রোনালদোর ফলোয়ার এখন ৬০ কোটি!
ইনস্টাগ্রামে ইতিহাস গড়েছেন পর্তুগালের ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সোশ্য়াল মিডিয়ার এই প্ল্যাটফর্মে সিআর সেভেন খ্যাত এই তারকার ফলোয়ারের সংখ্যা এখন ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি। এই পরিমান ভক্ত বর্তমানে রোনালদোকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছেন।
বর্তমানে ক্লাক ফুটবলে আল-নাসরের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ৬০ কোটিতে পৌঁছেছে। রোনালদো ২০২২ সালের নভেম্বরে ৫০০ মিলিয়ন ফলোয়ারে পৌঁছেছিলেন এবং তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০০ মিলিয়ন বা চল্লিশ কোটিতে পৌঁছেন।
২০২১ সালের জুন মাসে সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্ল্যাটফর্মে তার ফলোয়ার সংখ্য়া প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি ছুঁয়ে ছিল। অন্যদিকে, ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসির ফলোয়ার সংখ্যা ৪৮২ মিলিয়ন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত মাসেই ফোর্বসের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইনস্টাগ্রাম শিডিউলিং টুল হপার এইচ কিউ জানিয়েছে, রোনালদো ইনস্টাগ্রাম থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকা নির্বাচিত হয়েছেন।
এই সংস্থাই এ বছর ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের তালিকা তৈরি করেছে। এই সংস্থার বিচারে ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৬০ কোটি। এই কারণেই ইনস্টাগ্রাম থেকে রোনালদোর আয় অনেকটাই বেশি। রোনালদো ইনস্টাগ্রামে প্রতিটি পোস্ট থেকে ৩.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকেন।
সাম্প্রতিক সাফল্যে আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির তারকা লিওনেল মেসির চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, আয়ের হিসেবে তাকে পেছনে ফেলেছেন পর্তুগাল ও আল-নাসরের এই তারকা।
এদিকে, ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের বিচারে রোনালদোর কাছাকাছি রয়েছেন লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে মেসির ফলোয়ার সংখ্যা ৪৮২ মিলিয়ন। ইনস্টাগ্রামে প্রতিটি পোস্ট থেকে ২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়ে থাকেন মেসি। সারাবিশ্বের তারকাদের মধ্যে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো ও মেসি। তারা গায়িকা সেলেনা গোমেজ, টেলিভিশনের তারকা কাইলি জেনার, অভিনেতা ডোয়েন জনসনকে পেছনে ফেলেছেন।
ইনস্টাগ্রাম থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা সেরা ২০ জন তারকার মধ্যে আছেন ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, ব্রাজিলের তারকা নেইমার জুনিয়র, ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা বিরাট কোহলি।
হপার এইচ কিউ সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাইক ব্যান্ডার বলেছেন, ‘প্রতি বছর ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়ছে। এটা আমার কাছে অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয়। খেলোয়াড়দের শীর্ষে থাকার ব্যাপারটাও আমার কাছে আশ্চর্যজনক ব্যাপার। নতুন যারা প্রভাবশালী তকমা পাচ্ছেন, তাদের চেয়ে এখনও তারকাদের প্রভাব অনেক বেশি। রোনালদো ও মেসি শুধু শীর্ষেই নয়, তারা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং ও প্রভাবের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার হিসেবে অবশ্য নেইমারের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে এমবাপ্পে। ইনস্টাগ্রামে প্রতিটি পোস্ট থেকে এমবাপের দ্বিগুণ আয় করেন নেইমার।