রোমাঞ্চের ম্যাচ জিতে সিরিজ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের অর্ধেকটা জুড়েই ম্যাচ ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু হঠাৎ বোলিংয়ে এসে ম্যাচের মোড় বদলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় সহজ করে দেন মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশে ফেরা এই বোলার নিয়েছেন মোট চার উইকেট।
রোববার (১৪ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানের বেশি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করলো তামিম ইকবালের দল।

আগের ম্যাচে কোনো বদল ছাড়াই নেমেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে আসে তিন পরিবর্তন, এর মধ্যে অভিষেক হয় মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও রনি তালুকদারের; একাদশে ফেরেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস উদ্বোধনে এসে পাওয়ার প্লের ঠিকঠাক ব্যবহার করেছিলেন রনি, ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ম্যাচে এসে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১ চারে ১৪ বল খেলে কেবল ৪ রান করেছেন রনি। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শতক করা এই ব্যাটার ৩২ বলে ৩৫ রান করে ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন।

লিটন দাসও ৩৯ বলে ৩৫ রান করে ম্যাকব্রাইনের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অফে। ব্যাটারদের এই যাওয়া-আসার ভেতর এক প্রান্তে থেকে যান তামিম। যদিও অনেক ডট বল খেলেন তিনি। শুরুতে জীবন পাওয়ার পর ৯ ইনিংস পর এসে অবশ্য তামিম পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা।

তবে নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬ চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে শট ঠিকঠাক খেলতে না পেরে ক্যাচ দেন তিনি।

১ চারে ১৬ বলে ১৩ রান করে ডকরেলের বলেই বোল্ড হন তাওহীদ হৃদয়ও। ১৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তারা দুজনও ইনিংসের শেষ অবধি টেনে নিতে পারেননি।

তাদের জুটিতে ৭৫ রান আসে। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ বলে ৪৫ রান করে ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মুশফিক আউট হলে এই জুটি ভাঙে। মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে আর ৪ রান যোগ করে আউট হয়ে যান মিরাজও। ৩ চারে ৩৯ বলে তার ব্যাটে আসে ৩৭ রান। তাদের ফেরার পর বাংলাদেশের রানও আর বাড়েনি খুব একটা। অলআউট হয় সফরকারীরা।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই অবশ্য উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৬ বলে ৪ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান দলটির উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানি। এরপর পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বালবার্নি।

তাদের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আয়ারল্যান্ড। ৬ চারে ৭৮ বলে ৫৩ রান করা বালবার্নিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফেরান এবাদত হোসেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ বলে ৬০ রান করা স্টার্লিংয়ের উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তাদের বিদায়ের পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকার। কিছুতেই যখন উইকেট মিলছিল না তখন ৪২তম ওভারে শান্তকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার ওভারের পঞ্চম বলে তাকে তুলে মারতে যান টেক্টর, লাফিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন লিটন। শান্ত পান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।

এরপর ৪ বলে ১ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে আউট করে চাপ আরও বাড়ান মোস্তাফিজ। ৪৫তম ওভারে এসে জর্জ ডকরেলকে আউট করেন তিনি। তখনও ক্রিজে ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া টাকার, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিও ছিলেন এই ব্যাটার।

নিজের পরের ওভারে এসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ বলে ৫০ রান করা টাকারকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। আগের দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা না পাওয়া এই পেসার ১০ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। তার এমন বোলিংয়ের পরও ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল।

শেষ দুই ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু ৪৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দিয়ে ফেলেন ১৪ রান। অভিষেকে বেশ খরুচে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিলেন তিনি, ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬৪ রান।

তার বাজে বোলিংয়ের পর শেষ ওভারে আসেন হাসান মাহমুদ। তিনি করেন দুর্দান্ত বোলিং। দুই উইকেট নিয়ে দেন কেবল ৫ রান। ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।

আমি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছি: মেসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে নতুন গন্তব্য নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন তিনি। প্যারিসে নিজের বাড়িতে স্প্যানিশ আউটলেট স্পোর্ট ও মুন্ডো দেপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ জয়ী এই আর্জেন্টাইন বলেছেন, ‘আমি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছি। এটা এখন শতভাগ নিশ্চিত।’

পিএসজি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর মেসির সম্ভাব্য দল নিয়ে নানামুখী জল্পনা ছিল। শোনা যাচ্ছিল বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ী তারকার। আবার সৌদি ক্লাব আল হিলালের কথাও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সৌদি ক্লাবটির লোভনীয় প্রস্তাবেও তিনি সাড়া দেননি। তার কারণ কী? মেসি সাক্ষাৎকারে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘যদি টাকার জন্যই হতো তাহলে আমি সৌদি আরব কিংবা অন্য কোথাও যেতে পারতাম। এটা অনেক অর্থ আমার কাছে। কিন্তু বিষয়টা টাকার জন্য নয়। এই মুহূর্তে ফোকাসের বাইরে থাকতে চাই, পরিবার নিয়েই বেশি ভাবতে চাই আমি। গত দুই বছর পরিবারের জন্য সময়টা ভালো যায়নি।’

বার্সায় প্রত্যাবর্তন নিয়েও মেসি কথা বলেছেন। কিন্তু দুই বছর আগে মেসিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্লাবটি ছাড়তে হয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যাননি তিনি, ‘আমি বার্সায় ফিরতে চেয়েছি। সেখানে ফেরার জন্য মুখিয়েও ছিলাম। কিন্তু সর্বশেষবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, একই পরিস্থিতিতে আবার পড়তে চাইনি। নিজের ভবিষ্যৎ অন্য কারো হাতে দিতে চাইনি। শুনেছি তাদের সেজন্য খেলোয়াড় বিক্রি করতে হতো বা তাদের সেলারি কমাতে হতো। সত্যি কথা হলো আমি এসবের মধ্যে যেতে চাইনি। এসবের জন্য দায়ী হতে চাইনি। আমি এসবে ক্লান্ত।’

তবে নিজের আক্ষেপের কথাও জানিয়ে রেখেছেন ৩৫ বছর বয়সী, ‘বার্সায় ফেরার স্বপ্নটা আমার ছিল। আমি ইনিয়েস্তা, বুসকেৎজ, জর্ডি আলবা, জাভির মতো বিদায় পেলে খুশি হতাম। বার্সা ভক্তদের কাছে নিজের নাম শোনার অনুভূতিটা অন্যরকম। কিন্তু আমি সেখানে নেই..।’

মেসি আরও জোর দিয়ে বলেছেন টাকা কখনোই তার কাছে বড় বিষয় ছিল না। বার্সার সঙ্গে ক্লাবটিতে ফেরা নিয়ে কথা হলেও চুক্তি নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি তার, ‘টাকা আমার কাছে কোনও বিষয় ছিল না। বার্সেলোনার সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে কথা হয়নি। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেটা কখনও অফিশিয়াল, লিখিত বা সই করা প্রস্তাব ছিল না। বেতন নিয়েও আমরা কথা বলিনি। টাকার বিষয় হলে আমি সৌদি আরব যেতাম।’

মেসি তাই প্রশ্ন তুলেছেন যে বার্সা আসলেই তাকে চেয়েছিল কিনা, ‘আমি জানি না বার্সা আসলেই আমাকে ফেরানোর সব চেষ্টা করেছিল কিনা। শুধু জানি জাভি কী বলেছিল। আমি নিশ্চিত ক্লাবটাতে কিছু লোক রয়েছে যারা চায় না যে আমি বার্সায় ফিরি।’

বিশ্বকাপ ও সাতটি ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি এবারই প্রথম ইউরোপের বাইরে খেলতে যাচ্ছেন। যে লিগটি আবার বুড়োদের লিগ বলেও পরিচিত। মেসির নতুন গন্তব্য ইন্টার মিয়ামির অন্যতম মালিক আবার সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি তারকা ডেভিড বেকহ্যাম। মেসি অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপেই থাকতে চেয়েছিলেন, ‘ইউরোপের অন্য ক্লাব থেকেও প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো বিবেচনায় নেইনি। কারণ আমার লক্ষ্য ছিল বার্সায় ফেরা। যেহেতু এই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি। এখন মিয়ামিতে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছি।’

দুই বছর পিএসজিতে কাটানো অধ্যায় নিয়েও মেসি কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, সেখানে মোটেও ভালো ছিলেন না তিনি, ‘পিএসজির দুই বছর আমার ভালো যায়নি। উপভোগও করিনি। যা আমার পারিবারিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেছিল।’

;

সব গুঞ্জন উড়িয়ে ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুড়োদের লিগ বলে পরিচিত এমএলএস ক্লাব ইন্টায়ার মিয়াতে যোগ দিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এই প্রথম ইউরোপের বাইরে খেলতে যাচ্ছেন মেসি।

বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোযাড়কে সৌদি ক্লাব আল হিলাল থেকে লোভনীয় প্রস্তাব দিলেও সেটি ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। অবশ্য সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন ইন্টার মিয়াতেও থাকছে লোভনীয় সব প্রস্তাব। তাতে যুক্ত থাকছে অ্যাডিডাস, অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডও।

এদিকে স্প্যানিশ সাংবাদিক গুইলেম বালাগ জানিয়েছেন, ইন্টার মিয়ামির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তাই বার্সেলোনা বা আল হিলাল নয়, মেসির পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি।

বুধবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক টুইটে তিনি এই খবর জানান। তিনি লিখেছেন, মেসি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তার গন্তব্য: ইন্টার মিয়ামি।

এর আগে দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছিল, আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ইন্টার মিয়ামিতে ভেড়াতে এমএলএস এবং অ্যাপল মেসিকে আয়ের একটি অংশ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে, যা নতুন গ্রাহকরা তাদের স্ট্রিমিং প্যাকেজ এবং এমএলএস সিজন সাইন আপ করলে তার লভ্যাংশ পাবেন তিনি। অ্যাডিডাস মেসির সঙ্গে তাদের মুনাফার একটা হিস্যা ভাগাভাগি চুক্তির প্রস্তাব দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

;

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সময়সূচি জানাল বিসিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল। এই সিরিজের সূচি ও ভেন্যু আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এবার ম্যাচ শুরুর সময়ও নিশ্চিত করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আগামী ১৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে খেলা শুরু হবে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ খেলে রশিদ খানরা ভারতে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে। এরপর আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি অংশ খেলতে আসবে।

আগামী ১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আসবে আফগানরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৫, ৮ ও ১১ জুলাই হবে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ। দিবারাত্রি এই ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর ২টায়। ওয়ানডে সিরিজ শেষে সিলেটের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪ ও ১৬ জুলাই ম্যাচ দুটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

;

এক যুগ পর ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পর ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে আবাহনীকে হারায় মোহামেডান।

রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানেও দুই দল সমান। একটি করে গোল করে মোহামেডান আর আবাহনী। ৪-৪ সমতায় থাকা ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেই টাইব্রেকারে ভাগ্য খুলে মোহামেডানের। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ৪(৪)-৪(২) ব্যবধানে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হলো সাদাকালোরা।

এর আগে উত্তাপ ছড়ানো এই ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড পেয়ে যায় আবাহনী। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আকাশী-নীলরা। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। কিন্তু উল্টো ম্যাচের ৪৩ মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে আবাহনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আবাহনী।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই যেন ম্যাচে প্রাণ ফিরে আসে। ৫৬ থেকে ৬১ মিনিটে ২ গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফিরে মোহামেডান। কিন্তু তার ঠিক মিনিটে খানেক পড়েই আবারো এগিয়ে যায় আবাহনী। ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে এগিয়ে থেকে আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

কিন্তু চরম নাটকীয়তায় ভরা এই ম্যাচের শেষ দিকে আবারো সমতা ফেরায় মোহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানের মালির অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের হ্যাটট্রিকে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। প্রথম অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। ৪-৩ গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখা মোহামেডানকে স্তব্ধ করে ম্যাচের ১১৮ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে আবারো সমতা ফিরে খেলায়।

শেষ পর্যন্ত ৪-৪ গোলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল টাইব্রেকারে গড়ায়। এই টুর্নামেন্টের সর্বশেষ ফাইনালের টাইব্রেকারও এই দুই দলের মধ্যে। সেই ম্যাচে মোহামেডান জিতেছিল।

আজও সেই পুরনো স্মৃতি তাজা করল সাদা-কালোরা। পেনাল্টি শুটআউটে আবাহনীকে হতাশ করে ৪-২ গোলে নাটকীয়ভাবে শিরোপা জিতে নেয় মোহামেডান।

;