বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতলে ‘মিরাকল’ হবে, বলছেন জাভেদ ওমর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেই ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে শুরু। এরপর থেকে বিশ্বক্রিকেটের শীর্ষ মঞ্চে বাংলাদেশ খেলেছে একে একে ৫টি বিশ্বকাপ। সঙ্গে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিলিয়ে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে কম খেলেনি দল। তবে তার একটিতেও কখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। আরও একটা বিশ্বকাপ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যা আগে কখনো হয়নি, তা কি এবার হবে? এ প্রসঙ্গে বর্তমান নির্বাচক, সাবেক ক্রিকেটার ও সাংবাদিকরা জানালেন তাদের মত।
২০০৭ বিশ্বকাপের এদিক ওদিকে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসেন, তখন দলটা মোটাদাগে ছিল ছোট দলই। কিন্তু শেষ দেড় দশকে সে তকমাটা মুছে গেছে, তাতে বড় অবদান আছে সাকিব-মুশফিক আর রিয়াদের। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে, যে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে এই আগামী সপ্তাহেই।
এই তিনজন, সঙ্গে তামিম ইকবাল আর মাশরাফি বিন মুর্তজা একসঙ্গে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন ২০০৭ সালে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তার আগ পর্যন্ত সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২১৮ ম্যাচের ভেতর জিতেছিল মোটে ৪০টিতে। তার ভেতর হাতে গোণা কয়েকটাই কেবল ছিল র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে।
তবে শেষ দেড় দশকে বাংলাদেশ প্রায় ৪০ শতাংশ মাচে জিতেছে। শীর্ষ অনেক দলের বিপক্ষে আছে অন্তত পাঁচটি করে জয়। টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে আরও একটা বক্সে টিক দিয়েছে বাংলাদেশ, যে কোনো ফরম্যাটে সব দলের বিপক্ষে এখন অন্তত একটি করে হলেও সিরিজ জয় আছে দলের।
তবে এই সিরিজ জয়গুলো পূর্ণতা পাবে দল যদি বড় কোনো প্রতিযোগিতার শিরোপা ঘরে তোলে। যা এখনো বাংলাদেশ পারেনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজটা একপাশে রাখলে আর কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টও জেতা হয়নি বাংলাদেশের। সর্বোচ্চ সাফল্যটা এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলা। ২০১২, ২০১৬ আর ২০১৮ সালের আসরে ফাইনালে খেলে হেরেছিল সবকটিতে।
আর আইসিসি টুর্নামেন্টে দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলা। সেখানেও ভারতের কাছে হেরে দেশে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সাফল্যের কাছে গিয়েও বারবার এমন বঞ্চনাই যেন নিয়তি।
যদিও দলটির সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার জানালেন, এই দলটার আরও ভালো কিছুই প্রাপ্য ছিল। তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে এই গ্রুপটার আরও বড় কিছু প্রাপ্য ছিল। এই খেলোয়াড়রা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন কিছু করেছে, যা অতীতে কখনো হয়নি। তারা অনেক কিছু অর্জন করেছে, নিঃসন্দেহে। কিন্তু বড় কোনো শিরোপা এখনো জিততে পারেনি, এটা আফসোসের বিষয়।’
বাংলাদেশ বর্তমানে আছে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সাতে। দলের পরিস্থিতিটাও খুব একটা ভালো নয়। এবারের বিশ্বকাপেও সে খরা কাটাবে দল, তার পক্ষে বাজি ধরার লোকও একেবারেই মিলবে না এখন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা।
তবে সে সাফল্য এবার গ্রুপ পর্ব পেরোলেই পেছনে ফেলতে পারবে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় রাউন্ডটাই যে সেমিফাইনাল! যদিও সে সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করেন সাংবাদিক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক এম এম কায়সার। তার ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলের যে বিল্ড আপ আমরা দেখেছি, তাতে আমি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’
বিশ্বকাপের তিন মাস আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে চলে এসেছে জনসম্মুখে। যার ফলে দলের পরিবেশটা আরও খারাপের দিকেই গিয়েছে বৈকি!
এমন পরিস্থিতি থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপটা জিতে যেতে পারে, বিশ্বাস সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিমের। তবে এক্ষেত্রে তিনি একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ঘটাতে হবে ‘অলৌকিক’ কিছু।
তার কথা, ‘এখানে সবাই ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা তাদের সীমাটা আমরা দেখে ফেলেছি। পরের পর্যায়ে যেতে হলে, যেমন ধরুন বিশ্বকাপ জেতা… সেটা করতে হলে তাদের অসাধারণের চেয়েও বেশি ভালো খেলতে হবে, কিংবা অলৌকিক কিছু ঘটিয়ে ফেলতে হবে।’
আগামী ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাচ দিয়ে নিজেদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।

 

   

পিঠের চোটে ভুগছেন রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের গতকালের (শুক্রবার) ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হেরে গেছে ২৪ রানে। ম্যাচে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংস শুরু করতে নেমে ১২ বলে করেছে ১১ রান। তার দল কলকাতার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে ১৪৫ রানে।

ম্যাচে কেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন রোহিত? ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুম্বাইয়ের স্পিনার পীযুষ চাওলা। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পীযুষ জানান, ‘তার (রোহিত) পিঠে কিছুটা সমস্যা আছে। তাই সতর্কতা হিসেবে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছে।’

ভারতের ক্রিকেটভক্তদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে রোহিতের এই চোটের খবর। আইপিএলের পরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ভারতকে। বিশ্বকাপে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। ভারতের সমর্থকরা নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছে, রোহিতের পিঠের এই পীড়া যেন দ্রুতই সেরে যায়।

;

এক যুগ পর ডর্টমুন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন রয়েস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সমর্থকদের সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়দের তালিকা করলে খুব সম্ভবত ওপরের দিকেই থাকবে মার্কো রয়েসের নাম। শুধু ডর্টমুন্ড কেন, ফুটবলের অন্যতম ভদ্র ও দর্শকপ্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও নিশ্চিতভাবেই থাকবে তার নাম।

টানা ১২ বছর এই ক্লাবের জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে খেলেছেন, নিজেকে নিয়ে গেছেন ডর্টমুন্ডের কিংবদন্তির তালিকায়। তবে চলতি মৌসুম শেষে প্রিয় এই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটাচ্ছেন এই জার্মান তারকা ফুটবলার, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ডর্টমুন্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছেন না রয়েস। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির হয়ে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪২৪ টি ম্যাচ খেলা ফুটবলার তিনি। এছাড়াও ১৬৮ গোলের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন এই অ্যাতাকিং মিডফিল্ডার।

ডর্টমুন্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় রয়েস বলেছেন, ‘প্রিয় ডর্টমুন্ডের ভক্তরা, দারুণ এই স্টেডিয়ামে আমি ১২ বছর খেলার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের অর্ধেক সময়ই আমি এই ক্লাবকে দিয়েছি। অনেক উত্থান-পতন গেছে। তবে ভালো সময়গুলোই মনে আছে। ক্লাব এবং আমি নিজের চুক্তির মেয়াদ না বাড়াতে সম্মত হয়েছি। এই ক্লাবে অনেক বছর খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এই মুহূর্তে আসলে কী বলা উচিত, তার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ভক্তদের এটা জানা দরকার, সামনে আরও বড় লক্ষ্য আছে আমাদের। আমরা ওয়েম্বলিতে যেয়ে আবারও ট্রফি নিয়ে আসতে চাই।‘

হলুদ-কালো জার্সি গায়ে রয়েস দুইবার জার্মান কাপ জিতেছেন। এছাড়াও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন। যদিও ইউসিএলের ট্রফিটা কখনও উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। চলতি আসরে তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠার জন্য এগিয়ে আছে। ক্লাবে নিজের শেষটা এবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই করতে চান রয়েস।

;

নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জুনে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে স্বাগতিক হিসেবে যৌথভাবে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (শুক্রবার) বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্যারিবিয়রা। এরপর রাতে আরেক স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রও প্রকাশ করল তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিরিজের জন্যও সেই একই স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে তারা এমনটাই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড থেকে।

ঘরের মাটিতে দলকে এবার নেতৃত্ব দিবেন মোনাক পাটেল। এছাড়াও স্কোয়াডের উল্লেখযোগ্য নামের মধ্যে আছে কোরি অ্যান্ডারসন। তিনি সদ্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দলে পাড়ি জমিয়েছেন। এমনকি নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর আগে বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সিরিজটি শুরু হবে আগামী ২১ মে। পরের দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে টেক্সাসের হিউস্টনে, প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।

যুক্তরাষ্ট্র স্কোয়াডঃ

মোনাঙ্ক পাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), আড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ পাটেল, নিতিশ কুমার, নসথুশ কেনজিগি, সৌরভ নেত্রাভালকার, শেডলি ফন শলকউইক, স্টিভেন টেইলর, শায়ান জাহাঙ্গীর।

রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুনোয় ড্রাইড্যাল এবং ইয়াসির মোহাম্মদ।

;

স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ে মুম্বাইকে আটকাল কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাগজে-কলমের হিসেবে আইপিএলের চলতি আসরের প্লে অফে খেলার কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা এখনও বাকি আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। তার জন্য শুক্রবার রাতে নিজেদের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয় পাওয়া জরুরি ছিল হার্দিকদের জন্য। তবে ২৪ রানের জয় তুলে শেষ হাসি হাসল কলকাতাই।

এদিন টসে হেরে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে দেখা যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড়দের। ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন তারা। পাওয়ার প্লে-তেই সাজঘরে ফেরত যান কলকাতার চার ব্যাটার, স্কোরবোর্ডে রান তখন ৫৭।

ব্যাটিং ধ্বস সামলে দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার ভেংকাটেশ আইয়ার ও মানিশ পান্ডে। তাদের ব্যাটে চড়ে লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারীরা। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার এক বল আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে কলকাতার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৯ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে ধাক্কা খায় মুম্বাইও। টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে টেনে তোলেন সূর্যকুমার যাদব। তার ৩৫ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়ের আশা দেখতে থাকে ওয়াংখেড়ের নীল জার্সি পরিহিত দর্শকরা। তবে কলকাতার বোলারদের নৈপুণ্যে শেষ হাসিটা হাসা হয়নি স্বাগতিকদের। ৭ বল বাকি থাকতেই মুম্বাইয়ের সাওবকটি উইকেট তুলে নেন কলকাতার বোলাররা। মিচেল স্টার্ক একাই নেন চার উইকেট।

এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই অবস্থান করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এই ম্যাচে জয়ের দেখা পাওয়ায় ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে প্লে-অফে এক পা দিয়েই রেখেছে কলকাতা। অপরদিকে ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জয় পাওয়া মুম্বাই চলতি আইপিএলে বেশ নিষ্প্রভ। শীর্ষ চারে ওঠার সম্ভাবনা তাদের প্রায় শেষ বললেই চলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

কলকাতাঃ ১৬৯ (১৯.৫ ওভার); ভেংকাটেশ ৭০। মানিশ ৪২; বুমরাহ ৩-১৮, থুশারা ৩-৪২।

মুম্বাইঃ ১৪৫ (১৮.৫ ওভার); সূর্যকুমার ৫৬, ড্যাভিড ২৪; স্টার্ক ৪-৩৩, বরুণ ২-২২।

ফলাফলঃ কলকাতা ২৪ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দা ম্যাচঃ ভেংকাটেশ আইয়ার।

;