পেরেরা (১৯)। দলকে নিয়ে যান জয়ের কাছাকাছি। কিন্তু শেষ দিকে বিধ্বংসী বোলিংয়ে খুলনাকে জয় বঞ্চিত করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মেহেদী হাসান রানা। ১৯ ওভারেই মুশফিকের দল গুটিয়ে যায় ১২৪ রানে।

তার আগে মেহেদী হাসান ১৭ ও রনি তালুকদার ১৪ রান এনে দেন। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। সঙ্গে দুটি করে উইকেট নেন মুজিব-উর-রহমান ও জ্যাক লিনটট।

   

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) শেষ ম্যাচ ডে আজ। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

আবাহনী-শাইনপুকুর

কাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

মোহামেডান-গাজী গ্রুপ

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

শেখ জামাল-প্রাইম ব্যাংক

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

৪র্থ নারী টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ-ভারত

বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল

মুম্বাই-হায়দরাবাদ

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ক্রিস্টাল প্যালেস-ম্যান ইউ

রাত ১টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

 

 

;

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;